ধামইরহাটে ডেপুটি স্পিকারের ছবি তুলতে গিয়ে মারপিটের শিকার সাংবাদিক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ধামইরহাট : নওগাঁর ধামইরহাটে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের ছবি তুলতে গিয়ে মারপিটের শিকার হয়েছেন দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার সাংবাদিক অরিন্দম মাহমুদ। গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে ধামইরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পত্নীতলা উপজেলার সুবরাজপুর গ্রামে একটি বিয়ের দাওয়াত খেতে আসছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া। দুপুর ১২ টার দিকে ধামইরহাট পৌছলে দলীয় নেতাকর্মীরা ডেপুটি স্পিকারকে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় আ’লীগ নেতা ওবায়দুল হক সরকারের বড় ছেলে ওয়াদুদ সরকার সেতু নিজের সেলফি তোলাকে প্রাধাণ্য দিয়ে সাংবাদিক নুরুন্নবী ফারুকী @অরিন্দম মাহমুদকে ছবি তুলতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এ সময় সাংবাদিক অরিন্দম মাহমদু সেতুকে একটু সরে যেতে বললে সে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও ক্যামেরা ভাংচুরের হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া ধামইরহাট ত্যাগ করলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আবারও অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করে ক্ষান্ত না হয়ে সাংবাদিক অরিন্দম মাহমুদের অন্ডকোষে লাথি মারে। এতে ঘটনাস্থলে মৃতবৎ হয়ে গুরুত্বর আহত হয়ে পড়ে সাংবাদিক অরিন্দম মাহমুদ। তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয়রা তাকে ধামইরহাট হাসাপাতালে ভর্তি করে দেয়।
অন্যায়ভাবে মারপিট করার প্রতিবাদ করলে হামলাকারী সেতু তাৎক্ষনিক পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মুকিত কল্লোল ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের উপরও চড়াও হয়। পরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ হামলাকারীকে নিবৃত করে। এ বিষয়ে নুরুন্নবী ফারুকী অরিন্দম মাহমুদ বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায়, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি দেলদার হোসেন, সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলী, পৌর আ’লীগ সম্পাদক মুক্তাদিরুল হক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল নিন্দা জানিয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সভায় তীব্র নিন্দা ও হামলাকারীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করে করেছেন উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
ধামইরহাট থানার ওসি শামীম হাসান সরদার বলেন, ভিআইপি প্রটোকল শেষে সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।