এত ত্রাণ, তবু কেন নাই খাই?

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২০; সময়: ১০:২৫ অপরাহ্ণ |
খবর > মতামত
এত ত্রাণ, তবু কেন নাই খাই?

সরকার দুলাল মাহবুব : ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। মনে যা আসছে তা হয়তো লিখতে পারবো না। ডিজিটাল ফাঁদে কার লাগাম কার হাতে কে জানে? তাছাড়া লেখাটি পড়ে অনেকে দুঃখ পেতে পারন, মনঃক্ষুন্নও হতে পারেন। এরপরও রাষ্ট্র, সমাজ, জনগণ ও বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকেই কয়েকদিন ধরে কিছু বলার জন্য মনটা খুঁত খুঁত করছে। ফল কী হবে জানিনা, তবে প্রবাদ থেকে জানা, কোন কিছুই বিফলে যায় না। সেই বিশ্বাস নিয়েই বলতে চাই কিছু।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত বন্ধের কারণে কর্মবিচ্যুত লাখ লাখ মানুষের রোজগারের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে নিত্যদিনের খাবারে টান পড়েছে নিম্ন আয়ের অসংখ্য মানুষের। গরিব অসহায় মানুষের সহায়তায় সরকার এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলেও সমন্বয়হীনতায় ত্রাণ কার্যক্রমে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ দেওয়ায় বিভিন্ন স্থানে মারামারি, হট্টগোল হচ্ছে। ত্রাণ লোপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে। সেই খবর প্রকাশের কারণে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরাও। কারণ কি? কারণ হতে পারে প্রকৃত অভাবি মানুষ হয়তো ত্রাণ পাচ্ছে না। অন্যদিকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।

তবে যাই হোক কিছু ব্যত্যয়, কিছু সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এ নিয়ে অনেক মানুষের অভিযোগ আছে। বেশী দুরে যাব না। বিস্তর অভিযোগ থাকা সত্বেও শুধু রাজশাহী জেলাতে সরকারি হিসেব মতে নগরীসহ এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৪০ হাজার পরিবারে ৩ হাজার ৪০০ মে.টন চাল, প্রায় ৪০ হাজার পরিবারে নগদ অর্থ ১ কোটি ২৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে ও হচ্ছে।

এছাড়াও শিশু খাদ্য বাবদ আরো ৩০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। মনে হয় এ অনুদান একেবারে কম নয়। আবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৮ হাজারসহ নতুন করে ওএমএসের আওতায় এসেছে ১৪টি পৌরসভায় ৫২ হাজার পরিবার।
এতো গেল সরকারি হিসাব। তবে যে অনেক প্রতিষ্ঠান ত্রাণ তহবিল করে সেখান থেকেও অকাতরে বিতরণ করছেন যা পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও অনেক সমিতি, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে, ব্র্যাক, আশা, পদক্ষেপ, বুরো বাংলাদেশসহ বিভিন্ন এনজিও সাধ্যমত ত্রাণ তহবিলও সমৃদ্ধ করছে।

আরো আছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও অনেক বিতরণ হয়েছে। আবার ওএমএস, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবাভাতা অর্থাৎ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর সকল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এখন প্রশ্ন, তার পরও কেন নাই.. খাই.. মিটছে না। ত্রাণের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে! তাহলে কি কর্তাব্যক্তিরা তৃণমূলে না যেয়ে টেবিলে বসেই কর্মহীন মানুষের তালিকা করে ত্রাণ বিতরণ করেছেন? নাকি আর্থিক পরিবর্তন হলেও মানসিকভাবে আমরা আগের অবস্থানেই রয়ে গেছি? আমরা কি এখনো গত শতকের ষাটের দশকের প্রথম দিকের লে. জেনারেল আজম খানের নামে প্রচলিত গল্পটি থেকে বেরুতে পারিনি?

লে. জেনারেল আজম খানের নামে প্রচলিত গল্পটি ছিল- ড. আকবর আলী খানের লেখা ‘অবাক বাংলাদেশ : বিচিত্র ছলনা জালে রাজনীতি’ গ্রন্থের একটি প্রবন্ধ ‘বিকেন্দ্রীকরণ ক্ষমতার দ্বৈত হস্তান্তর’। গত শতকের ষাটের দশকের প্রথমদিকে গল্পটি লে. জেনারেল আজম খানের নামে প্রচলিত ছিল। তিনি তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।

চট্টোগ্রামে ঘুর্ণিঝড়ের পর তিনি উপদ্রুত এলাকা সফরে যান। সেখানে তিনি খবর পান যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা সাত দিনের মধ্যে প্রণয়ন না করলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে না। এ বার্তা পেয়ে আজম খান সঙ্গে সঙ্গে চিফ সেক্রেটারিকে ফোন করে বলেন, ‘আমি ৬ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা চাই, যদি না হয় তবে পাছাই একটি লাথি দিব’। তিনি একদিন সময় হাতে রাখলেন।

সামরিক কর্মকর্তার গালি খেয়ে চিফ সেক্রেটারি কমিশনারকে ফোন করলেন এবং বললেন মি. কমিশনার ৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা না দিতে পারলে পাছাই দুইটি লাথি মারবেন তিনি। কমিশনার এ ফোন পেয়ে ডেপুটি কমিশনারকে ফোন করলেন এবং বললেন, চারদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য তাকে দিতে হবে, অন্যথায় ডেপুটি কমিশনারের পাছাই তিনি তিনটি লাথি মারবেন। ডেপুটি কমিশনার সঙ্গে সঙ্গে মহকুমা প্রশাসককে ফোন করলেন এবং বললেন যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা তিনদিনের মধ্যে দিতে হবে। না দিতে পারলে তাঁর পাছাই চারটি লাথি দেয়া হবে।

মহকুমা প্রশাসক সার্কেল অফিসারদের ফোন করলেন এবং বললেন, দুইদিনের মধ্যে সব তথ্য তার কাছে পৌঁছাতে হবে আর যদি সার্কেল অফিসার এ কাজ যথা সময়ে করতে না পারেন, তবে তার পাছাই পাঁচটি লাথি দেওয়া হবে। সার্কেল অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে জানালেন, দুদিনের মধ্যে তাঁকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে, অন্যথায় তার পাছাই পড়বে ছয়টি লাথি।

লাথির হুমকিতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান চৌকিদারকে ডেকে তার পাছাই একটি লাথি মারেন এবং বলেন, একদিনের মধ্যে সব তথ্য সংগ্রহ করে তাঁকে দিতে হবে, অন্যথায় তাঁর কপালে আরো লাথি জুটবে। মনের দুঃখে চৌকিদার অফিস থেকে বের হয়ে সামনে যে ব্যক্তিকে পেলেন, তাঁকে প্রথমে সজোরে একটা চড় মারলেন ও তারপর তার নাম জিজ্ঞেস করলেন। নামটি সঙ্গে সঙ্গে কাগজে টুকে নিলেন। তারপর ভাবলেন যে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির নাম চেয়েছে। দুশো’ নাম হলেই কাজ হয়ে যাবে। তিনি লোকটিকে বললেন যে, তাকে আরো ১৯৯টি নাম দিতে হবে। ইতমধ্যে চৌকিদারের কান্ড দেখে রাস্তায় অনেক লোক জড়ো হয়ে গেল। সবার সহযোগিতায় এক ঘন্টার মধ্যে দুশো নামের তালিকা তৈরী হয়ে গেল। চৌকিদার সঙ্গে সঙ্গে তা চেয়ারম্যানের কাছে দাখিল করলেন।

চেয়ারম্যান সঙ্গে সঙ্গে ওপরের দিকে পাঠিয়ে দিলেন। এমনি করে সারা বিভাগের তথ্য যথাসময়ে সংকলিত হয়ে গভর্ণরের কাছে পৌছে গেল। গভর্নর মহাখুশি যে বেধে দেয়া সময়ের আগেই তাঁর প্রশাসন কাজটি সম্পন্ন করেছে। প্রশাসন সাফল্য দাবি করলেও আসলে কাজটি ব্যর্থ হয়। যে তালিকা প্রণয়ন করা হয়, সে তালিকা ভুয়া এবং যখন রিলিফ আসে, তখন ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও চৌকিদার ভুয়া লোকদের জন্য পাঠানো ত্রাণ অতি সহজে আত্মসাৎ করেন।

তবে ওপরের দিকের কর্তারা এ ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করতে পারেন যে তাঁদের প্রশাসন ব্যবস্থা কার্যকর এবং ঠিক সময়ে কাজটি করেছে। কিন্তু আসলে দেখা গেল যে ওপরের কর্মকর্তারা যতই হাম্বিতাম্বি করুন না কেন, লাথি খেয়েছেন চৌকিদার আর চড় খেয়েছেন সাধারণ মানুষ। দুর্গত মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা যায়নি আর ভুয়া তালিকায় রিলিফের মাল হয়ে গেছে চুরি। এ ধরণের কেন্দ্রীভূত প্রশাসনে জনগণের কোনো অংশ নেই এবং কার্যকর প্রশাসনের দৌলতে অতিক্ষুদ্র তালিকা তৈরী হলেও জনগণের কোনো লাভ হয়নি?

সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও ব্যাপক ত্রাণ প্রাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ দেশের জন্য সরকারিভাবে পর্যাপ্ত না হলেও অনেক ত্রাণ বরাদ্দ ও পাওয়া গেছে তা বিভিন্ন পত্রিকার খবর ও মন্ত্রনালয়ের হিসেব থেকে পাওয়া যাচ্ছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও লালফিতার দৌড়াত্মের পরও বরাদ্দকৃত ত্রাণ জনগণের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। যেন সরকার, ব্যক্তি, ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দলের ত্রাণের ফুলঝুরি ছুটছে। এরপরও পেটের জন্য রাস্তায় দাঁড়াচ্ছে অনেক ক্ষুধার্ত মানুষ। আবার বেঁচে থাকার দাবিতে রাস্তা অবরোধ চলছে। এখন প্রশ্ন হলো ত্রাণ পাচ্ছে কারা? ত্রাণ যাচ্ছে কোথায়?

সেদিন একটি অনলাইন পত্রিকায় দেখলাম অমুক ওয়ার্ডে রাতের আঁধারে তালিকায় নাম না থাকা নিজেদের লোকদের ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। পরে অবশ্যই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তালিকা দেখে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌছেছেন। টাকার বস্তা গায়েব করছে কারা, ২০ হাজার টাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নথি বের করছে কেন ও কি উদ্দেশ্যে। করোনার এ সংকট মুহুর্তে অমানবিক কার্যক্রম ও অস্থিতিশীল করছে কারা? নাকি পরিকল্পিত পদক্ষেপের ঘাটতিতে জনগণের হৈ চৈ।

কয়েকদিন আগে দেখলাম মুণ্ডুমালা পৌরসভায় একই নামে একাধিক তালিকা, একাধিক মৃত ব্যক্তির নামে তালিকা, এক ব্যক্তির নাম আছে তো অন্য ব্যক্তির মোবাইল নম্বরসহ নানা বিপত্তি। আবার জনপ্রতিনিধিরা ঘটা করে এসব ব্যত্যয়ের ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করে সাদা হন। তবে সবায় ওই কাতারে আছেন এমনটি বলা ঠিক হবে না। এরমধ্যেও অনেকে অকাতরে ত্রাণ দিচ্ছেন হয়তো বা।

আবারো সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার জন্য এক হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের দুই শাখা থেকে এ অর্থ ছাড় করা হয়েছে। আগামী ১৪ মে এ টাকা দেয়ার কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

এতে রাজশাহী জেলায় আরো এক লাখ ৩০ হাজার পরিবার ত্রাণের আওতায় আসছে। যার মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ৫০ হাজার এবং জেলার ১৪টি পৌরসভা ও ৭২টি ইউনিয়নে ৮০ হাজার পরিবার। এ তালিকা নিয়ে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন জনপ্রতিনিধি কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।

একটি অসমর্থিত সুত্র থেকে জানা গেছে, প্রত্যেক পরিবার মাসিক ২৫শ’ টাকা ও ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ পাবে। দুই একদিনের মধ্যেই এ সুবিধা পাবে তালিকাভূক্তরা। তবে সেন্ট্রাল ডাটাবেইজে তালিকা নিবন্ধনের ওপর নির্ভর করছে বিতরণের দিনক্ষণ। ডাটাবেইজে অন্তর্ভূক্তের আগেই যাচাই-বাছাইয়ে অনেক ব্যত্যয় ধরা পড়ে। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় কমিটি দিয়ে তৈরী এ তালিকাতে গড়মিল থাকায় আবারো যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রশাসন। আর এতে নিরীক্ষণের কাজ করছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সবশেষে বলি, করোনা ভাইরাস আমাদের কাছে মহামারি হিসেবে নয়, শিক্ষক হিসেবে এসেছে। মহাশিক্ষক হিসেবে। লালসায় পড়ে স্বার্থপরতার সিঁড়িতে চড়তে চড়তে আমরা এতোটাই দুরে চলে গেছি যে মানবিক বিষয়টি আমাদের ভেতর থেকে হারিয়ে গেছে। আমরা কত স্বার্থপর তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে করোনা ভাইরাস। অনেক কষ্ট করে সরকার দেশের মানুষকে বাঁচাতে ত্রাণ দিচ্ছে। আর সেই ত্রাণ চুরি হচ্ছে। বিতরণের দ্বায়িত্বে থাকা অনেকের ঘরেই মিলছে গরীব মানুষের ত্রাণের চাল, তেলসহ খাদ্যসামগ্রী। কবে আমাদের মন থেকে কয়লা সরবে? কবে আমরা মানুষ হবো? কবে আমরা ভালোবাসার চোখে মানুষের দিকে তাকাতে শিখবো?

গভীরে তাকিয়ে দেখি, সত্যি আমরা মানবিক সমাজ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছি। নিজেদের স্বার্থে আমরা ভোগ ও বিলাসের সমাজ তৈরি করেছি। যেখানে মানুষ সময় পায় না মানুষের জন্য ভাবতে। শুধু ভাবে নিজের জন্য।

দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আয়ের মানুষজন রয়েছে গভীর সংকটে। এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা করোনা ভাইরাস নামের শিক্ষক থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। জীবনের জন্য বাড়ি, গাড়ি, অট্টালিকার প্রয়োজন সত্যিই তুচ্ছ। প্রয়োজন ভালোবাসার। ভালোবাসায় সিক্ত হোন। নির্মল ভালোবাসা, যা সুখে সিঞ্চিত করে মন-প্রাণ। আর তা পাওয়া সম্ভব মানবসেবার মধ্যেই।

লেখক- সাংবাদিক, কলামিস্ট ও কবি, মোবাইল নং- ০১৭১৮-৫৪১৮৫৫

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে