ঢাবির ৬৭ শিক্ষার্থী স্থায়ী বহিষ্কার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২০; সময়: ১০:২৩ অপরাহ্ণ |

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তি এবং অবৈধ অস্ত্র ও মাদক দ্রব্যের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তি হওয়ায় ৬৩ জন এবং অবৈধ অস্ত্র ও মাদক দ্রব্যের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। গত ১৪ জানুয়ারি উপাচার্য আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভা থেকে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশের ভিত্তিতেই এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এছাড়া সভায় ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির অভিযোগে আরও নয়জন এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তাদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না- এই মর্মে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের ইতোপূর্বে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল এবং সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশক্রমে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও টিএসসিতে গত ২৫ অক্টোবর সংঘটিত সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএইচ.ডি. থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় তাকে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে