ফেসবুকে দেওয়া পোষ্টে চিকিৎসা পেলো রুগ্ন ঘোড়াটি
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : জোবায়ের আহমেদের চোখ আটকে গেছে উপজেলার আড়পাড়া-তেপুকুরিয়া ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট মাঠে চরতে থাকা জীর্ণ-শীর্ণ সাদা রঙের একটি ঘোড়ায়। মালিকবিহীন জীবিত ঘোড়াটির কাছে গিয়ে দেখেন বয়সের ভারে নয়,মুখে-চোখের পাশেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে খোশ পাচড়ায় আক্রান্ত।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এমন দৃশ্যের সম্মুখীন হয়ে ঘোড়াটির চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ‘আমাদের বাঘা’ গ্রুপের সদস্য জোবায়ের আহমেদ তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, আড়পাড়া-তেপুকুরিয়া ভোকেশনাল মাঠে এই ঘোড়াটি কোথা থেকে চলে এসেছে। মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘোড়াটি অসুস্থ।
সানোয়ার রহমান শান্ত বলেছেন,ঘোড়া তার চলার সার্মথ্য হারালে তার কোন দাম নেই। মালিকরা নিজেই ঘোড়াকে ছেড়ে দেয়, হয়তো এমন কিছুই হবে। বলে মন্তব্য করে ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন । মামুন জামান বলেছেন, প্রায় দেখা যাই ঘোড়ার বয়স বেশি হয়ে গেলে বা অসুস্থ হলে তার দ্বায়ভার এড়ানোর জন্য এমন ভাবে ছেড়ে দেই এটা খুবই দুঃখজনক। বয়স হওয়ায়, কয়েক মাস আগেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সাঈদ আহমেদ।
তিনি মালিকের নাম বলতে না পারলেও এটা এটা রায়পুর-বাঁকড়া এলাকার ঘোড়া ছিলো বলে তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন,ঘোড়াটি বিক্রি করে দেওয়ায়, পরের সেই মালিক ছেড়ে দেয়। প্রতিবেদকের সঙ্গে রুগ্ন ঘোড়াটির বিষয় নিয়ে কথা হওয়ার পর, উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে । সোমবার (২০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ঘোড়াটি ওই এলাকায় ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য ঘোড়া ব্যবহৃত হয়। যতদিন পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকে ততদিন পর্যন্ত মালিকরা সেগুলো দিয়ে অর্থ আয় করেন। রোগ হলে চিকিৎসা করান। কিন্তু বয়সের ভারে দুর্বল হয়ে পড়লে ঘোড়ার তত্ত্বাবধান না করেই ছেড়ে দেন। তারপর মুত্যু হলে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা.আমিনুল ইসলাম জানান,বিষয়টি জানার পর,ঘটনাস্থলে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে মালিককে পাওয়া যায়নি বলে জানান এই প্রাণী সম্পদ অফিসার। তিনি বলেন, বয়সের ভারে অক্ষম হলে মাঝে মাঝে রাস্তায় ছেড়ে দেন ঘোড়ার মালিকরা।