নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কামরুল হত্যাকারীরদের ফাঁসি চাইলেন বাবা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২০; সময়: ২:৩২ অপরাহ্ণ |
নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কামরুল হত্যাকারীরদের ফাঁসি চাইলেন বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির(আরএসটিইউ)নাটোর ক্যাম্পাসের বিবিএ’র ছাত্র কামরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের বিচার কবে হবে জানতে চেয়ে হত্যাকারীদের ফাঁসি তার বাবা আফাজ উদ্দীন।

তিনি বলেন, ‘এখন অনেক বড় বড় হত্যাতান্ডের বিচার হতে দেখি। আমার ছেলে হত্যারও যেন বিচার হয়। পুলিশ চাইলেই আমরা ন্যায়বিচার পেতে পারি।’ শুক্রবার (১০ই জানুয়ারী) নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের চকরামপুর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে সামনে কামরুল হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে আরএসটিইউ কর্তৃপক্ষ। এতে যোগ দেন নিহত কামরুলের পরিবার ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ হালসা গ্রামের কয়েকশ’ মানুষ।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান, রেজিস্ট্রার কে এম আবদুল মমিন, ছাত্র উপদেষ্টা এডভোকেট আরমান আলী, স্কুল অব লিবারেল আর্টস এন্ড স্যোশাল সায়েন্স বিভাগের ডীন প্রফেসর ড. সাইফুদ্দীন চৌধুরি, নিহত কামরুলের বোন নাজমা বেগম, চাচা কফিল উদ্দীনসহ সহপাঠীরা।

কামরুলের বোন নাজমা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আদরের ভাই আমাদের একমাত্র ভরসা ছিলেন। সেই ভাইকে হত্যা করা হলো নৃশংসভাবে! আমরা হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছি।

রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এ আস্থা থেকেই আমরা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তপূর্ব হত্যাকারীর বিচার চাই। আর কোন সন্তানের জন্য যেন রাস্তায় দাঁড়াতে না হয় আমাদের।’

উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারী সদর উপজেলার হালসা ইউনিয়নের নবীনকৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়ি থেকে ফোনে কামরুল ইসলামকে ডেকে নেয়া হয়। পরদিন রাতে বাড়ির অদুরের একটি জঙ্গল থেকে কামরুল ইসলামের চোখ উপড়ানো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মরদেহ উদ্ধারের রাতেই কামরুলের সেলফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে এক কথিত প্রেমিকাসহ ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে আটক সহপাঠী মিনহাজ উদ্দীন প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী জালাল উদ্দীন আহমেদ জানান, তদন্তের স্বার্থে নিহত কামরুলের প্রেমিকাসহ সন্দেহভাজন ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের মধ্য মিনহাজ একাই এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। আমরা অধিকতর তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছি।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে