মুগদায় আগুন: একে একে পরিবারের চারজনই চলে গেলেন
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাজধানীর মুগদায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় একে একে পরিবারটির দগ্ধ চারজনই মারা গেছেন। গতকাল সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে মারা যান শেফালী রাণী বারৈ (৬০)। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শেফালী রাণীর শরীরে ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে চিকিৎসাধীন মারা যায় তার মেয়ে প্রিয়াংকা বারৈ (৩২), জামাতা সুধাংশু বৌদ্ধ (৩৬) ও নাতি অরুপ বৌদ্ধ (৫)।
গত ২২ নভেম্বর সকাল পৌনে ৮টার দিকে দক্ষিণ মুগদা মাতব্বরগলির ৩৭ নম্বর পাঁচ তলা বাড়ির নিচতলায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
মৃত প্রিয়াংকার বড় ভাই পলাশ বাড়ৈ জানান, তার বোন পরিবারসহ গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে থাকেন। বোন জামাইয়ের পেট ব্যথার চিকিৎসার কারণে পরিবার নিয়ে ঢাকায় আসেন। মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার।
তিনি আরও জানান, ওইদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রিয়াংকা পানি গরম করতে রান্না ঘরে যায়। গ্যাসের চুলা চালু করে দিয়াশলাই জ্বালাতেই রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে হয়। এতে বাসায় থাকা তারা চারজনই দগ্ধ হন।
ঘটনার দিন মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম খলিল জানান, আগুনে বাসার অধিকাংশ জিনিসই পুড়ে গেছে। জানালার গ্লাসও ভেঙে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চালু করে রাখা গ্যাসের চুলা থেকে রান্না ঘরে গ্যাস জমে ছিলো। দিয়াশলাই জ্বালাতেই সেই গ্যাস বিস্ফোরণ হয়েছে।