রাজশাহী আদালত চত্বরে বাদীর স্বামীকে পেটাল আসামীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে কোর্ট চত্ত্বরে আসামীদের হামলায় আহত হয়েছেন নাসির নামে এক ভুক্তভোগী যুবক। আহত নাসির বাদীর স্বামী। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বাদী মৌসুমী পারভীন বলেন, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তার বাবা নাসিরুল ইসলাম মঞ্জুকে প্রতিবেশী অভিযুক্ত সালাম ও তার বড় ছেলে আবির মিলে মারধর করেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, সালামের এবং তাদের বাড়ি পাশাপাশি। আর সালামের ট্যাংকির পানির প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের পোলে পড়ে। এর ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য তার বাবা নাসিরুল ইসলাম মঞ্জু পোলে যেন পানি না পরে তার জন্য সালামকে বলেন। সেদিনই এ নিয়ে সালাম ও তার ছেলে মিলে মঞ্জুকে বেদম মারধর করে। মঞ্জু ঐদিন রাত ৮টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
পরের দিন ১৮ সেপ্টেম্বর মৌসুমী তার বাবাকে মারা নিয়ে রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। সে সময়ে থানা কর্তৃপক্ষ লোক দেখানো তদন্ত করেন বলে জানান তিনি। কিন্তু সালাম ও তার ছেলেকে পুলিশ গ্রেপ্তার না করায় তিনি ১ অক্টোবর কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মারধরের শিকার হয়ে সালাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মর্মে ভূয়া সনদ নিয়ে কমলের ছেলে নাসিমকে ১নম্বর ও মৃত আবুল কাশেমের ছেলে রঞ্জুকে ২নং আসামী করে রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। এই মামলার ধরে রাজপাড়া থানা পুলিশ রঞ্জুর বাড়িতে বারবার তল্লাসী করেন। পরে জামাই নাসিরকে গ্রেপ্তার করে তিনদিন থানা ও জেল হাজতে রাখে। পরে নাসির জামিনে মুক্ত হন।
এদিকে নাসির পিতা নওশাদ আলী খান কমল বলেন, একদিকে মামলায় রয়েছে অন্যের নাম। অপর দিকে যেদিন মারামারি হয় সেদিন নাসির ঢাকায় ছিলেন। ২৪ নভেম্বর তিনি ঢাকায় যান এবং ২৭ নভেম্বর তিনি বিলসিমলা শশুরবাড়িতে আসেন। নাসির কর্মের তাগিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থাকেন বলে জানান তার বাবা।
এদিকে বাবা রঞ্জুকে মারার মামলার তারিখ ছিলো মঙ্গলবার। এই মামলার তদারকী করতে কোর্টে যান মৌসুমী। সঙ্গে স্বামী নাসিরও ছিলেন। এসময়ে সালাম ও তার ছেলে আবির ও হৃদয় মামলা তুলে নেওয়ার তাদের চাপ দেন। কিন্তু বাদী মৌসুমী ও স্বামী নাসির মামলা উত্তোলন করতে না চাইলে উকিল বারের সামনেই মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে অভিযুক্তরা নাসিরকে বেদম মারধর করে।
পরে নাসিরকে পরিবারের পক্ষ থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপালের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন সেখানে চিকিৎসারত আছেন। এ নিয়ে মৌসুমীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তিনিসহ নাসিরের পিতা কমল দোষীদের দ্রুত বিচার দাবী করেন।