অদৃশ্য এক ভাইরাস এবং আমি

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২০; সময়: ১:৩৯ অপরাহ্ণ |
খবর > মতামত
অদৃশ্য এক ভাইরাস এবং আমি

ছাইয়েদুল ইসলাম : করোনা ভাইরাস, যার বর্তমান রূপ কোভিড-১৯; মধ্য চীনের উহান শহর থেকে এই রোগের সূচনা। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর এই শহরে নিউমোনিয়ার মতো একটি রোগ ছড়াতে দেখে প্রথমে চীনের কর্তৃপক্ষ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। মাত্র চারমাসের ব্যবধানে বর্তমানে বিশ্বের ২১২টি দেশে এই ভাইরাসের বিস্তার ঘটে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবে বিশ্বের জনবহুল দেশ চীন রীতিমতো কেঁপে ওঠে। পুরো বিশ্বে ভাইরাসটিতে লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা যাচ্ছে।

চীন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর মহামারীতে রূপ নিয়েছে করোনা বা কোভিড-১৯ ভাইরাসটি। বিশ্বের উন্নত, উন্নয়নশীল, অনুন্নত – সবখানেই মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের কারণে বিশ্বের তাবৎ মানুষকে এখন এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, যার অভিজ্ঞতা বোধহয় বিগত কোনো সময়ে মানুষের সম্মুখে আসেনি। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ব্যস্ত শহরগুলো লকডাউন, ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে মানুষ যেতে পারছে না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরণের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ। পুরো পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ এখন ঘরে আবদ্ধ। যেন কয়েকটা মাস স্থিরভাবে ঘরে বসে থাকতে পারাটাই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ!

করোনা ভাইরাস চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত চীন। পশ্চিমা গণমাধ্যম এবং রাজনীতিকরা এ ঘটনায় প্রথম থেকেই চীনের দিকে অঙুল তুলেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চীনা সরকার যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি। তবে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।

কেননা, চীন প্রথম থেকেই মরণঘাতী ভাইরাসটির বিরুদ্ধে দৃঢ় মনোবলে বুক চিতিয়ে লড়াই করছে। প্রকৃতপক্ষে শুরু থেকেই চীনা সরকার যদি পরিস্থিতি কঠোরভাবে সামাল না দিত, তাহলে বিশ্ব পরিস্থতি হয়তো আরও ভয়াবহ হতো। যদিও প্রতিদিনই নতুন নতুন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। তবে উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরসহ অন্যান্য শহরে কমে এসেছে ভাইরাসটির প্রকোপ, নতুন করে আক্রান্ত নেই বললেই চলে। মোটকথা চীনের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক বলা যায়।

ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে চীন সরকারের ভৃমিকা: কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়ালেও তার চোখে চোখ রেখে লড়ে গেছে যে দেশ, সে দেশের নাম চীন। উহানে এটি সর্বপ্রথম মহামারির রূপ নেয়। চীন সরকার করোনা আক্রমণের কেন্দ্র উহানে গত ২৩ জানুয়ারি সম্পূর্নরূপে লকডাউন ঘোষণা করেছিল। ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য প্রদেশের শহরগুলোকেও লকডাউন করা হয়েছিল। করোনাভাইরাস দমনে চীনের বর্ষীয়ান ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডা. চুং নান শানের নেতৃত্বে চীনারা একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে। তবে ভাইরাসটি যেহেতু নতুন, তাই শুরুতে এর প্রভাব বুঝে উঠতে পারেনি চীনা চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। ফলে ভয়াবহতা বুঝে উঠতেও দেরি হয়েছে এবং সে কারণে পদক্ষেপ নিতেও কিছুটা বিলম্ব হয়েছিল। মাত্র ৬ দিনে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল তৈরি করেছে। যা বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত হাসপাতাল তৈরির রেকর্ড। উহান শহরের সাতটি হাসপাতাল এবং ১৪টি অস্থায়ী হাসপাতালে প্রায় ৬৮ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ থেকে গিয়ে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা করে।

ভাইরাস পরীক্ষায় সংক্রমণ নিশ্চিত হলে চিকিৎসকরা সংক্রমিতদের দুটি ভাগে ভাগ করে চিকিৎসা দিয়েছেন। স্বল্পমাত্রায় আক্রান্তদের জন্য স্টেডিয়াম, স্কুল ইত্যাদি স্থানে সাময়িক আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়। আর অন্য রোগীদের জন্য বরাদ্দ করা হয় সাধারণ হাসপাতাল। মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের জন্য ছিল আইসিইউ এবং বিশেষায়িত হাসপাতাল। জনগণের গতিবিধির উপর নজর রাখতে এবং সংক্রামিত ব্যক্তিদের যাতায়াত বন্ধ করতে তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় আনা হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া, গণ পরিবহন পরিহার করতে পরামর্শ দেয়া, সব নাগরিকদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পড়া, সংকটাপন্ন এলাকাগুলোতে নিয়মিত বিরতিতে জীবাণুনাশক ছিটানোর সাথে সাথে সব নাগরিককে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোরতা অবলম্বন করেছিল চীন সরকার। সরকার ঘোষণা করেছিল, বিল বকেয়া থাকলেও নাগরিকদের বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, টেলিফোনসহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। প্রতিটি পাড়া বা মহল্লার জন্য একজন নির্দিষ্ট স্বেচ্ছাসেবক তাঁর ওই এলাকার প্রতিটি পরিবারের চাহিদামতো প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কিনে এনে সবার মধ্যে বণ্টন করে দেয়। প্রকৃত অর্থেই কেউ বাড়ি থেকে বের না হয়ে লকডাউন মেনেছে শতভাগ। তাতে আতঙ্কিত না হয় এজন্য চীনে অবস্থানরত বিদেশিদের ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও সবাইকে দুই মাসের অতিরিক্ত ভিসা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ: করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান শহর থেকে মাত্র ৩৫০ কিলোমিটার দূরে নানচাং শহরে আমার বিশ্ববিদ্যালয়। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা নতুন ভাইরাসের কথা জানতে পারি। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স এন্ড ইকোনমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বচ্চো সর্তকতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।

ইউনিভার্সিটি থেকে বলা হয়েছিল যেন আমরা প্রয়োজন ছাড়া রুমের বাইরে বের না হই। সব সময় যেন মাস্ক পরি। শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার জন্য ফ্রি থার্মোমিটার দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ফ্রি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক দেওয়া হয়েছিল। বারবার হাত ধুতে বলেছে, প্রচুর পানি খেতে বলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশদ্বার বন্ধ ছিল। রুমের দরজা জানালা খোলা রেখে বায়ু চলাচলের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে বলা হয়েছিল। কোন বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার কোন সুযোগ ছিল না। মানে যতভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন – তারা রুমে রুমে এ সংক্রান্ত নোটিশ দিয়ে গেছে।

ওভারসিজ এডুকেশন স্কুলের পক্ষ থেকে এক মাস সব শিক্ষার্থীদের ফ্রিতে খাবার সরবরাহ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে অ্যপসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কথা, যেমন, খাবার এক দিন আগে অফিস কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাখতো। শিক্ষার্থীদের সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাবার অফিস কর্তৃপক্ষ ও সেচ্ছাসেবক টিমের সমন্বয়ে ক্রয় করে বিতরন করা হত। পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা যেন তাদের প্রয়োজনীয় বাজার সেরে নিতে পারে এজন্য চার দিনে এক বার বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া কোন শিক্ষার্থীর যদি, জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, সর্দি বা বুকে ব্যথা হয়- যেগুলো কিনা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। তাহলে সাথে সাথে এই তথ্য ডর্মেটরির দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক বা সেচ্ছাসেবকদের জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ নেয়া হচ্ছে যে শিক্ষার্থীরা ঠিক আছি কিনা। তারপরও যদি কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্স করে আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছিল।

চীনে আজ সব কিছু স্বাভাবিক হওয়া সত্ত্বেও আমরা ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে বিধিনিষেধ পালন করতে হয়। মাস্ক নিতে ভুলে গেলে গেটম্যান সামনে এসে বাধা দিয়ে মাস্ক পরার কথা স্বরণ করিয়ে দেয়। এছাড়াও প্রতিদিন সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানাতে হয়।

করোনকালীন সময়ে আমি: করোনা ভাইরাসের এই মহামারীর পুরোটা সময় ধরে চীনে আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরিতে ছিলাম এবং এখনো আছি। দীর্ঘ দুই মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে হাঁটতে গিয়ে মনে হচ্ছিল আমি সুন্দর সবুজ এক নতুন পৃথিবীতে মাত্র পা রেখেছি। আসলে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার মতো দামি আর কিছু আর নেই।

করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারিকৃত নির্দেশনা আমি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলেছি। লকডাউন শুরু হবার পর থেকে আমি কারো সাথে তেমন মিশিনি। তাপমাত্রা নেগেটিভ রাখার জন্য প্রতিদিন গোসল করি। সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থেকেছি। আলো বাতাসের স্বাভাবিকতা বজায় রাখার জন্য দরজা-জানাল খোলা রাখতাম। রুমের মধ্যে প্রতিদিন ব্যায়াম করেছি এবং ভিটামিন সি বেশি পরিমাণ খেয়েছি। প্রতিদিন নিজের খাবার রান্না করে খেয়েছি। দিনে বার বার হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়েছি। রুমের বাইরে গেলে সবসময় মাস্ক ব্যবহার করেছি। হাঁচি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করেছি। নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি।

তাছাড়া আমি এই বছর মাস্টার্স প্রোগ্রাম শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। করোনা কালে আমি আমার ফাইলান থিথিস নিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় পার করেছি। নিয়মিত আমার সুপারভাইজারের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। সুপারভাইজার যেসব সংশোধনী দিয়েছিল সেগুলো সংশোধন করে ফাইনাল থিসিস সম্পূর্ণ করেছি। আমাদের প্রিডিফেন্স এবং ফাইনাল ডিফেন্স অনলাইনে হয়েছে। এটা আমার এক নতুন অভিজ্ঞতা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে অনলাইনে যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছিল। ফলে শিক্ষার্থীরা সেশন জটে পড়ে নাই। নিঃসন্দেহে এটা একটা প্রসংশনীয় উদ্যোগ।

ওভারসিজ এডুকেশন স্কুলের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ভলান্টিয়ার টিমের সদস্য হিসাবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত ছিলাম। শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বিতরণ, শিক্ষার্থীদের শরীরের নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা, তাছাড়া শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রয়োজনে সহযোগীতা করা এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিয়মিত ইন্টারন্যাশনাল অফিসকে সহযোগিতা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ শিক্ষার্থীরি ফিরে আসলে তাদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে ভলান্টিয়ারের কাজ করেছি।

করোনাকালে আমি আরেকটি যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছি তা হল সত্য তথ্য মানুষের কাছে তুলে ধরেছি। চীনের করোনাভাইরাস নিয়ে অনেক ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া মিথ্যা প্রপাগন্ডা প্রচার করেছে। মিথ্যা ও গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের অনেক ছাত্র ছাত্রী উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে চায়নাতে এসেছে। করোনাকালে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সার্বিক অবস্থা বাংলাদেশি মিডিয়াতে তুলে ধরেছি। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চায়না সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গৃহীত পদক্ষেপ বাংলদেশি গণমাধ্যমসহ ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়াতে তুলে ধরেছি। যাতে করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি না হয়। করোনা ভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল, ভয়েস অফ আমেরিকার সাক্ষাৎকার দিয়েছি। তাছাড়া বাংলাদেশি অনলাইন গণমাধ্যম বিডিনিউজ২৪.কম, স্যাটেলাইট টেলিভিশন ডিবিসি নিউজ, এবং ইংরেজি দৈনিক দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় নিয়মিত রিপোর্ট পাঠিয়েছি।

সবশেষে বলতে চাই, চীন করোনা ভাইরাস রুখে দিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে এই বার্তা জানাচ্ছে, ‘হ্যাঁ, এই করোনা দানবের সঙ্গেও মল্লযুদ্ধে জেতা সম্ভব। এই দেখো আমরা জিতেছি।’

চীনা নীতি এবং চীন সরকার এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্য যে কোনো সরকারের চেয়ে অনন্য। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর উচিত চীনের গৃহীত পদক্ষেপগুলো মেনে চলা।

লেখক: চীনের চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স এন্ড ইকোনমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

সূত্র : দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে