ঢোঁড়া ও বালুচরী
০১
জীবন বদল করো তুমি ও ঢোঁড়া সাপ। অথচ তুমি একটা একটা হরিণ পুষেছিলে। প্রতিরাতে তোমার রক্ত পান করত সে। দিনের বেলা মায়াবী চোখে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকত বলে, তুমি জানতেই না সে কতোটা কতোটা রাক্ষুসে ছিলো। প্রতিরাতে রক্ত পানের পর সে তোমার কবিতার খাতা খুঁড়ে খুঁড়ে অক্ষরও গিলে ফেলত। আর একেকটা অক্ষরের জন্য তুমি তড়পাও পঞ্চাশ বছর।
০২
আমার আত্মঘাতী কবিতাগুলো ফণীমনসার ঝোঁপের ভেতর রেখে এসেছি। মরুসাগর পেরিয়ে ফেরার পথে নিয়ে এসেছি বালুচরী সাপ।
০৩
চিলের ছায়ার পেছনে ঘুড়ি বেঁধে দিলাম। আর পালাতে পারবে না। ছায়া-মায়ায় কেটে যাবে অনন্তকাল। ভয় পেয়োনা, আমাদের যাবতীয় কথামালা একদিন কৃষ্ণগহ্বরে ফেলে দেবো সময় করে।
০৪
মৃত্যুর জন্য মহাসাগরের জল ভালো না জলপ্রপাত এখনো ধন্ধে ফেলে আমায়। মনে হয়, পাহাড়ও ভালো, আবার জঙ্গলও। অথচ তুমি চিরযৌবনা থাকবে বলে নিয়মিত পান করো মরিংগা টী, অপরাজিতা ফুলের নির্যাস। তোমার চায়ের পেয়ালায় অপরাজিতা গাঢ় নীলবর্ণ দেখে আমার কেবল হেমলকের কথাই মনে পড়ে।
অমন বর্ণবিভায় চুমুক দিতে সক্রেটিসের ঠোঁট কিন্তু একবিন্দুও কাঁপেনি!
কবি : লাবণ্য প্রভা