‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে যাচ্ছি’

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০; সময়: ১:১৩ অপরাহ্ণ |
‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে যাচ্ছি’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটা ব-দ্বীপ। প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এ দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা ডেল্টা প্লান ২১০০ প্রণয়ন করেছি। ইতিমধ্যে অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। আর এর জন্য সব চেয়ে বেশি দরকার হবে দক্ষ জনগোষ্ঠি সৃষ্টি করা।’

আজ রোববার ২৩তম আইডিইবি জাতীয় সম্মেলন এবং ‘স্কিলস রেডিনেস ফর এচিভিং এসডিজি এন্ড এডপটিং আইআর ৪.০’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছি। একটি দেশকে গড়ে তুলতে হলে দক্ষ জনগোষ্ঠি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে দেশের মানুষ যেন সমান তালে এগিয়ে যেতে পারে তার চেষ্টা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘৭৫’র পর প্রায় ২১ বছর পরে ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করি। আমরা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে চেষ্টা করছি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট, পুল-কালর্ভাট থেকে শুরু করো অবকাঠামো গঠনে কাজ করেছি। ২০০৮ এ সরকারে এসে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে হাত দেই। আমরা বাংলাদেশকে প্রযুক্তি নির্ভর করতে কাজ করছি। আমরা প্রতিটি খাতকে বেসরকারী খাতে ছেড়ে দিয়েছি। দেশকে এগিয়ে নিত বড় বড় প্রকল্পে কাজ করছি। সেখানে আপনাদের অবদান আছে। আমরা প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এখন সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী বাস্তবায়নে কাজ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশ গঠনে হাত দিয়েছিলেন। তিনি প্রথম ঢাকায় পলিকেটনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সকল কাজে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অবদান রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ সব কিছু মিলিয়ে আপনাদের আবদান রয়েছে।’

২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘পরিকল্পনা করে কাজ করছি। ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে তার পরিকল্পনা বস্তবায়নে কাজ করছি। এ মুজিববর্ষেই প্রতিটি মানুষের বসবাস উপযোগী ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষই ঘর পাবে। জাতির পিতা এটি শুরু করেছিলেন। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছি। মানুষের মৌলিক অধিকার একে একে পূরণ করে যাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিডিপি উন্নিত করেছি। আমাদের একটা লক্ষ্য আছে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণ করতে চাই। আজকে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই। আমরা স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত ও সমৃদ্ধশীল দেশে রূপান্তর করব।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালোরাতে হত্যাকান্ডের শিকার জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যবৃন্দ, শহীদ চার নেতা, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ এবং ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে