শেখ হাসিনা: এক আশ্চর্য বেঁচে থাকার নাম!

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২০; সময়: ২:৪৮ অপরাহ্ণ |
শেখ হাসিনা: এক আশ্চর্য বেঁচে থাকার নাম!

চিররঞ্জন সরকার : শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলবার, তাঁর রাজনৈতিক জীবনকে ধ্বংস করবার ষড়যন্ত্র আমাদের দেশে কম হয়নি। কিন্তু প্রতিটি ষড়যন্ত্র থেকে তিনি আশ্চর্যজনকভাবে রেহাই পেয়েছেন। নিজের বুদ্ধি, বিবেচনা ও ধীশক্তি দিয়ে তিনি সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দেশের এক চরম দুর্দশার সময় তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন। ১৯৮১ এর ১৭ মে ‘হতাশার কাফন মোড়ানো বিবর্ণ স্বদেশে ফিরে এসে’ শেখ হাসিনা স্বেচ্ছায় কাঁধে তুলে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব। কিন্তু প্রতি পদে তিনি বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। একাত্তরের পরাজিত শক্তি, পঁচাত্তরের খুনি চক্র, মৌলবাদী চক্র, আমেরিকা-পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দাসহ আন্তর্জাতিক কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী, দেশীয় সামরিক-বেসমারিক আমলা ও এলিটদের সুবিধাবাদী অংশ, এমনকি দলের নেতৃত্বের একাংশ অসংখ্যবার চেষ্টা করেছে তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে পুলিশ-বিডিআরের গুলি, ২০০০ সালের ২০শে জুলাই গোপালগঞ্জে সমাবেশে ও হ্যালিপেডে দেড় মন ওজনের বোমা পুঁতে রাখা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় গ্রেনেড হামলাসহ ১৯ বার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। চট্টগ্রামে পুলিশ-বিডিআরের গুলি চালানোর সময় এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে বাঁচান তাকে। প্রতিবারই তিনি অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে গেছেন। কোনো ষড়যন্ত্রই তাকে দমাতে পারেনি। এত এত ষড়যন্ত্র, প্রতিকূলতা, বিরুদ্ধশক্তিকে মোকাবিলা করে তিনি যে এখনও বেঁচে আছেন, টিকে আছেন, সেটাই সম্ভবত সবচেয়ে বড় বিস্ময়!

আজকের দিনটিও শেখ হাসিনার জন্য স্মরণীয়। তাঁকে ‘রাজনৈতিকভাবে হত্যা’ করার ষড়যন্ত্র থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন আজকের দিনে। দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বড় পরিবর্তনগুলোর একটি ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি। এই দিনে আবির্ভাব ঘটেছিল কথিত ওয়ান ইলেভেন-এর। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে অযোগ্য ও ব্যর্থ হিসেবে দেখিয়ে সামরিক-বেসামরিক আমলা ও ‍সুশীল সমাজের একটি এলিট গ্রুপ অরাজনৈতিক শাসন চাপাবার একটা সচেতন প্রয়াস নব্বইয়ের দশক থেকেই লক্ষ করা যায়। রাজনীতি খুব জঘন্য, খারাপ, রাজনৈতিক দলগুলো অযোগ্য, নেতারা নষ্ট-ভ্রষ্ট-কলহপরায়ণ, দুর্নীতিবাজ-এমন একটা প্রচারণা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়। যাকে বলা হয় ‘বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া।’ দেশের হতাশ মধ্যবিত্তদের একাংশ এই প্রচারণার সমর্থক হয়ে ওঠে। আর এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়েই সামরিক বেসামরিক আমলা ও এলিট শ্রেণির প্রতিনিধিরা দেশের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালায়। তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই ‘রক্তপাতহীন ক্যু’কে ‘গ্রহণযোগ্য’ করে তোলার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের একতরফা সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্ভূত সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবরণে গঠিত হয় সেনা নিয়ন্ত্রিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’। এই সরকার জাতীয়-আন্তর্জাতিক স্বার্থান্বেষী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে নামে। শুরুতে দুর্নীতি দমন ও সুশাসন কায়েমের কথা বললেও ক্রমেই তারা ‘রাজনীতি ও রাজনীতিবিদশূন্য’ দেশ প্রতিষ্ঠার দিকে পা বাড়ায়। রাজাকারদের ছাড় দেয়ার একটা মনোভাবও তাদের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ‘ওয়ান ইলেভেন’ এর এই পটপরিবর্তন নানা অস্বস্তির জন্ম দেয় শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। সাজানো দুর্নীতির মামলায় বহু রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওয়ান-ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকার’ ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে। সে সময় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয় ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ থেকে শেখ হাসিনা এবং বিএনপি থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দেয়ার একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে সময় প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলো থেকে নেতা ভাগিয়ে এনে ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদপুষ্ট একটি দল গড়ারও চেষ্টা করা হয়। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের বিভিন্ন গণবিরোধী উদ্যোগের প্রতিবাদ জানালে ছাত্র-শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করা হয়। বেশ কয়েকজন প্রতিবাদী ছাত্র-শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। ক্রমেই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।

ক্ষোভের মুখে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন ২০০৮ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বিশেষ কারাগার থেকে শেখ হাসিনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামিনে ৮ সপ্তাহের জন্য মুক্তি দেয়া হয়, কেননা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তার কান এবং চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে তিনি ৮দিনের জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান।

চিকিৎসা শেষে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসতে চাইলেও তদানীন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নানা ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপের চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি সব বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফেরার ঘোষণা দেন এবং সকল প্রতিকূলতাকে উপক্ষো করে ২০০৮ সালের ৪ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসেন।

এরপর প্রবল জনমতের চাপের মুখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতায় চেপে বসা সরকার। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। শুরু হয় শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্বের নয়া পর্ব।

২০০৮ সালের সেনানিয়ন্ত্রিত সরকার কেবল রাজনীতি থেকেই শেখ হাসিনাকে ‘মাইনাস’ করতে চায়নি, তাঁকে জানে মেরে ফেলারও চেষ্টা করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাব–জেলে থাকাকালে শেখ হাসিনার খাবারে ক্রমাগত পয়জন দিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ আছে। স্লো পয়জনিংয়ের কারণে সেখানে আটক থাকাকালে শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বার বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন। কিন্তু কখনও ভয় পাননি। দল এবং দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার অঙ্গীকার থেকেও সরে আসেননি। বাংলাদেশে পরপর তিন বারসহ মোট ৪ বার প্রধানমন্ত্রী থাকার নজির আর কারও নেই।

শেখ হাসিনার চলার পথটি মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। বরং তা বারুদ এবং মাইনে ঠাসা। প্রতিনিয়ত অত্যন্ত সতর্কতা ও উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে তাঁকে বারুদ এবং মাইন এড়িয়ে পথ চলতে হচ্ছে, চলার পথ বের করে নিতে হচ্ছে। তিনি অত্যন্ত হিসেব করে পথ চলছেন, উদ্যোগ নিচ্ছেন। যারা এক সময় জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল, যাদের শাসনামলে তাঁকে একাধিকবার মেরে ফেলার চেষ্টা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করননি, যারা তাঁকে ক্ষমতা থেকে নামাতে মাসের পর মাস আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস চালিয়েছে, পেট্রাল বোমা দিয়ে সাধারণ মানুষকে খুন করেছে, সরকারি সম্পদ ধ্বংস করেছে, বাস-ট্রেন জ্বালিয়ে দিয়েছে, পুলিশের উপর বোমা মেরেছে, সুযোগ বুঝে সেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে তিনি ‘নিস্তেজ’ বানিয়ে দিয়েছেন। হ্যাঁ, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তির নানা অপতৎপরতায় ঠেকে এবং ঠকে তিনিও দক্ষ রাজনীতির ‘খেলোয়ার’ হয়ে উঠেছেন।

বিএনপিসহ বৃহৎ দলগুলোর বর্জনের মুখে তিনি রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, রওশন এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে এনেছেন। প্রশাসনকে ব্যবহার করে ২০১৯ সালের নির্বাচনেও দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ তিনি দেননি। হিংস্র প্রতিপক্ষকে বৃত্তবন্দি করে রাখার এই কৌশল কতটা ‘গণতন্ত্রসম্মত’ সে প্রশ্ন থাকলেও তাঁর কাছে সম্ভবত অন্য কোনো বিকল্প ছিল না!

যে দেশে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় খুনী পাওয়া যায় (সম্প্রতি গাজীপুরের প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনকে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাঁকে খুন করানো হয়েছে), যে দেশে মীরজাফর, মুশতাকরা দলের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সে দেশে ভালো কিছু করা বা করতে চাওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। শেখ হাসিনা নিজেও একবার সংসদ লবিতে রসিকতার ছলে বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগের যেকোনো নেতাকে কেনা যায়।’ ভয়াবহ স্বার্থপর, লোভী, ধান্দাবাজ ও ষড়যন্ত্রকারী নেতাকর্মীদের নিয়ে শেখ হাসিনা পথ চলছেন। যখন যাকে টাইট দেয়া দরকার সেটাও করছেন। দলের প্রবাদপ্রতীম সব নেতাদের নিস্ক্রীয় বানিয়ে রেখেছেন। পদ্মা সেতু ইস্যুতে তিনি বিশ্বব্যাংককে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছেন। আমেরিকার রাষ্ট্রদূতদেরও তিনি পাত্তা দেননি।

রাজনীতিতে তিনি অনেক অসম্ভব কাজ করেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে যুদ্ধাপরাধী ঘাতক দালালদের বিচারের যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন, নির্বাচনে জয়ী হয়ে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন। জাতীয় আন্তর্জাতিক ব্যাপক প্রচারণা, বিভিন্ন শক্তিধর দেশের বিরোধিতা এবং হুমকির মধ্যেও তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মানবতাবিরোধী অপরাধের আইনি বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন। সকল সন্দেহ-সংশয়কে উপেক্ষা করে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করেন। এর আগে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিয়মতান্ত্রিক বিচারেরও ব্যবস্থা করেছেন। এভাবে তিনি দেশে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন। জামায়াত-শিবিরের হিংস্র রাজনীতিকে কার্যত তিনি স্তব্ধ করে দিয়েছেন। জঙ্গিবাদ দমন করেছেন কঠোর হাতে। এরশাদকে সঙ্গে রেখে তাঁর সব ধরনের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের উদ্যোগ ভেস্তে দিয়েছেন। মৌলবাদী রাজনীতিকেও তিনি ‘পুতুলে’ পরিণত করেছেন। মানুষের আর্থ–সামাজিক উন্নয়নে তার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং হচ্ছে। করোনার বিরুদ্ধেও তিনি যথাসম্ভব লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের একবছর পূর্তি উপলক্ষে এ বছর ৭ জানুয়ারি, জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘‘আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমার উপর ভরসা রাখুন।’’

হ্যাঁ, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নিঃসঙ্গ কারাগারে ১১ মাস আটক থাকার পর কারামুক্তির এই দিনে তাঁর উপর ভরসা রাখতে চাই। তিনিই পারেন লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও মাফিয়াচক্রের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে। দেশকে আবার গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে। তিনি ছাড়া আমাদের আর ভরসার জায়গা কোথায়?

সূত্র : বিডিনিউজ২৪.কম

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে