চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন তিন জাতের আম উদ্ভাবন
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরও তিনটি নতুন জাতের আম উদ্ভাবন করেছে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র। নতুন জাত তিনটি হল- বারি-১৫, বারি-১৬ ও বারি-১৭।
দেশের সর্বত্র চাষযোগ্য, উচ্চ ফলনশীল, হলুদ রংয়ের, রোগবালাই বিহীন, মিষ্টতা এ আম চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে জানান গবেষকরা। এই আম উদ্ভাবন গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দিন।
ড. জমির উদ্দিন জানান, বারি-১৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক ২০২০ সালে বারি আম-১৫ (সৌদামিনি) নামে অবমুক্ত করা হয়। বারি-১৬ বারি আম-৪ এর ১০০টি আঁটি থেকে প্রায় ১৫ বছর গবেষণা করে উদ্ভাবন করা হয় এটিকে চান্স সিডলিং বলা হয় ও বারি-১৭- ২০১৩ সালে বারি আম-৩ ও বারি আম-৪ এর মধ্যে সংকরায়ন করে জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক ২০২০ সালে এসব নাম দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সর্বত্র চাষযোগ্য এসব আম চাষ করে ভালো লাভবান হওয়া যাবে এবং দেশের অর্থনীতিতে এর ভালো প্রভাব আসবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বারি-১৫ আমের গড় ওজন ৬৮০ গ্রাম, উচ্চফলনশীল, নিয়মিত ফলদানকারী এবং নাবী জাত যার সংগ্রহকাল জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়। পাকা ফলের ত্বকের রং হলুদাভ সবুজ, শাঁস হলুদ রঙের, রসালো, আঁশবিহীন ও বেশ মিষ্টি, মিষ্টতা-২৪ শতাংশ, ভক্ষণযোগ্য অংশ ৮২.৩৫ শতাংশ, রোগ ও পোকামাকড় তেমন নেই। এর সংরক্ষণকাল ৯ দিন।
বারি-১৬ আমের গড় ওজন-৫৭১ গ্রাম, উচ্চফলনশীল, নিয়মিত ফলদানকারী এবং নাবী জাত সংগ্রহকাল জুলাই-আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়, পাকা ফলের ত্বকের রং হালকা কমলা, শাঁস কমলা রঙের, রসালো, আঁশবিহীন ও বেশ মিষ্টি। ভক্ষণযোগ্য অংশ ৮০.২০ শতাংশ, রোগ ও পোকামাকড় তেমন নেই সংরক্ষণকাল ৮ দিন।
অন্যদিকে, বারি-১৭ আমের গড় ওজন ৬৫০ গ্রাম, উচ্চফলনশীল, নিয়মিতফলদানকারী এবং নাবী জাত, সংগ্রহকাল জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ ও আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত, পাকা ফলের ত্বকের রং হলুদাভ সবুজ, শাঁস হলুদ রঙের, রসালো, আঁশবিহীন ও বেশ মিষ্টি। মিষ্টতা ২৫.৫০ শতাংশ, ভক্ষণযোগ্য অংশ ৮৮.৪৬৭ শতাংশ, রোগ ও পোকামাকড় তেমন নেই সংরক্ষণকাল ৮ দিন।