পবায় পুকুরখনন বন্ধে নোটিশ জারি, দু’টি মেশিন অকেজো

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২০; সময়: ৬:০২ অপরাহ্ণ |
পবায় পুকুরখনন বন্ধে নোটিশ জারি, দু’টি মেশিন অকেজো

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে এবারে পুকুর খনন বন্ধে নোটিশ টাঙানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বুধবার সকালে পবা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসব নোটিশ টাঙানো হয়। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন অভিযান চালিয়েছেন। এছাড়াও এস্কেভেটর মেশিন অকেজো করা হচ্ছে।

রাজশাহীর পুরো জেলা জুড়েই নির্বিচারে কৃষিজমিতে চলছে পুকুর খনন। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও থেমে নেই পুকুর খনন। নানাভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে চলছে এসব অবৈধ কাজ কারবার। এ কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি। এ নিয়ে সাধারণ জনগণের মাঝে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। আর জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রশাসনের খবরদারি নিয়েও।

জানা গেছে, পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডোগা দিয়ে পুকুরখনন কাজে ব্যবহৃত মাটি বোঝাই অবৈধ ট্রাক্টর গ্রামীণ পাকা রাস্তার বারোটা বাজাচ্ছে। আবার উপজেলা প্রশাসন থেকে দিনে অভিযান চালিয়ে যে পুকুর খনন বন্ধ করে, রাতেই আবার সেই পুকুর খনন হচ্ছে। প্রশাসনের অভিযানের আগেই পুকুরখননকারিরা টের পেয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সচেতনমহল অভিযুক্তের তীর ছুড়ছে উপজেলা প্রশাসনের ও থানা পুলিশের ওপরে। তারা বলছেন কোন কোন সদস্য পুকুরখনন সিন্ডিকেটের সাথে আঁতাত করে চলেছে বলেই অভিযানে সাফল্য আসছে না। ফলে কয়েক বছরে পুকুরসহ অন্যান্য কারণে শুধুমাত্র এই জেলায় কৃষিজমি কমেছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর (এক লাখ সাড়ে ১২ হাজার বিঘা)।

বিশেষ করে পবা উপজেলার দারুশা হাওয়ার মোড়ে ১০০বিঘা তিন ফসলি কৃষি জমিতে অবাধে চলছে পুকুরখনন। এছাড়াও দর্শনপাড়ার কোপান্দিতে চলছে ২টি পুকুর খনন। বিভিন্ন দৈনিকে এমন খবর প্রকাশের পরে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সতর্কীকরণ নোটিশ টাঙানো হয়েছে।

নোটিশে লেখা হয়েছে-‘এতদ্বারা সর্ব সাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, হাইকোর্ট থেকে সকল প্রকার জমিতে অবৈধভাবে পুকুরখনন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পুকুরখনন থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে আদেশ প্রদান করা হলো। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যস্থা গ্রহণ করা হবে’। আদেশক্রমে-উপজেলা প্রশাসন, পবা, ও হুজুরীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ।

পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এই উপজেলায় অবৈধভাবে পুকুরখনন হচ্ছে। পুকুরখনন বন্ধে উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। বুধবার বিকালে হাওয়ার মোড় থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরেই অভিযান চালানো হয়। সেখানে দুটি মেশিনের যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে অকেজো করা হয়েছে। এই উপজেলায় পুকুরখনন বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে