রাজশাহীতে তিন সহপাঠি মিলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে গোদাগাড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলামের বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে তার মা তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। রাতেই পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। আর মঙ্গলবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, তারা চারজনই গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী। প্রেমে সূত্রধরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। রাতে মেয়েটির মা বাদি হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
মামলার আসামীরা হলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল ইসলামের ছেলে ওসমান গণি নুর (১৪), খন্দকার মো. ওবাইদুল হককের ছেলে রিদওনাল আলী খন্দকার মোস্তাকিম (১৪) ও মোস্তফার ছেলে তারেক আলী (১৫)। তাদের সবাই বাড়ি গোদাগাড়ীর শ্রীমান্তপুর এলাকায়। এদের মধ্যে মোস্তাকিম ও নুর নবম এবং তারেক দশম শ্রেণীর ছাত্র।
ওসি বলেন, ধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রীর সাথে মোস্তাকিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ওই ছাত্রীকে প্রভোলন দেখিয়ে তিন বন্ধু মিলে নুরের বাসায় ডেকে নেয়। তার বাসায় কেউ ছিল না। এ সুযোগে মোস্তাকিম তাকে ধর্ষণ করে। আর নুর ও তারেক বাড়ীর বাইরে পাহাড়া দেয়। তবে রক্তাক্ত হওয়ার কারণে তারা মেয়েটিকে বাড়ি থেকে দ্রুত বের করে দেয়। পরে বাড়ি দিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায় মেয়েটি। পরে এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
সিনিয়র সহকারি পুুলিশ সুপার (গোদাগাড়ী সার্কেল) আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, মামলা দায়েরের পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। রাতেই পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে। মঙ্গলবার সকালে তার পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়।