১৪ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২০; সময়: ৯:৪৪ অপরাহ্ণ |

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদে পুলিশে চাকরি নেয়ার অভিযোগে ১৪ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ লাইনের মশিউর রহমান বাদী হয়ে সোমবার তিনটি মামলা দায়ের করেন।

আসামিরা হলেন, যশোরের অভয়নগর উপজেলার নাউলি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ফকিরের ছেলে মিনাজ হোসেন (সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল নম্বর ৮৭৩); যশোর সদরের আন্দোলপোতা গ্রামের আফজাল মোল্যার ছেলে (গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল নম্বর ১১৬৫) সালাউদ্দিন; যশোর সদরের বলরামপুর-মাথাভাঙ্গা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে (খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল নম্বর ৬০৫৯) নাসির উদ্দিন; যশোর সদরের নরসিংহকাঠি গ্রামের সাধন বিশ্বাসের ছেলে (ঢাকার এসপিবিএন কনস্টেবল নম্বর ১৩৪৯২) দেবাশীষ কুমার বিশ্বাস; যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নরসিংহপুর গ্রামের দিপন বিশ্বাসের ছেলে (খুলনা আরআরএফ পুলিশ কনস্টেবল নম্বর ১৬৩) নব কুমার বিশ্বাস; যশোর সদরের এনায়েতপুর গ্রামের কওছার আলীর মেয়ে (নড়াইলের কনস্টেবল নম্বর ৫০৫) সোনিয়া খাতুন।

যশোর সদরের ঘোপ ছাতিয়ানতলার সাইফুর রহমানের ছেলে (ঢাকার এন্টিটেরোরিজম ইউনিটের কনস্টেবল নম্বর ৮২১) রানা হাসান; যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে (খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল নম্বর ৬১৬৮) মনিরুজ্জামান; যশোর সদরের সুড়া গ্রামের সাধন সিংহের ছেলে (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল নম্বর ৩৬০৬৭) বিপদো সিংহ; যশোর সদরের নরসিংহকাঠি গ্রামের অজিত বিশ্বাসের ছেলে (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল নম্বর ৩৬১৬০) অমিত কুমার বিশ্বাস; যশোর সদরের আন্দোলপোতা গ্রামের বাশারত হোসেনের ছেলে (নড়াইলের কনস্টেবল নম্বর ৬১৭) আশিকুর রহমান।

যশোর সদরের সুড়া গ্রামের কুমারেশ সিংহের ছেলে (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল নম্বর ৩৭২৪৭) সুজল সিংহ; যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সাইটখালী গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে (ঝিনাইদহের কনস্টেবল নম্বর ১৪৬৫) বাপ্পি মাহমুদ এবং যশোরের চৌগাছার কোটালীপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে (ঝিনাইদহের কনস্টেবল নম্বর ১২২৪) আলিম উদ্দিন।

১৪ জন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি কোতয়ালি থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম নিশ্চিত করেছেন। নিয়োগবিধির ৪ নম্বর কলামে নিয়োগকৃতরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে কাগজপত্র দাখিল করেন।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মামলা হয়েছে। এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে। অচিরেই এই ১৪ কনস্টেবলকে আটকের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিটে চিঠি দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিট তাদের আটক করে কোতয়ালি থানায় সোপর্দ করবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে