বাঘায় পদ্মার চরে যুবককে গলাকেটে হত্যা, বাড়িতে স্বজনের আহাজারি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২০; সময়: ৭:১১ অপরাহ্ণ |
বাঘায় পদ্মার চরে যুবককে গলাকেটে হত্যা, বাড়িতে স্বজনের আহাজারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাকির হোসেন (২২) নামের এক যুবককে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৩নং কালিদাশখালি পদ্মার চর এলাকার মোটর ক্ষেত থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী (বামচোখ) ওই যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আগের দিন (২৪জানুয়ারি) রাতের যে কোন সময়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সে ওই গ্রামের খালেক মোল্লার ছেলে। পেশায় ছিলেন কৃষিজীবী। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।

নিহতের চাচাতো ভাই রাশিদুল জানান, ক্ষেতের বেগুন কিনতে আসা লোকজন ওই ক্ষেতের মধ্যে গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের জানান। পরে তারা গিয়ে জাকিরের মরদেহ সনাক্ত করেন।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের পর,ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বিকেলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তবে ওই যুবককে কেন নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে এ ব্যাপারে আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সাথে কারো দ্বন্ধ-বিবাদ ছিল কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিহত জাকির হোসেন পিতা আব্দুল খালেক মোল্লা জানান,শারিরিক অসুস্ততা কথা বলে এশার নামাজের পর ঔষদ কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। বাড়িতে ফেরা না দেখে স্বজনদের নিয়ে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাননি। পরদিন সকালে লোকমুখে খবর পেয়ে রাশিদুলের মোটর ক্ষেতে গলাকাটা অবস্থায় তার মরদেহ পান।

তিনি আরো জানান, সে কৃষি কাজ করতো। ঘটনার ৩দিন আগে বাতামের ক্ষেত নিয়ে পাশ্ববর্তী দাদপুর গ্রামের লোকের সাথে বিবাদ হয়েছিল। কোন একজনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল বলে কান্না করে একথা বলছিলেন তার মা বুলবুলি। তবে কার সাথে কথা বলছিলো সে কথা বলতে পারেননি।

সরেজমিন নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,স্বজন হারানোর শোকের মাতম । দৃুই সন্তানের একজনকে হারিয়ে নির্বাক বাবা খালেক মোল্লা। মা বুলবুলি আর একমাত্র বোন আমেনার কান্নায় চোখের পানি ধররে রাখতে পারছিলেন না প্রতিবেশিরাও। তারা কান্না করে বলছিলেন,তুমি আমারে ছাইরা এভাবে কেমনে চলে গেলে। একটা কথাও কইয়া গেলানা।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে