চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মিলল সালফার-ক্রোমিয়ামসহ বিভিন্ন ধাতু
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ভারতের চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান নিশ্চিত করেছে যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে রয়েছে সালফার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এ তথ্য দিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)।
তারা আরও জানিয়েছে, সালফারের পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালশিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন, অক্সিজেনের অস্তিত্বও মিলেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। হাইড্রোজেনেরও খোঁজ চলছে।
গত ২৪ আগস্ট ভোরে ল্যান্ডার বিক্রম থেকে নেমে এসেছিল রোভার প্রজ্ঞান। তারপর থেকে ছয় চাকা বিশিষ্ট এই যান চাঁদে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
ইসরোর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালশিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন, অক্সিজেনের যে অস্তিত্ব মিলবে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। এবার হাইড্রোজেনের খোঁজ চলছে।
ভারতের চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞানে রয়েছে লেজার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেক্ট্রোস্কোপ (এলআইবিএস)। নমুনা সংগ্রহ করে তা লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা করে এই প্রযুক্তি।
বেঙ্গালুরুর ইসরোতে ইলেক্ট্রো-অপটিকস সিস্টেমের গবেষণাগারে এই প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। এলআইবিএসের মাধ্যমেই চাঁদের বুকে সালফার-সহ বেশ কিছু খনিজের হদিস পায় প্রজ্ঞান।
চাঁদের মাটিতে ছয় দিন কাটিয়েছে প্রজ্ঞান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে যে অংশে ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণ করেছে, আগে অন্য কোনো দেশ সেখানে মহাকাশযান পাঠাতে পারেনি। ফলে ওই এলাকাটি পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা।
প্রজ্ঞান যে তথ্য পাঠাচ্ছে, তা চাঁদ নিয়ে গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত ২৩ অগস্ট (স্থানীয় সময়) বুধবার ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম।
পাখির পালকের মতো অবতরণ (সফ্ট ল্যান্ডিং) করেছিল ল্যান্ডারটি, যা এর আগে কেউ কখনও করতে পারেনি। অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পরে বিক্রমের পেট থেকে দরজা খুলে বেরিয়ে আসে প্রজ্ঞান। তার গতিবেগ সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার মাত্র।