বনের ভেতর বিদ্যুতের তার, ঝলসে যাচ্ছে বানর
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ। খোলা তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ায় একের পর বানর আহত হচ্ছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মুক্তাগাছা পল্লী বিদ্যুতের জিএম মকবুল হোসেন। বনবিভাগ বনের ভেতর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ লাইনে কভার তার দেয়ার দাবি জানালেও ৫ কি.মি বিদ্যুৎ লাইনের মধ্যে ৪-৫টি খুঁটির দুই তারের মধ্যবর্তী স্থানে বেশি জায়গা রেখে পূনরায় বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত ১০টি’র মতো বানর বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত হয়েছে। তার মধ্যে একটি বানর মারা গেছে। অপর দু’টি বানরের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
উপজেলার সন্তোষপুর বন বিটে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক বানর আছে। বানরগুলোর বিচরণক্ষেত্র পুরো বন এলাকা হলেও, সন্তোষপুর বন বিট অফিসের কাছাকাছি তারা বেশি অবস্থান করে।
সম্প্রতি পল্লী বিদ্যুৎ বনের ভেতর দিয়ে ৫ কি.মি নতুন লাইন নির্মাণ করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়। খোলা তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ায় একের পর এক বানর বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত হতে থাকে।
মরার হাত থেকে বানর রক্ষার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পুরো ৫ কি.মি না হলেও বানরের বিচরণস্থলের খুঁটিগুলোতে কভার তার দেয়ার আবেদন করে বন বিভাগ।
জিএম মকবুল হোনের কারিগরি ত্রুটির কথা উল্লেখ করে ৪-৫টি খুঁটির দুই তারের মধ্যবর্তী স্থানে বেশি ফাঁকা রেখে পূনরায় বিদ্যুত সংযোগের নির্দেশ দেন।
সন্তোষপুর বন বিট কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা পুরো বন এলাকায় কভার তার চাই। বানরের বিচরণক্ষেত্র পুরো বন এলাকা। বনের ভেতর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ তাদের মত করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে বানরসহ বিভিন্ন প্রাণিদের।
সরেজমিনে বন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বিদ্যুতে ১০টি’র মতো বানর আহত হয়েছে। তার মধ্যে দু’টি বানরের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। একটি বানরের মুখমণ্ডল ঝলসে যাওয়ায় খাদ্য খেতে পারছে না। কোন কিছু খেলে গলা দিয়ে বেরিয়ে পড়ছে। অপর একটি বানরের সামনের হাত বিদ্যুতে ঝলসে গিয়ে মাংস খসে পড়ে হাড় বেরিয়ে পড়েছে।