রাজশাহী বিভাগে পর্যবেক্ষণে ৪১৬, ছাড়পত্র পেয়েছে ৭ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য মতে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় সোমবার মোট ৪১৬ জনকে নিজ বাড়িতে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে, যার মধ্যে ৩০০ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের। এদিন সাতজনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪ জন রাজশাহী জেলার।
রাজশাহী বিভাগের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া নওগাঁয় ৪৪ জনকে, বগুড়ায় ৩০, নাটোরে ১২, পাবনায় ১৩, সিরাজগঞ্জে ১১ ও জয়পুরহাটে ৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে কোন রোগী নেই বলে জানিয়েছে জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হক। তিনি বলেন, যে চারজন ছিলেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১৪ দিন মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায়ার পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তাই তাদেরকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। একই দিনে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে নাটোরে কোয়ারেন্টাইন থেকে দুই জনকে ও বগুড়ায় একজনকে।
রাজশাহী জেলার সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আমরা মিটিং করেছি। নিজ বাড়ি বা মহল্লায় বিদেশ ফেরত কেউ থাকলে তাদের তথ্য স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকার অর্থ করোনায় আক্রান্ত নয়। নিজ পরিবারের সদস্য, এলাকা ও দেশের স্বার্থে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাদের সকলের সচেতনতাই পারে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: জাহিদ নজরুল চৌধুরি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সোমবার (১৬ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫৮ জন বাংলাদেশী, ৪০ জন ভারতীয় ও দুইজন নেপালী ছাত্র।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সোনামসজিদ বন্দর ব্যবহারকারী সকলকে ভালভাবে চেকআপ করছে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম। ভারতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ভারত থেকে আসা সব পাসর্পোটধারী যাত্রীর পুরো ঠিকানা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সবাইকে অন্তত ১৪ দিন স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।