পরিদর্শকের গাফিলতিতে কম সময়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে ৩২ শিক্ষার্থীকে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০; সময়: ২:৩৪ অপরাহ্ণ |
পরিদর্শকের গাফিলতিতে কম সময়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে ৩২ শিক্ষার্থীকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শকের গাফিলতির কারনে ৩২ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে দেরীতে পরীক্ষার প্রশ্নপ্রত্র দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট দেরীতে পরীক্ষা দিতে হয়। একই সাথে নির্ধারিত সময়ের অন্তত ২০ মিনিট কম সময়ের মধ্যে লেখা শেষ করতে বাধ্য হয়েছে তারা। এঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।

তাদের অভিযোগ, পরীক্ষা পরিচালনার নিয়ম সম্পর্কে না জেনে দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শকের ভুলে ২০ মিনিট কম লিখতে পারেনি তাদের সন্তানরা। সোমবার নাটোর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা চলার সময় ঘটনাটি ঘটে। ওই কক্ষে নাটোর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নাটোর সুগার মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ জন করে পরীক্ষার্থী অংশ নেন।

নাম প্রকাশ না করে একাধিক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, সোমবার সকাল ১০টায় নাটোর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মাধ্যমে বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা শুরু হয়। কেন্দ্রের ২০৩ নম্বর কক্ষে সেসময় একাই দায়িত্ব পালন করছিলেন একজন পরিদর্শক। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বহুনির্বাচনী পরীক্ষা শেষে ৩২ পরীক্ষার্থীর থেকে উত্তরপত্র ফেরত নেন কক্ষ পরিদর্শক। এর পর ১০টা ৩০ মিনিট থেকে প্রায় ২০ মিনিট অতিবাহিত হলেও পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র সরবরাহ করেননি তিনি । এসময় প্রশ্নপত্র না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই পরীক্ষক প্রশ্নপত্র প্রদানের ঘন্টা না বাজা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন পরীক্ষার্থীদের। পাশের কক্ষগুলোর পরীক্ষার্থীদের লিখতে দেখ তারা কক্ষ পরিদর্শককে প্রশ্নপত্র দিতে অনুরোধ করেন। এসময় ওই কক্ষের দায়িত্বরত অপর পরিদর্শক ও বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা এসে দেখেন তখনও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়নি। তিনি দ্রুত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করলে তারা লেখা শুরু করে।

নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ওই শিক্ষিকা বলেন, লিখিত প্রশ্নপত্র সরবরাহের জন্য ঘন্টা বাজানো হয় না ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, অতিরিক্ত সময় না দিয়ে নির্ধারিত সময়ে উত্তরপত্র নেয়ায় সকল প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারেনি অনেক পরীক্ষার্থী। প্রথম পরীক্ষার দিন এমন ঘটনা ঘটায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে তারা। পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি পরীক্ষা পরিচালনা পদ্ধতি সম্পর্কে ঠিকমতো কক্ষ পরিদর্শকদের নির্দেশনা না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।

কেন্দ্র সচিব এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বিলম্বে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। কোন পরীক্ষার্থী অভিযোগও করেনি। পরীক্ষার সময় ওই কেন্দ্রে জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ অনেক গণমাধ্রম কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাই এমনটি ঘটার কোন সুযোগ নেই।

তবে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সোমবার রাতে জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ বলেন, আগামীদিন থেকে পরীক্ষা গ্রহণে আরো সতর্ক হতে কেন্দ্র সচিবদের মাধ্যমে কক্ষ পরিদর্শকদের নির্দেশনা দেয়া হবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে