করোনার ভয়াবহতা মানসিক যন্ত্রণা!
নবীউর রহমান পিপলু : আমি খন্দকার নবীউর রহমান পিপলু বিভিন্ন গণমাধ্যমে দির্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছি। গত ২১ জুলাই আমি করোনা পজেটিভ আক্রান্ত হই এবং একুশ দিনের মাথায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বৈশ্বিক মহামারি ‘করোনা’ থেকে আপাতত মুক্ত হয়েছি। যাদের ভালবাসা, দোয়া এবং উপদেশ ও সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা সহ স্বাস্থ্য সেবা তদারকির জন্য দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসা সেই মানুষগুলোকে আল্লাহপাক শেফা দান করবেন।
তবে করোনা থেকে মুক্ত হলেও মানসিক যন্ত্রনার রোগ থেকে মুক্ত হতে পারিনি এখনও। এক সময় মনে হয়েছে আর ফিরে আসতে পারবনা। জানতাম ‘করোনা ‘ একটা মহামারি। এর শারীরিক যন্ত্রনা রয়েছে বিস্তর। কিন্ত সব চেয়ে বড় যন্ত্রনা ছিল মানসিক যন্ত্রনা। সেটি জানা ছিলনা। আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। জানতে পাচ্ছি করোনা’ এখন সবশ্রেণীর মানুষের কাছে একটি ঘৃনিত ব্যধি। এক সময়ে কুষ্ঠ ব্যাধির মাসুষকে দেখে যেভাবে ঘৃনা করেছেন, এখন করোনা’ও তেমনই পরিচিতি পেয়েছে। ‘করোনা’ আক্রান্ত মানুষদের সাথে কেমন আচরন বা তাদের মনোবল শক্ত রাখতে সরকারের নানা বহুমুখি উদ্যোগ বা পদক্ষেপ কোন কাজেই আসেনি। মানুষের জন্য সর্বস্ব ঢেলে দেওয়ার পরও সরকারের নির্দেশ কেউ মানছেননা। সরকারের ভাল উদ্দোগ সহ সকল পদক্ষেপ বা নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হচ্ছে। অবস্থা ভয়াবহ পর্যায়ে গেছে। করোনাকে বাজে ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। ‘করোনা নিয়ে বিকৃতভাবে প্রচার করা হচ্ছে।
বলা হচ্ছে- যার হয়েছে করোনা, তার ছায়া মারা যাবেনা’। এমন প্রচারনা বেশী। যা হাড়ে হাড় টের পেলাম আমি ও আমার ছেট ভাই রনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর। অথচ করোনা পার্দুভাবের শুরুতে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে কর্মকান্ডে অংশ নিই। সে কর্মকান্ডে অংশ নিতে গিয়ে করোনা’নামের সেই অসভ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হই। করোনা আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই আমার উপসর্গ শুরু হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলি। পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করি। নিজেই নিজের ঘরে বন্দি থেকে টোটকা চিকিৎসা করতে থাকি। ঘর থেকেই কথা বলতাম। কারও সাথে দেখা দিতামনা। প্রতিবেশী দুরের কথা পরিবারের অনেকেই জানতেন না আমি অসুস্থ। মাঝে অথাৎ ১৭ জুলাই নমুনা দেওয়ার পর ২১ জুলাই পজেটিভ রেজাল্ট আসার পর গোপনে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ ও সিভিল সার্জন ডাঃ মিজানুর রহমানের পরামর্শে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হই। পরবর্তীতে তাদের সাথে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাও চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসেন। এদিনও আমার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি কেউ জানতে পারেননি। পত্র পত্রিকায় প্রচারের পর জানাজানি হলে শুরু হয় প্রতিবেশীদের অমানবিক আচরন। সেই মানসিক যন্ত্রনা সহ্য করা ছিল দুরুহু। প্রিয় মুখ বা পরিচিতজনের অবজ্ঞাপুর্ন আচরন ছিল কলিজায় সজোরে আঘাত করার মত।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে পরিবারের শিশু সন্তানদেরও সাথে প্রতিবেশীদের আচরন ছিল অসহনীয়। আমার বাড়িতে যিনিই গিয়েছেন তাকেই অশালীন ভাষায় গালাগালি করা হয়েছে। এলাকায় ঢুকতে বারন করা হয়েছে। প্রতিবেশী একজন আয়কর উকিল আমার বাড়িতে পেপার দিতে আসা এক হকারকে যেতে দেখে ধমকের শুরে তাকে বলে তুই কেন ওই বাড়িতে ঢুকেছিস। এখন থেকে আমার বাড়িতে আর পেপার দিবিনা এবং এই এলাকায় আসবি না। প্রত্যুত্তরে ওই হকার তাকে তাঃক্ষনিক জবাব ছুড়ে দিয়ে বলেছিল তোমার মত চামার উকিলের বাড়িতে পেপার বিক্রি করে আমাকে খেতে হবেনা। প্রতিবেশীদের এধরনের আচরনের প্রতিবাদ না করে চুপ থেকে মৌনভাবে সমর্থন যুগিয়েছেন অনেকেই।
তবে আমার বাড়ির সামনের সদ্য প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রহিমের ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আহম্মদ সেলিম এসবের তীব্র প্রতিবাদ করলেও কেউ আমলে নেয়নি। অনেকেই আমার বাড়িটি লকডাউনের জন্য বার বার উদ্দোগ নিয়েছে ,কিন্তু ওই বাসায় আমার কলিজার টুকরা ১০ বছর বয়সী ভাতিজা রুপ ও তা মা থাকার কারনে কেউ সাহস করেনি। তবে করোনা নিয়ে তামাশা করেছেন কেউ কেউ।
সংশ্লিষ্ট একটি সুত্রের দাবী,করোনার অজুহাতে এলাকাকে লকডাউন করলে কোন এক গোষ্ঠি লাভবান হয়। এলাকাকে লকডাউন করার পর মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে সহজেই গড়ে তোলা যায়। তাই সুবিধাবাদী এসব মানুষ বেশীদিনের জন্য এলাকাটিকে লকডাউন করে রাখার জন্য করোনার নামে তামাশা প্রচার করে। লকডাউন করার পর থেকে এলাকায় দুরদুরন্ত থেকে মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। কেননা করোনা আক্রান্ত এলাকা ঘোষনা হওয়ার পর সাধারন মানুষদের কেউ ওই এলাকায় ঢুকতে চাননা।
ফলে মাদকের স্বর্গ রাজ্যে পরিনত হয় কিছুদিনের জন্য। নাটোর পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা যিনি নিজেও পরিবার সহ করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি এই বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। নাটোরের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত অভিযোগ আমলে নিয়ে বলেছেন,এধরনের অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে যখন আমি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন,তখন শুভাকাংখিদের সকলেই মনোবল শক্ত রাখার ওপর জোর দিচ্ছিলেন। বলছিলেন আমার বয়স ষাটের উর্ধে। তাই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগেও আক্রান্ত। আমি যেন মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে না পড়ি। সবাই আমাকে সবাই ভাল মন্দ বলে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলছিলেন,বলছিলেন আপনি একজন বীর মুক্তি যোদ্ধা। ৭১ এর রনাঙ্গনের সম্মুখ যোদ্ধা। আপনার মনোবল শক্ত ও অটুট রয়েছে। করোনা আপনার টিকিটিও ছুতে পাবেনা। ইত্যাদি ইত্যাদি। যার সবটায় ছিল করোনা ও মনোবল দৃঢ় রাখার পরামর্শ। প্রথমে বিষয়টি বুঝে উঠতে পারিনি। পরে বুঝতে পেরেছি মনোবল শক্ত রাখলে করোনায় কাবু করতে পারবেনা। চেষ্টা করেছি সকলের পরামর্শ মেনে চলার । কিন্তু বাধাগ্রস্থ হতে হয়েছে প্রিয় মানুষগুলোর অবজ্ঞাপুর্ন আচরন। তাদের ঘৃনাভরা আচরন মনকে বিষিয়ে তুলছিল। তাই মাঝে মধ্যেই মানষিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছিলাম।
করোনা নিয়ে ভাবছিলাম। মরুভুমি পেরিয়ে কোন এক তেপান্তরের মাঠে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি,এমন সময় বালু রাশির একটি ঝাপটা ,কোথা থেকে কি হল ,হঠাৎ কিসের যেন একটি যন্ত্রের ঘ্যার ঘ্যরানি শব্দ। হাতরিয়ে বালু রাশির মধ্যে থেকে যেন হাতে আসে একটি যন্ত্র। মোবাইল ! ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখছিলাম। মোবাইল যন্ত্রটি চাপ দিতেই অপর প্রান্ত থেকে কলিজার টুকরা রুপের কন্ঠ-বলছিল বড় আব্বা লোকজন আমাদের বাড়ি লকডাউন করবে বলছে। আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করছে। কলিজাটার ভিতরটা ধক করে উঠলো। কিছু সময় নিয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম -বাবা ওরা কুকুর খাবার না পেয়ে ঘেউ ঘেউ করছে। কোমলমতি রুপ হয়ত না বুঝেই বলল-বড় আব্বা তাহলে ওদের কিছু গরুরমাংস দিয়ে বিদায় করি। আমি বললাম ওরা গরু খায়না বাবা।
আর আমরা এবার কোরবানী দিতে পারিনি। মাংস পেলে কোথায়। সে আমাকে মনে করিয়ে দিল তুমি ঈদের আগে কয়েক কেজি গরুর মাংস এনেছিলে আমাদের জন্য। এই কথা শোনার পর চোখের পানি সম্বরন করা কঠিন হয়ে যায়। আবারও নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম, বাবা তুমি পিছনের ঘরে গিয়ে টিভি দেখ। ছেলে লাইন কেটে চলে যাওয়ার পর বুকে প্রচন্ড যন্ত্রনা হতে থাকল। একটি শিশুর সাথে এমন অমানবিক আচরন। শিশুর সাথে এমন অমানবিক আচরন করে কি এমন লাভ স্বার্থবাদী ওই মানুষগুলোর। পরে জানতে পেরে ছিলাম ওই আয়কর উকিল সহ এলাকার কয়েকজন এলাকায় লকডাউনের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ওরা লকডাউন করলে আমার আপত্তি থাকার কথা নয়। আমি আপত্তিও করিনি। কিন্ত একটি অবুঝ শিশুকে শুনিয়ে শুনিয়ে চিৎকার করে আমানবিক কিছু বলা অনেক বাবার পক্ষে সহ্য করা কঠিন। এমনকি ওর বাবা রনির একটি তৈরি পোশাকের দোকান থেকে যেন কেউ কাপড় না কেনে এমন প্রচারনাও করা হয় ওই শিশুকে দেখে। এগুলোকে হজম করে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখা বিষয়টি দুরুহু। এখনও শতভাগ প্রত্যাশা সকলের দোয়ায় সেই মানসিক যন্ত্রনাকেও জয় করে আপনাদের সকলের কাছে সুস্থ হয়ে ফিরে আসব ইনশাল্লাহ।
নিজের কথা বলতে গিয়ে আসল কষ্টের কথা জানাতে বেমালুম ভুলে যাচ্ছিলাম। বিষয়টি করোনা সংশ্লিষ্ট। নাটোর সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিটে যারা দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তাদের মানসিক অবস্থা আরও নাজুক। সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন ৩ জন পরিচ্ছন্নকমী ও ৩ জন নার্স। এরমধ্যে নার্সরা সরকারীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কভিড-১৯ এর অধীনে অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত। করোনা পাদুভার্ব শুরু হওয়ার পর তাদের এই পদে নেয়া হয়েছে। এই তিন পরিচ্ছন্ন কর্মী হলেন রস্নি বেগম, ফিরোজা বেগম ও জেবুন্নেছা খাতুন। কাজে যোগ দিলেও এখনও পারিশ্রমিক পাননি। অথচ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
নিয়মানুযায়ী এরা এক সপ্তাহ পর পর ছুটি ভোগ করার সুযোগ থাকলেও তা পাচ্ছেননা। অসুস্থ শরীর নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দেয়া হলেও কিছুই জুটছেনা তাদের। এখনও বেতন ভাতা পায়নি তারা। পাগল স্বামীর সংসারে এক কন্যাকে নিয়ে ফিরোজা বেগমের সংসার,রোশনীর সংসারও প্রায় একই রকম। তবে স্বামী মাদকাসক্ত। আর জেবুন্নেছা বড় বোনের শিশু সন্তান সহ এক সংসারে থাকেন। জেবুনের আয়ের অর্থে চলে সংসার সহ বোনের ছেলের দুধের খরচ। বোনের স্বামী মারা যাওয়ার পর জয়পুরহাট থেকে নাটোরে এসে সংসার পেতেছে দুবোন।
যদিও বড় বোন অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। করোনা রোগীদের সেবার ব্রত নিয়ে ওরা তিন পরিচ্ছন্ন কর্মী নাটোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিয়টে কাজ করে যাচ্ছেন গত দু মাস ধরে। অনেক কিছুই পাওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল। ওরা এখনও কিছুই পায়নি। অপেক্ষায় দিন কাটছে তাদের। এক সময় ওরা হয়ত তাদের প্রতিশ্রুতির সবটুকই পাবে। এখন ওদেরও করোনা রোগীদের মত মানষিক যন্ত্রনা নিয়ে দিন কাটাতে হয়। করোনা ওয়ার্ডে কাজ করার কারনে হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডে কর্মরত অন্যরা ওদের দেখে দুরে সরে যায়। তারা যেখানে বাস করে সেখানকার মানুষও তাদের অবজ্ঞার নজরে দেখে। দুর দুর করে দুরে সরে যায়। করোনা ইউনিটের কর্মরত নার্সরাও জানান তাদের বিড়ম্বনার কথা। মানুষ তাদের দেখে দুরে সরে যায়। করোনা রোগীদের সেবা করা পরিচ্ছন্নকর্মীদের কাল হলেও তারা চিরদিন রোগীদের সেবা করতে চান। যে যা বলুক ওরা করোনা রোগীর সেবা করে জীবন কাটাতে চান।
নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মঞ্জুরুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,করোনাকে মানুষ ভিন্ন চোখে দেখা শুরু করেছে। এখন অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারছে। তবে প্রতিশোধক বাজারে এলে এঅবস্থা থাকবেনা। করোনা ইউনিয়নের পরিচ্ছন্নকর্মীদের কথা ভাবা হচ্ছে। অচিরেই তাদের প্রাপ্যটা প্রদান করা হবে।
আমি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আমার চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ চিকিৎসকদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করেছেন নাটোরের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ও জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মিজানুর রহমানের কাছে চির কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে তারা স্বাস্থ্য সামগ্রী সরবরাহ করে আমাকে দ্রুত সুস্থ্য করে তোলার নিরন্তর চেষ্টা করে গেছেন।
এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল ইসলাম, সদর হাসপাতালের সাবেক আরএমও ডাঃ আবুল কালামআজাদ, বর্তমান আরএমও মনজুরুল ইসলাম, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, সিনিয়র রিপোর্টার রাজিব নুর, ইটিভির রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি বদরুল হাসান লিটন, নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি, সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, গুরুদাসপুর পৌর মেয়র শাহনাজ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোর্ত্তুজা বাবলু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইছাহাক আলী, সিংড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক জেলা সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেন, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, সাজেদুল আলম খান বুড়া চৌধুরী, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিনসহ অনেকেই ফোন করে আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং তারাসহ সারা দেশে কর্মরত সাংবাদিক শুভাকাংখি ও নাটোর ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সকল সদস্যসহ বিভিন্ন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা দ্রুত সুস্থতার জন্য আল্লাহপাকের দরবারে দোয়া চেয়েছেন। যাদের অনেকেই এখন করোনাক্রান্ত হয়েছেন। তাদের দোয়া ও দ্রুত হস্তক্ষেপে আমার ফিরে আসা। তারা আমাকে মানসিকভাবে মনোবল চাঙ্গা রাখতে বার বার আমার সাথে মোবাইলে কথা বলেছেন। সেই সব মানুষগুলোর প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ। শ্রদ্ধা, ভালবাস জানায় তাদের। তারা যেভাবে সহায়তা করে গেছেন আল্লাহপাক তাদের সহায় এবং শেফাদান করবেন।
লেখক- বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক। মোবাইল-০১৭১১-৯৫৫৬৯৮, [email protected]