নেয়ামত শোকর করি
হোছাইন আহমাদ আযমী : মহান আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত অগণিত নেয়ামতের মাঝে আমরা প্রতিনিয়ত ডুবে আছি। আমাদের জন্য তাঁর কী ব্যাপক আয়োজন! সুবিশাল নীলাকাশ, সুবিস্তৃত জমিন, চন্দ্র-সূর্য আর তারকাখচিত আসমান, সুউচ্চ পাহাড়-পর্বত, নয়নাভিরাম পুষ্পরাজি, জ্যোৎস্না প্লাবিত রজনী, উপাদেয় খাদ্যসামগ্রী, দৃষ্টিনন্দন সমুদ্র-সৈকত, সবুজ বৃক্ষরাজি, সুদৃশ্য ঝর্ণাধারা, নির্মল সমীরণ, সুশীতল পানি এবং আমাদের না-জানা এরকম আরও হাজারো লাখ নেয়ামত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন- আর যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামতসমূহ গণনা করতে থাক, তবে তা গুনে শেষ করতে পারবে না। (সূরা নাহল (১৬) : ১৮)
কিন্তু কেন এত কিছুর আয়োজন তা কি ক্ষণিকের তরেও আমরা একটু ভেবে করে দেখেছি?
মানবদেহ মহান সৃষ্টিকর্তার এক অতি বিস্ময়কর ও আশ্চর্যজনক নেয়ামত। অসাধারণ ও অনিন্দ্যসুন্দর আকৃতিতে মানুষের সৃজন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দিয়েছেন দেখার জন্য চোখ, বলার জন্য মুখ, ধরার জন্য হাত, স্বাদ গ্রহণের জন্য জিহবা, শোনার জন্য কান, অনুভূতির জন্য ত্বক, ঘ্রাণের জন্য নাক, চলার জন্য পা এবং আরও কত কী! এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রত্যেকটি এক একটি অমূল্য সম্পদ। এসব ছাড়াও দেহাভ্যন্তরে রয়েছে হার্ট, লিভার, ভাল্ব, ফুসফুস, পাকস্থলী, কিডনীসহ অসংখ্য মূল্যবান নেয়ামত, যার কোনো কোনোটি বিকল হলে সমগ্র বিশ্বের সবকিছুর বিনিময়েও সচল করা অসম্ভব। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- যারা নিশ্চিত বিশ্বাসী তাদের জন্য পৃথিবীতে রয়েছে বহু নিদর্শন। এবং স্বয়ং তোমাদের (নিজ সত্তার) মাঝেও; তবুও কি তোমরা অনুধাবন করতে পার না? (সূরা যারিয়াত (৫১) : ২০-২১)
আল্লাহ তায়ালার এসব নেয়ামত নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করলে অনেক হতাশা, ক্ষোভ ও না-প্রাপ্তির বেদনা প্রশমিত হয়ে মনের গভীরে এক অনাবিল প্রশান্তির অনুভূতি জাগ্রত হয়। যেমন কিনা দামি জুতা না-প্রাপ্তির বেদনায় ব্যথিত যুবক দুই পা-বিহীন কাউকে পর্যবেক্ষণ করে নিমিষে মনের মধ্যে এক স্বস্তি ও সান্তনা অনুভব করতে পারে একথা ভেবে যে, জুতা না থাকলেও নিজের অন্তত দুটো পা তো আছে, আর তার যে পা-ই নেই।
সামান্য এক গ্লাস ঠান্ডা পানির কথা ভাবলেই অনুভব করা যায় এটা কত বড় নেয়ামত।
বাদশাহ হারুনুর রশীদ একবার ভীষণ পিপাসার্ত অবস্থায় পানি পান করতে চাইলেন। তখন তার সামনে ইবনুস সাম্মাক (প্রসিদ্ধ বুযুর্গ) উপস্থিত ছিলেন। তিতি অত্যন্ত বিচক্ষণ, জ্ঞানী ও আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর সাথে বাদশাহর ভালো সম্পর্ক ছিল। বাদশাহ পানি পান করতে চাইলে সে বলে উঠল, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনাকে যদি এই পানি না দেওয়া হয় এবং আপনাকে তা কিনতে হয় তাহলে আপনি কত দিয়ে এই (এক গ্লাস) পানি ক্রয় করবেন? বাদশা উত্তরে বললেন আমার রাজত্বের বিনিময়ে। ইবনুস সাম্মাক আবার প্রশ্ন করলেন যদি এ পানি বের হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি হয় (আর্থাৎ প্রস্রাব না হয়) তাহলে এর জন্য আপনি কত ব্যয় করবেন। এর উত্তরেও হারুনুর রশীদ বললেন, আমার রাজত্বের বিনিময়ে হলেও আমি তা বের করার ব্যবস্থা করব।তখন ইবনুস সাম্মাক বললেন, যে রাজত্বের মূল্য সামান্য এক গ্লাস পানি তা নিয়ে দ্বন্দ্ব-প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হওয়া কি সাজে? অর্থাৎ আপনার রাজত্বের মূল্য আল্লাহর অগণিত নেয়ামতসমূহের মধ্য হতে সামান্য এক গ্লাস পানির কাছে কিছুই না। (দ্র. শাজারাতুয যাহাব ২/৪৩৪, হারুনুর রশীদ রাহ.-এর জীবনী দ্রষ্টব্য)
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- তোমরা যে পানি পান কর তা সম্পর্কে কি চিন্তা করেছ? তা কি মেঘ হতে তোমরা নামিয়ে আন, না আমি তা বর্ষণ করি। আমি চাইলে তা লবণাক্ত করে দিতে পারি। তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না। (সূরা ওয়াকিয়া (৫৬) : ৬৮-৭০)
এ নেয়ামত যদি আল্লাহ আমাদের থেকে ছিনিয়ে নেন তাহলে আমাদের কিছুই করার নেই। আল্লাহ পানির লেয়ার আমাদের নাগালের বাইরে নামিয়ে দিলে কারো সাধ্য নেই তার নাগাল পাওয়ার। কিন্তু আল্লাহ নেন না; আমাদের নাফরমানি সত্ত্বেও তিনি আমাদের জন্য তা অবারিত রেখেছেন। তার পরও কি আমর তাঁর কৃতজ্ঞ হব না? আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- বল, তোমরা ভেবে দেখেছ কি? যদি পানি ভূগর্ভে তোমাদের নাগালের বাইরে চলে যায়, তখন কে তোমাদেরকে এনে দেবে প্রবহমান পানি? (সূরা মুলক (৬৭) : ৩০)
এভাবে আল্লাহ তাআালার নিআমত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলে এসব নিআমতের অপরিসীম গুরুত্ব ও তাৎপর্য কিছুটা হলেও আমাদের উপলব্ধিতে আসবে।
আমাদের দেশে মজাদার খাবারসমূহের মধ্যে ইলিশ অন্যতম। একজন জেলে তার রাতের ঘুমকে নষ্ট করে, সংসার-সন্তানের মায়া ত্যাগ করে, নৌকাডুবি কিংবা উত্তাল ঢেউয়ের পরোয়া না করে নিজের জীবন বাজী রেখে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরতে গিয়ে অনেকসময় নানারকম দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় অনেক জেলের সলিল সমাধিও ঘটে থাকে। আহরিত মাছ জেলে বাজারে ছেড়ে দেন। সে মাছ কিনে এনে অনেকে রসনাকে তৃপ্ত করে। জেলে যদি মাছ না ধরত বা মাছ বাজারে না দিত তাহলে টাকা-পয়সা থাকা সত্ত্বেও ইলিশের ঘ্রাণ নেওয়াও হয়ত সম্ভব হত না। জেলে বা অন্য কেউ যদি এ দয়াটুকু না করত তাহলে ইলিশ খেতে চাইলে মাছ ধরার প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে নদিতে গিয়ে হাজির হতে হত। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য কত সহজ করে দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান দেওয়ার জন্য তিনি মানুষের অন্তরে বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রেরণা জাগ্রত করে দিয়েছেন। এভাবে জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য দ্রব্যাদি নিয়ে ভাবলেও দিল থেকে আল্লাহর শুকরিয়া আসবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- তোমার রবের করুণা কি তারা বণ্টন করে? আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে; এবং একজনকে অপরের উপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অন্যের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে এবং তারা যা জমা করে তা থেকে তোমার রবের অনুগ্রহ অনেক শ্রেয়। (সূরা যুখরুফ (৪৩) : ৩২)
আজ দুনিয়াতে হাজারও পেশা থাকা সত্ত্বেও একজন জেলের দিলে ইলিশ ধরার স্পৃহা যিনি জেলে দিলেন, ইলিশ খাওয়ার সময় সেই মহান দয়ালু রবের কথা কি একটিবারও আমরা স্মরণে আনব না? তাঁর শোকরিয়া আদায় করব না?
মানুষের আত্মিক প্রশান্তি ও স্বর্গীয় অনুভূতির এক চমৎকার ও উৎকৃষ্ট নিদর্শন ফুল। পৃথিবীতে কত সহস্র প্রজাতির ফুল আছে তা একমাত্র আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। প্রতিটি ফুলের দিকে গভীরভাবে দৃষ্টিপাত করলে বোঝা যায়, এক মহান সৃষ্টিকর্তার সুনিপুণ সৃষ্টি এটি। এর রঙ, বর্ণ, গন্ধ, আকার নিয়ে ভাবলে দিশেহারা হতে হয়। মহান রবের যে কী অনুপম সৃষ্টিশৈলীর চিন্তা করলে অবাক হতে হয়। এত অজস্র প্রকার আর প্রজাতির ফুল না হলেও তো কোনো অসুবিধা ছিল না। হাতে গোনা কয়েক প্রকার ফুলই তো যথেষ্ট ছিল। কিন্তু দয়ার সাগরের অফুরন্ত ভান্ডার যেন বান্দাকে সমস্ত কিছু দেবার জন্য সদা প্রস্তুত। মহাদানশীল সেই রব তাঁর প্রিয় বান্দার মনোরঞ্জনের জন্য মানুষকে দান করেছেন তার ভাবনা আর কল্পনার চেয়েও বেশি। যিনি ফুলের মতো চিত্তাকর্ষক ও অসম্ভব সুন্দর জিনিস তৈরি করে তাঁর কুদরতের কারিশমা প্রদর্শন করেছেন, সেই রব কতই না মহান! বিন্দুমাত্র বিবেক আছে, এমন কেউ কি পারে তাঁর থেকে বিমুখ হতে? পারে কি তাঁর মহান হুকুমকে উপেক্ষা করতে?
একজন প্রকৃত মানুষের পক্ষে কখনও সম্ভব নয় সেই দয়ালু দাতার অযাচিত দানের কথা অস্বীকার করে বেমালুম তাঁকে ভুলে যাওয়া; বরং নিজের অজান্তেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার মস্তক মহাপ্রভুর সীমাহীন অনুগ্রহের কথা স্মরণে সিজদাবনত না হয়ে পারে না। তার ভাবাবেগ আর অনুভুতিতে জোয়ার না এসে পারে না। এসব অকৃপণ দানের কথা ভেবে একজন মানুষ মহান রবের দেওয়া বিধি-বিধান আন্তরিকতার সাথে না মেনে পারে না, পারা সম্ভব না। কী আশ্বর্যের কথা! আমি দুনিয়ার সবকিছু চিনলাম, কিন্তু আমার মালিককে চিনলাম না। কুকুরের মত একটি অবলা প্রাণীও তার মালিককে চিনতে ভুল করে না। আর আমি তো সৃষ্টির সেরা জীব। তাহলে আমার সেই শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ কোথায়?
আল্লাহ তাআলার এক অসাধারণ সৃষ্টি ফল। কত রকম স্বাদ, গন্ধ আর গড়নের ফল যে আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন তার হিসাব মেলানো অসম্ভব। কী অসাধারণ ও সুদৃশ্য মোড়কে অতি যতনে ও আন্তরিকতার সাথে তিনি এসব ফল দান করেছেন, ভাবলে অবাক লাগে। এর দ্বারা মানুষের প্রতি মহান রবের সীমাহীন মমতা ও দয়া অনুভব করা যায়।
বান্দার জন্য তাঁর অজস্র প্রকরণ ও ধরনের ফলের যোগান প্রমাণ করে কতো উদার সেই মহান আল্লাহ। কী অসীম মমতা তাঁর এই অনুভূতিশূন্য বান্দার প্রতি!
এমন যে মহাদয়াময় মালিক তাঁকে কি কখনো ভুলে থাকা যায়? তাঁর আদেশ-নিষেধ অমান্য করা এই বান্দার জন্য শোভা পায়!
কী অদ্ভুত আচরণ আমাদের! আমাদের হৃদয়হীনতার কি কোনো তুলনা আছে? দুনিয়াতে কেউ যদি কারো কোনো বড় ধরনের উপকার করে থাকে তাহলে সে (যদি বিবেকবান ও সভ্য হয়) ওই ব্যক্তির চাকর বনে যায়। শ্রদ্ধা বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কোনো ভাষা সে খুঁজে পায় না। সর্বত্র সে এ উপকারের কথা বলে প্রশান্তি পায়। কিন্তু আফসোস! মহাপ্রভু আল্লাহ তাআলার সীমাহীন অনুগ্রহ আর অকৃপণ দান আমরা সর্বক্ষণ ভোগ করে চলেছি; কিন্তু তাঁর স্মরণ ও কৃতজ্ঞতা আদায়ে আমরা কতটুকু তৎপর? আমাদের প্রতি তাঁর নেয়ামতের কোনটি অস্বীকার করার দুঃসাহস আমাদের রয়েছে? তাইতো মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাকে দেওয়া অফুরন্ত নিআমতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন; কেবল সূরা আররহমানেই তিনি ৩১ বার বান্দার প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন- (হে জিন ও মানব!) তোমরা তোমাদের রবের কোন্ কোন্ নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?
কেবল কল্পিত আর কাংখিত জিনিস প্রাপ্তির আশায় আমাদের হস্তগত নেয়ামতও আমরা উপভোগ করতে ব্যর্থ হচ্ছি। কী অদ্ভুত এক ধোঁকা আমাদেরকে বোকা বানিয়ে রেখেছে তা আমরা বুঝতেও পারছি না। কী মহাসম্পদ দিয়ে মেহেরবান মাবুদ আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন, তা কি একটু ভেবে দেখেছি? কেবল হায়-হায় আর নাই-নাই করেই জীবন অতিবাহিত হয়ে গেল। কী কী আছে, তা ভাববার বা জানবার ফুরসতও পেলাম না। যদি কখনও তা অনভ‚তিতে ধরা পড়ত তাহলে এই দেহ ও মন দয়ালু দাতার দরবারে সিজদাবনত হতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠিত হতো না।
সন্তানের জন্য মায়ের চেয়ে দরদী এই ভুবনে আর কেউ নেই। অনেক সময় মা-ও সন্তানের অবাধ্যতা, উচ্ছৃঙ্খলতা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দু-এক বেলা তার খাবার বন্ধ করে দেন। কিন্তু মহান আল্লাহ তাআলা? কী মেহেরবান তিনি, বান্দা নাফরমানির পর নাফরমানি করার পরও তার খাবার বন্ধ করে দেন না, চোখের গুনাহের কারণে চোখ অন্ধ করে দেন না, হাত দিয়ে অন্যায় কাজ করায় হাতকে অবশ বা পঙ্গু করে দেন না। বান্দার জন্য আলো, বাতাস, পানি সবকিছুই তিনি চালু রাখেন।
শুধু কি তাই? দুনিয়ায় এমন অনেক বান্দা আছে, যারা তার সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে পর্যন্ত অস্বীকার করে। কী সীমাহীন দয়ার সাগর সেই রব্বুল আলামীন। দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট, ঘৃণিত ও পাপিষ্ঠ লোকের প্রতিও দয়াবানের দয়ার কথা চিন্তা করলে নিজ মস্তক সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। যে বান্দা তার রবের অস্তিত্বকে অস্বীকার করছে তিনি তারও খাবারের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন। কী বিশাল উদারতা আর মহানুভবতা! এর কি কোনো সীমা-পরিসীমা আছে? কেবল অস্বীকার করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।সর্বশক্তিমান মালিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিচ্ছে এমন নরাধমের প্রতিও দয়ালু দাতার অনুগ্রহ ও কৃপার কোনো কমতি নেই। এমন সীমাহীন দয়ালু প্রভুর হুকুমকে কি অমান্য করা যায়? কোনো মানুষের পক্ষে কি তা সম্ভব?
সেই পরম দয়ালু দাতার অপরিসীম এহসান আর মেহেরবানির প্রতিদান কি আমাদের এই সীমাহীন নাফরমানি? ন্যূনতম বিবেক আর বোধশক্তি আছে এমন মানুষ কি কখনও এত বড় অকৃতজ্ঞ হতে পারে? এটা যে নিরতিশয় নিন্দনীয় তা ন্যূনতম বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরও অজানা নয়। কোন্ জিনিস আমাকে এভাবে অন্ধ আর বধির করে রাখল, তা কি একবারও আমি ভেবে দেখেছি?
লেখকঃ শিক্ষক, জামিয়া উসমানিয়া হোছাইনাবাদ কাটাখালী রাজশাহী।