তাহেরপুরে মার্কেটের ভেতর মরিচের মিল ব্যবসায়ী ও পথচারীদের দূর্ভোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২০; সময়: ৬:৫৩ অপরাহ্ণ |
তাহেরপুরে মার্কেটের ভেতর মরিচের মিল ব্যবসায়ী ও পথচারীদের দূর্ভোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর তাহেরপুর পৌরসভা বাজারের মার্কেটের ভেতরের গলিতে মরিচ ভাঙ্গানো মিল স্থাপন করায় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মার্কেটের ভেতর মরিচের মিল থাকার কারনে মরিচের গুড়ার কারনে ওই এলাকার পরিবেশ দুষিত হয়ে উঠেছে। এতে অনেক ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। পরিবেশ রক্ষায় অবিলম্বে অন্যত্র মিল সরানোর দাবী জানিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, তাহেরপুর পৌর বাজারের মধ্য বাজার গেঞ্জি পট্টির গলির ভেতর রতন শাহ নামক ব্যাক্তি মরিচ ভাঙ্গানো মিল স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। তবে তিনি নিয়মিত মিলে না আসলেও ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যাক্তি কে ম্যানেজার নিযুক্ত করে মিল পরিচালনা করছেন। মিলের চারপাশেই ফার্মেসী, চিকিৎসালয়, হার্ডওয়্যার ও পোষাকের অনেক দোকান রয়েছে।

মিল স্থাপনের পর থেকেই ওই সমস্ত ব্যবসায়ীরা মিলটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবী জানিয়ে আসলেও মিল মালিক প্রভাবশালী হবার সুবাদে রহস্যজনক কারনে মিল সরানোর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

ব্যবসায়ী নিতাই চন্দ্র দাস, প্রশান্ত সাহা, রতন দাস, ইশান দাস, নিমাই দাসসহ ওই এলাকার কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটের গলিতে মরিচ ভাঙ্গানো মিল থাকায় দোকানে বসে থাকা যায়না। ক্রেতারাও এই গলিতে প্রবেশ করলে মরিচের ঝাঁঝে বেশীক্ষন থাকতে পারে না।

চেউখালী গ্রামের রাজু আহম্মেদ জানান, পোষাক কেনার জন্য ওই গলিতে ঢুকে চরম অস্বস্তি দেখা দেয়। তিনি বলেন মরিচের ঝাঁঝে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ি। ব্যবসায়ী নিমাই দাস জানান, মরিচের ঝাঁঝে আমার মত অনেকেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ী কমল জানান, প্রতিদিন মরিচের গুড়ার ঝাঁঝ আশেপাশের সব দোকানেই ছড়িয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ব্যবসায়ীরা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন।

মার্কেট এলাকায় মিল স্থাপনের জন্য পরিবেশের উপর চরম প্রভাব পড়ায় দিন দিন ব্যবসায়ীরা অসুস্থ হয়ে পড়লেও যেন দেখার কেউ নাই। এই এলাকায় চলাচলকারী ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গেঞ্জিপট্টি (মধ্যবাজার) এর সভাপতি ইউপি সদস্য আকতার হোসেন ও সাধারন সম্পাদক আবু হেনা জানান, মার্কেটের গলিতে মরিচ ভাঙ্গানো মিল স্থাপন করায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অচিরেই মিলটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।

মিল ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিলের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবোনা। কিছু জানার থাকলে মালিকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এব্যাপারে মিল মালিক রতন শাহ এর সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে