রাজশাহী-৫ আসনে কার কেমন জনপ্রিয়তা?
নিজস্ব প্রতিবদেক : নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথমে। কমিশনের নির্বাচনী রোডম্যাপ অনুযায়ী আর তফসিল হবে সেপ্টেম্বরের শেষে। দেশের সবচেয়ে বড় এ নির্বাচন কেন্দ্র করে নানামুখি তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোসহ নেতাকর্মীদের মধ্যে।
বিশেষ করে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। একই সঙ্গে কে কে কোন দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন, কে পেতে পারেন এবং দলে কার প্রভাব ও এলাকায় জনপ্রিয়তা বেশী এ নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা আলোচনা-সমালোচনা। আর এ নিয়ে পদ্মাটাইমসের বিশেষ আয়োজন ‘‘পদ্মাটাইমস জরিপ’’। পদ্মাটাইমের নিজস্ব ফেসবুক পেজে মতামত গ্রহন করে জানার চেষ্টা করা হয়েছে মনোনয়নপ্রত্যাশী কার কেমন জনপ্রিয়তা।
সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজের পোল অপশনে প্রশ্ন ছিল ‘‘রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী হিসাবে আপনি কাকে সমর্থন করবেন?’’ সেখানে পৃথকভাবে দেশের প্রধান দুই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছয়জন করে ১০ জনের নাম দেয়া হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের চারজন ও বিএনপির ছয়জন। এই পোল অপশনটি ৪৮ ঘন্টা সক্রিয় থাকে। এ সময়ের মধ্যে টিকচিহ্ন দিয়ে নিজেদের সমর্থন জানান ফেসবুক ব্যবহারকারিরা।
আওয়ামী লীগ
রাজশাহী-৫ আসনে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশী সমর্থন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ। তাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান জরিপে অংশ নেয়া ৫২ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারি।
এর পরের অবস্থানে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এবার তাকে দেখতে চান জরিপে অংশ নেয়া ৪০ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারি। এ আসন থেকে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে তিনি সংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হন।
এছাড়াও এ আসনে এবারও নৌকার প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমানকে চান জরিপে অংশ নেয়া ৮ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারি। গত নির্বাচনে সবাইকে চমক দিয়ে তিনি নৌকার টিকিট নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য।
বিএনপি
রাজশাহী-৫ আসনে এবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশী সমর্থন পেয়েছেন পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বকর সিদ্দিক। তাকে ধানের শীষের প্রার্থী চান জরিপে অংশ নেয়া ৪৫ শতাংশ ফেববুক ব্যবহারকারি। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি প্রথম এ আসন থেকে মনোনয়ন চান।
তার পরের অবস্থানে রয়েছেন বিএনপি নেতা অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। এবার তাকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান জরিপে অংশ নেয়া ২৯ শতাংশ ফেসবুক ইউজার। তিনি পুঠিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং দুইবার বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
এছাড়াও জরিপে অংশ নেয়া ২১ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারি এবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চান সাবেক এমপি ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাদিম মোস্তফা। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং ১৯৯৫ ও ২০০১ সালে তিনি এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
অপরদিকে, বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি ইসফা খায়রুল হক শিমুলকে এবার ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান ৪ শতাংশ এবং সিরাজুল করিম সনুকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চান জরিপে অংশ নেয়া ১ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারি।
(এ জরিপ শুধুমাত্র সরকার নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোটাল পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম এর নিজস্ব। এতে অংশ নিয়েছে শুধুমাত্র ফেববুক ব্যবহারকারিরা।)