‘সীমান্তে মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ঢাকা’
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বাংলাদেশিদের নিহত হওয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় দিল্লির প্রতি ক্ষুব্ধ ঢাকা। এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ভারতের বাংলা সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার। রোববার এ নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তার দেয়া বক্তব্যের সূত্র ধরেই এ কথা জানায় পত্রিকাটি।
সোমবার ‘সীমান্তে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ঢাকা’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আনন্দবাজার।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পশ্চিম এশিয়া সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র তথ্য অনুযায়ী ২০১৯-এ বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১২ গুণ বেড়ে ৩৫-এ দাঁড়িয়েছে। ২০১৮-তে এই সংখ্যা ছিল তিন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেসাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনাদের মতো আমিও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে। নানা পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। তারপরেও হত্যাকাণ্ড বেড়েই চলেছে।’ এরপরেই মন্ত্রী জানান— সীমান্তে মৃত্যু কেন বাড়ছে, সে বিষয়ে ভারতকে বার্তা পাঠানো হচ্ছে।
আনন্দবাজার আরো জানায়, মাত্র এই সপ্তাহে বিএসএফের দুই হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ। শনিবার ঠাকুরগাঁওয়ে সাবুর ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ। এর আগে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় রক্ষীদের গুলিতে শিবগঞ্জের দুই বাসিন্দা প্রাণ হারান।
যদিও বরাবরের মতোই নিহতদের চোরাচালানকারী হিসাবে দাবি করেছে বিএসএফ। তারা বলছে, টহলদার ভারতীয় জওয়ানদের ওপর গুলি চালালে জবাবে পাল্টা গুলি চালায় বিএসএফ। এতে মারা যান দুই বাংলাদেশি।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি জানায়, ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনও শীতলতা নেই। সংবাদমাধ্যম যা-ই বলুক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ।’