ভূস্বর্গ থেকে ভয়ানক এক নগরী এখন কাশ্মীর
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : কাশ্মীর নাম শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে পাহাড় আর মেঘের মিলন মেলা। সৃষ্টিকর্তার দেয়া ওপার সৌন্দর্য নিয়ে যেন অপেক্ষা করছে কারো জন্য। অন্যদিকে লাশের মিছিল নিয়ে আর্তনাত করা ভয়ানক এক নগরী কাশ্মীর। প্রতিটি সেকেন্ড যেখানে কাটাতে হয় মৃত্যুর অপেক্ষায়। সীমাহীন অনিরাপত্তার চাদরে মুড়ে থাকা এই কাশ্মীরকেই আবার বলা হয় ভূস্বর্গ।
কাশ্মীরের এই করুণ পরিণতি কাঁদায় পুরো বিশ্বকে। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে যে কয়টি স্থান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তাদের মধ্যে কাশ্মীর অন্যতম। আজ থাকছে কাশ্মীরের ভূস্বর্গ থেকে নরকের তকমা পাওয়ার করুণ ইতিহাস। এখন এক ভয়ানক নগরীতে পরিণত হয়েছে কাশ্মীর। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই সম্পর্কে-
ভৌগলিক অবস্থান ও জলবায়ু
কাশ্মীরের অবস্থান একেবারে হিমালয়ের কোল ঘেঁষেই। বানিহাল থেকে বারামুলা পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার। আর প্রস্থে হবে ৪২ কিলোমিটারের মতো। মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ালেও বৃষ্টির দেখা মেলে না খুব একটা। তবে একেবারেই যে বৃষ্টি হয় না তা কিন্তু নয়। মার্চ-এপ্রিল মাসে পশ্চিমের ভূমধ্যসাগরীয় পুবালী বাতাসের ফলে কিছুটা বৃষ্টি হয়। চারপাশের পর্বতের সারির মধ্যে সমতল ভূমিতে মানুষের বসবাস। কাশ্মীরের পশ্চিম দিকে পর্বতের বেষ্টনী উন্মুক্ত হয়ে চলে গেছে নদীয আর সড়কের দিকে।
ওয়াল্টার আর লরেঞ্জের বর্ণনায় কাশ্মীর হলো কালো পর্বতমালার মধ্যে একখণ্ড জমিন সাদা পায়ের ছাপের মতো। কাশ্মীরের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভিড় করেন এখানে। অসংখ্য কবি-সাহিত্যিকও কাশ্মীরের রূপ বর্ণনা করতে গিয়ে নিজেকে হারিয়েছেন। কাশ্মীরের সৌন্দর্য লিখতে গিয়ে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেছেন একটা সূর্য ডোবার যে রঙ তার সব সৌন্দর্য কি লেখায় আসে? লিখতে গিয়ে বড্ড দুর্বল লাগে। দেখেছি, অনুভব করেছি, আনন্দিত হয়েছি। সেটা আর পাঁচজনকে বোঝাই কেমন করে? স্বর্গের মতো সাজানো ভূখণ্ডের প্রতিটি স্থানেই যেন স্রষ্টার নিজ হস্তে বড় আপন করে সৃজন করেছেন।
সভ্যতার বিকাশ ও ধর্মীয় সম্প্রীতি
হিন্দু মিথলজি অনুসারে কাশ্বাপ নামে এক তীর্থযাত্রা কালে জানতে পারেন স্বস্তিকার নামে এক জলাশয়ের কথা। একসময় প্রচলিত ছিল স্বটিসর ভূতের দখল। তাই সাধুর ইচ্ছায় দেবী সারিকা পক্ষীর আকারে সেখানে উপস্থিত হন এবং স্বর্গীয় পাথরের সাহায্যে ভূতেদের বিতাড়িত করেন পরবর্তীতে ওই পাথর থেকে সৃষ্টি হয় পর্বতমালার। যেটা বর্তমানে কাশ্মীর নামে পরিচিত। সাধুর নামেই বর্তমান কাশ্মীরের নামকরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
তবে বৈজ্ঞানিক ধারণা মতে, রাশিয়ান প্লেট ও ইন্ডিয়ান প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে এই উপত্যকা সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, এখানে মানব বসতি স্থাপন হয়েছে তিন হাজার বছর আগে। কাশ্মীরের আদি বাসিন্দাদের মূলত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে- নাগ, পিশাচ ও ইয়াক্ষা। এসব গোষ্ঠী বাস করত লেক বা নালার পাশে। বন্য পশুদের সঙ্গে লড়াই করত বলে তাদেরকে এসব নামে ডাকা হত। স্থানীয় ভাষায় কাশ্মীরকে বলা হয় কাশীর। এই নামের অর্থ দাঁড়ায় যেখানে কশুর লোকেরা বাস করে। মাংস ভক্ষণ করত বলে তাদের কশুর বলে অভিহিত করা হত। শান্ত আর নিরিবিলি পরিবেশের কারণে কাশ্মীর যুগে যুগে সাধু ও কবি সাহিত্যিকদের তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।
প্রথম এক শতক ব্রাহ্মণ বাদ ও বৌদ্ধ শাসনের আসা যাওয়ার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। কাশ্মীরে বৌদ্ধ ধর্ম ক্রমান্বয়ে প্রবেশ করে বানারসের এক দূতের মাধ্যমে। তার নাম ইতিহাসে পাওয়া যায় মাঝান্তিকা। তিনিই ধীরে ধীরে এখানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটাতে থাকেন। এ সময় সম্রাট অশোক ছিলেন ক্ষমতায়। তিনি মাঝান্তিকাকে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারে সহায়তা করেন। একই সময়ে শিবইজমও প্রচারিত হতে থাকে। কিন্তু সম্রাট অশোকের একান্ত ইচ্ছায় বৌদ্ধ ধর্ম বিস্তার লাভ করে। তার মৃত্যুর পর বৌদ্ধ ধর্ম গুরুরা ব্রাহ্মণ আবাদূতের কাছে ধর্মীয় তর্কে হেরে যায়। ফলে নতুন করে শুরু হয় শিব ধর্মের প্রচারণা। এজন্য এই অঞ্চলে হিন্দু ব্রাহ্মণ ও বৌদ্ধ ধর্ম ছাড়াও খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের বসবাস রয়েছে। কাশ্মীরে ইসলাম ধর্মের আগমন রাজা বাদশাহদের মাধ্যমে হয়নি। ঘটেছে সূফী ও পীরদের দ্বারা। ইতিহাস অনুযায়ী সরাসরি আরব থেকে ইসলাম কাশ্মীরে এসেছে। ফলে কাশ্মীর পরবর্তীতে বিভিন্ন মুসলিম শাসকদের অনুকূলে ছিল। উল্লেখযোগ্য যে, কাশ্মীর পর্যটন কেন্দ্রগুলো সিংহভাগই গড়ে তুলেছিলেন মোগল শাসকরা
কাশ্মীর বিক্রির করুণ ইতিহাস
মোগল শাসকদের পরবর্তীতে আফগান শাসনের অধীনে ছিল কাশ্মীর, যদিও আফগান শাসন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৮১৯ সালে কাশ্মীর দখল করে শিখরা। তাদের মূল দরবার ছিল লাহোরে। শিখদের রাজা ছিলেন রঞ্জিত সিং। সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল জম্মুর ডোগরা জমিদার গুলাব সিং। তবে ডোগরা জমিদারেরা তখন ব্রিটিশদের তোষামোদ করতে ব্যস্ত। কারণ সেসময় ভারত ব্রিটিশদের দখলে। ১৮৩৯ সালে রঞ্জিত সিং মারা গেলে দুর্বল হয়ে পড়ে শিখ সাম্রাজ্য। ১৮৪৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর ব্রিটিশ জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জ শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। যুদ্ধে গুলাব সিং শিখদের কোনো প্রকার সাহায্য করেন। যদিও তখনো সে শিখদের সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। প্রথম ব্রিটিশ শিখ যুদ্ধে বিজয়ী হয় ব্রিটিশরা। সেই সঙ্গে শিখ সাম্রাজ্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অন্তর্গত হয়। ব্রিটিশদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের পুরস্কার হিসেবে ১৮৪৬ সালের ১৬ই মার্চ অমৃতসরে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৭৫ লাখ রুপির বিনিময়ে গুলাব সিংকে কাশ্মীর সহ কয়েকটি পাহাড়ি জেলার মালিকানা দেয় ব্রিটিশ সরকার। চুক্তি অনুসারে সেখানকার মানুষগুলোই মূলত হয় কেনা বেচা। এতে খুশি হয়ে গুলাব সিং প্রতিবছর একটা ঘোড়া, ১২ টি ছাগল এবং তিন জোড়া কাশ্মীরি শাল প্রদান করত সরকারকে। কাশ্মীরের এই বেচা কেনাকে মহাত্মা গান্ধী ডিড অব সেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। সাংবাদিক আর এস গুল লিখেছিলেন, ডাচদের কাছে নিউ ইয়র্ক ১৬১৪ সালে বিক্রি হয়েছিল মাত্র ২৪ ডলারে, রাশিয়ার কাছ থেকে মাত্র সাত দশমিক দুই মিলিয়ন ডলারে আলাস্কা কিনেছে আমেরিকা। আর ১৭০ বছর পরও ৭৫ লাখ রুপির এই ক্রয় চুক্তি এখনো কাশ্মীরি জাতি সত্তার সমস্যার মুল হিসেবে সামনে আসছে।
বিভাজন সংকট ও দুর্ভাগ্য বরণ
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা যখন বিদায় নেয় তখন তারা ৫৬২ প্রিন্সলি স্টেটকে হয় ভারত নয় পাকিস্তানে যোগ দিতে বলে। ভারতের স্টেট গুলো ভারত এবং পাকিস্তানে যোগ দেয়। কিন্তু তিনটি স্টেট স্বাধীন থাকতে চেয়েছিল। হায়দ্রাবাদ জুনগর এবং জম্মু ও কাশ্মীর। এদের মধ্যে হায়দ্রাবাদ এবং জুনগর ছিল হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ কিন্তু তাদের রাজা ছিল মুসলিম। জনগণ বিক্ষোভ করে ভারতে যোগদান করার জন্য, ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী যুদ্ধ করে দখল করে নেয়। পরবর্তীতে গণভোটের মাধ্যমে হাসিল করে নেয় বৈধতা।
অপরদিকে জম্মু এবং কাশ্মীরের জনসংখ্যা ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কিন্তু রাজা ছিল হরি সিং। হরি সিং শুরুতে স্বাধীন থাকতে চেয়েছিলেন এবং একই সঙ্গে নেহেরু ও সুন্নাহর সঙ্গেও দেন-দরবার করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন কাশ্মীরকে এশিয়ার সুইজারল্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। এদিকে কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ করতে জিন্নাহ ছিলেন বেশ আগ্রহী। তিনি কাশ্মীরকে তার পকেটে রাখা ব্লাঙ্ক চেক বলে আখ্যায়িত করেন। রাজা হরি সিং এর উপর নেহেরুর আস্থা ছিল কম। নেহেরু তখন জেলে বন্দি শেখ আবদুল্লার মুক্তি চান। স্বাধীন হওয়ার মাত্র ১৩ দিন আগে রাহা হরি সিং পাকিস্তানের সঙ্গে স্ট্যান্ড স্টিল চুক্তি সাইন করে। তবে ভারত এই চুক্তিতে একমত হয়নি।
দুটি নতুন দেশ জন্মাবার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলিম শিখ এবং হিন্দুদের মধ্যে দাঙ্গার সৃষ্টি হয়। কাশ্মীরেও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে মুসলিম উপজাতিরা পাকিস্তানে পলায়ন করতে থাকে। এই ঘটনায় পাকিস্তানক ক্ষুদ্ধ হয়ে পাহাড়ি নন স্টেট বাহিনীকে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রেরণ করেন, ২২ শে অক্টোবর কারণ চুক্তির কারণে সেনাবাহিনী সরাসরি আক্রমণ করতে পারে নি। বাহিনীর আক্রমণে কাশ্মীরের অধিকাংশ অঞ্চল রাজার নিয়ন্ত্রণেরও বাইরে চলে যায়। তারই প্রতিক্রিয়ায় মহারাজা হরি সিং ভারতের সাহায্য প্রার্থনা করেন। শেখ আব্দুল্লাহ পরামর্শক্রমে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন কিন্তু ভারত সরকার তাদের সঙ্গে যুক্ত হবার শর্ত জুড়ে দেয় এবং তা মেনে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাক্ষরিত হয় ইন্সট্রুমেন্ট অফ এসেশন।
পাকিস্তানি চুক্তি মেনে নেয় নি, তারা দাবি করে চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে হরি সিংকে বাধ্য করা হয় চুক্তি করতে। রাজা হরি সিং নিরুপায় হয়ে ২৬ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে ‘অন্তর্ভুক্তি চুক্তি’তে স্বাক্ষর করেন এবং ভারতীয় সৈন্যরা বিমানে করে শ্রীনগরে পৌঁছে। তাদের আক্রমণের মুখে পশতুন যোদ্ধারা পশ্চাৎপসরণে বাধ্য হয় এবং পাকিস্তানও জম্মু ও কাশ্মিরে সৈন্য প্রেরণ করে। নভেম্বরে পশতুন যোদ্ধা ও স্থানীয় উগ্রপন্থী মুসলিমরা মিরপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে প্রায় ২০,০০০ হিন্দু ও শিখকে হত্যা করে। এর ফলে এই অঞ্চলের হিন্দু ও শিখদের সংখ্যা একেবারেই হ্রাস পায়।
বেশ কয়েকটি আক্রমণ ও প্রতি–আক্রমণের পর জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সৈন্যদের অবস্থান স্থিতিশীল হয় এবং ১৯৪৯ সালের ৫ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি হয়। এসময় জম্মু ও কাশ্মিরের উত্তর ও পশ্চিমাংশ পাকিস্তানি নিয়ন্ত্রণে ছিল। জম্মু ও কাশ্মিরে দুই পক্ষের যে সীমানা ছিল, সেই নিয়ন্ত্রণ–রেখাই এখন পাকিস্তানের আজাদ জম্মু ও কাশ্মির এবং ভারতের জম্মু ও কাশ্মির কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সীমারেখা। এভাবেই কাশ্মীরের নাম হয় জম্মু এবং কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের নাম হয় আজাদ কাশ্মীর।
এসময় ভারতীয় জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় কাশ্মির সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালায়। জাতিসংঘ জম্মু ও কাশ্মিরের ভাগ্য গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেয়, এবং এর পূর্বশর্ত হিসেবে প্রথমে জম্মু ও কাশ্মির থেকে পাকিস্তানি সৈন্য সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং পরবর্তীতে ভারতীয় সৈন্য আংশিক রূপে প্রত্যাহার করতে বলে। ভারতের ওপর বিশ্বাস না থাকার কারণে পাকিস্তান আজাদ জম্মু ও কাশ্মির থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেনি, ফলে গণভোটও আর অনুষ্ঠিত হয়নি।
কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ
ভারতীয় সরকার কাশ্মীরকে ওয়াদা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেনি। উল্টো বিভিন্ন সময়ে কাশ্মীরের সাধারণ জনগণের উপর চালানো হয় হত্যাযজ্ঞ। প্রায় প্রতিদিনই লাশ নিয়ে মিছিল হয় কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে। কি হবে তবে ভবিষ্যতে? এই মৃত্যু অবধারিত ধারা কি চলতেই থাকবে? বিখ্যাত আমেরিকার রাজনৈতিক বিশ্লেষক নোয়াম চমস্কি বলেছেন ৮০ সালের নির্বাচন কাশ্মীরকে বিভৎস করে দিয়েছে। এই সংকট ভারত এবং পাকিস্তানের জন্য হাস্যকর। তবে ভারত অপেক্ষাকৃত বড় হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিন্তু পাকিস্তানের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। তবে দিন শেষে পুঁজিবাদের যুগে ভারতে গণভোটের আয়োজন করার দুঃসাহস করবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সুতরাং ভূ-স্বর্গ কাশ্মীরের অধিকার কখন অধিকার ফিরে পাবে তার কোনো নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। দিন শেষে সেই ছেলের লাশ বহন করা কফিন নিয়ন্ত্রণ করা বাবার কান্না আর স্রষ্টার সাহায্য কামনা করা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।