মার্কিনিদের তাড়াতে উত্তাল ইরাকে যৌথ সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলায় ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর স্থগিত হওয়া ইরাকের সঙ্গে যৌথ সামরিক অভিযান বুধবার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দুই সামরিক কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই তীব্রতর করতে এই অভিযান শুরু করতে চাচ্ছে পেন্টাগন।
সোলাইমানিকে হত্যার দুদিন পর গত ৫ জানুয়ারি এই অভিযানে ক্ষান্ত দেয় ওয়াশিংটন। একই দিনে ইরাকে অবস্থান করা পাঁচ হাজার মার্কিন সেনাকে বিতাড়নে ভোট দেন ইরাকি পার্লামেন্ট সদস্যরা।
তবে ১০ দিন বিরতি দিয়ে যৌথ সামরিক অভিযান শুরু করাকে ইরাকি সরকারের কেউ অনুমোদন দিয়েছেন কিনা; তা পরিষ্কার হওয়া সম্ভব হয়নি।
পেন্টাগনের সঙ্গে এএফপি যোগাযোগ করলে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে দেয়ার মতো কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সোমবার বলেন, ইরাকে মার্কিন সেনাদের অবস্থানকে সমর্থন করার কথা ব্যক্তিগতভাবে তাকে জানিয়েছেন দেশটির নেতারা।
তিনি বলেন, তারা এটি প্রকাশ্যে বলতে চাচ্ছেন না। তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ইরাকি সরকার বলছে, ইরাকে ড্রোন হামলা চালিয়ে দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি বলেন, মার্কিন বাহিনীকে বহিষ্কার করতে পার্লামেন্টের নির্দেশ মানতে তার সরকার বাধ্য।
কিন্তু বুধবারে তার কণ্ঠ নরম শোনা গেছে। মন্ত্রিসভায় দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত কথা নাও হতে পারে। যদি আমরা মার্কিন বাহিনীকে ইরাক থেকে তাড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারি, তখনই সেটি হবে ইরাক সরকারের সিদ্ধান্ত।