নতুন নিয়োগেই আগ্রহ রাবি প্রশাসন
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, রাবি : চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে (রাবি) মাস্টাররোলে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা। রাজনৈতিক প্রভাব, তদবির ও প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে চাকরি স্থায়ী হচ্ছেনা বিশ^বিদ্যালয়ে দুই যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত প্রায় ২৮০ জন মাস্টাররোল কর্মচারিরা। তাদের দাবি নিয়োগে মাস্টাররোল কর্মচারীদের অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বরং নতুন নিয়োগেই আগ্রহী প্রশাসন।
অব্যাহত আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে মাস্টাররোল কর্মচারিদের ঐক্য পরিষদ এক মানববন্ধন আয়োজন করে। এসময় কর্মচারীরা তাদের চাকরী স্থায়ীকরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
এসময় তারা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দুই দফা দাবি পেশ করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- বিশ^বিদ্যালয়ে যোগদানের তারিখ থেকে চাকরী স্থায়ী করতে হবে ও অবিলম্বে যাবতীয় বেতন-ভাতা এরিয়া আকারে প্রদান করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাসুদুর রহমান বলেন, গত ২০০৮ সালের ২০ ডিসেম্বর তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয় বিশ^বিদ্যালয়ে বর্তমান দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে কর্মরত আছে তারা সেভাবে থাকবে। ভবিষ্যতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এরপর বিশ^বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সিন্ডিকেট সভায় প্রায় দেড় হাজারের বেশি জনবল নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু মাস্টাররোল কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়নি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাস্টাররোল কর্মচারি ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, হাসিনা বেগম, সাধারণ সম্পাদক মামুন তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন বাদশা, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শ্রাবণ গীতা, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামাল প্রমুখ।