গণস্বাস্থ্যের ‘কিট’ ও কূপমন্ডুক সামাজিক ‘কীট’
মোহাম্মদ এ. আরাফাত : “গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের কাজ করোনাভাইরাস শনাক্ত করা নয় বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের কিটের প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার। এ বিষয়ে ডা. মুহিব উল্লাহ বলেন, ‘অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এটার নমুনা সংগ্রহের ত্রুটি ধরা পড়ায় টেস্ট/পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলেছি।”
গণস্বাস্থ্যের কিটটি সফল হোক এটা আমিও চেয়েছিলাম। তবে, এই কিট নিয়ে মিডিয়া হাইপ এবং অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ছিলাম আমি। আমরা চেয়েছিলাম নিয়ম মেনে আবিস্কৃত কিটটির বিজ্ঞানভিত্তিক মূল্যায়ন বা পরীক্ষা হোক। বিজ্ঞানভিত্তিক মূল্যায়নে ‘পাশ’ করলে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ আর না করলে ‘কিছু করার নাই’। কিন্তু, মানুষের অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক মূল্যায়ন বা পরীক্ষার বিপরীতে মিডিয়া ব্যবহার করে, কিটটি অনুমোদনের জন্য যে চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং দরকষাকষি করা হয় তার বিপক্ষে ছিল আমার অবস্থান। মানুষের কল্যাণের স্বার্থেই অপপ্রচার বা অপরাজনীতির বিপক্ষে বিজ্ঞানকেই অগ্রাধিকার দিতে চেয়েছিলাম।
এখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নিজেই বলছে তাদের কিটের কাজ করোনাভাইরাস শনাক্ত করা নয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এও বলছে তাদের অ্যান্টিজেন কিটে ত্রুটি ধরা পড়ায় টেস্ট/পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলেছে।
তাহলে, এতদিন যেসব জামাতি-বামাতি কূপমন্ডুকগুলো গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবিস্কৃত কিটের পক্ষে বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করে অন্ধের মতো ‘চাটুকারি’ করলেন, সেই চাটুকাররা এখন কি বলবেন?
সবচেয়ে দুঃখজনক হলো এই যে, এই চাটুকারদের একাংশ এখনও নির্লজ্জ মিথ্যাচারের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্তে লিপ্ত।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন