স্মৃতিবিজরিত প্রশ্ন
এই-যে নিজ হাতে করা
তোমার ফুলের বাগানটা দেখো?
এইতো সেদিন চারাগুলো লাগালে,
দেখো কতো সুন্দর ফুল ফুটে রয়েছে,
বাতাসে কেমন সু-ঘ্রাণ ছড়িয়ে দিচ্ছে।
জানো, বিকালে একটু ঘুরতে গেলে
তারা রোজ কি প্রশ্ন আমাকে করে?
বলে যার হাতের যত্ন পেয়ে
এখানে আমাদের শেকড় গজিয়ে ছিল,
সে আর ঘুরতে আসে না কেন?
এই-যে জানালার পাশে রাখা
তোমার পোষা পাখিগুলো দেখো?
কত সুন্দর তারা কিচিরমিচির ডাকে,
এখন তো তারাই আমার ঘুম
ভাঙ্গায় ভোরে।
জানো, তাদের সাথে কথা বলতে গেলে
তারা রোজ কি প্রশ্ন আমাকে করে?
বলে যার একান্ত চাওয়াতে
আমাদের কথা শেখানো হয়েছিল,
সে আর কথা বলতে আসে না কেন?
এই-যে ঘরের মধ্যে গড়া
তোমার প্রত্যেকটা জিনিসকে দেখো?
তারা তো প্রতিটা মুহুর্তে
আমাকে প্রশ্নে জর্জেরিত করে রাখে।
জানো, ঘরের ভিতরে থাকলে
তারা রোজ কি প্রশ্ন আমাকে করে?
বলে যার পছন্দ অনুসারে
আমাদের সাজিয়ে রাখা হতো,
সে আর সাজাতে বলে না কেন?
আচ্ছা; তুমি কি তাদের এ প্রশ্নগুলো
শুনতে পারো?
আচ্ছা; আমার এই আমিটাকেই-বা
তুমি কি একটু অনুভব করো?
হয়তো প্রশ্নগুলো শুনতে পারো,
হয়তো আমার আমিটাকেও অনুভব করো,
কেবল ফিরে আসতে পারো না,
কারন, তুমি যে না ফেরার দেশে গেছো!
কিন্তু একটি কথা শুধু বলো,
এই যে রোজ তাদের একই প্রশ্ন,
তুমি নেই কেন, তুমি নেই কেন
বলো তাদের কি উত্তর দেবো?
লেখক : সুলতান মাহমুদ
বিভাগ- দর্শন,
বর্ষ- তৃতীয়,
রাজশাহী কলেজ।