জুমার দিনের যে আমলে এক সপ্তাহের গুনাহ মাফ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩; সময়: ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ |
খবর > ধর্ম
জুমার দিনের যে আমলে এক সপ্তাহের গুনাহ মাফ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুমা নামে পবিত্র কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। সুরা জুমায় আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ!

জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা: ০৯)

জুমার দিন কিছু সুন্নতের ওপর আমল করলে সপ্তাহব্যাপী হয়ে যাওয়া গুনাহগুলো মাফ হয়ে যায়। সালমান ফারসি থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, সাধ্যমতো পবিত্র হলো, তেল ব্যবহার করল, ঘর থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করল, অতঃপর মসজিদে এলো, সেখানে দুজন মুসল্লির মধ্যে ফাঁক করে সামনে এগিয়ে যায় না, নির্দিষ্ট পরিমাণ নামাজ পড়ল, অতঃপর ইমাম কথা শুরু করলে চুপ থাকল; তাহলে আল্লাহ তাআলা তাঁর দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ মাফ করবেন।’ (সহিহ বুখারি: ৮৮৩)

অন্য হাদিসে আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার ঈমানের নূর এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত বিচ্ছুরিত হতে থাকবে।’ (বায়হাকি, সুনানে সুগরা: ৬৩৫)

সপ্তাহের বাকি ছয় দিনের তুলনায় অধিক মর্যাদাসম্পন্ন জুমাবারের আমলগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জুমার দিন দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলতের বর্ণনা পাওয়া যায় হাদিসে।

রাসুল (স.) বলেন, ‘…তোমরা এই দিনে আমার ওপর বেশি পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা এদিন তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়। (আবু দাউদ: ১০৪৭)

জুমার প্রস্তুতি থেকে শুরু করে জুমাকেন্দ্রিক প্রত্যেকটি আমলেই রয়েছে বিশেষ সওয়াব। আউস বিন আউস সাকাফি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করল, দ্রুততর সময়ে মসজিদে গেল ও (ইমামের) কাছাকাছি বসে মনোযোগসহ (খুতবা) শুনল, তাঁর জন্য প্রতি কদমের বদলে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব থাকবে।’ (আবু দাউদ: ৩৪৫)

জুমার দিন আগেভাগে মসজিদে যাওয়ার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, অতঃপর প্রথমে মসজিদে গেল সে যেন একটি উট কোরবানি করল। যে এরপর মসজিদে গেল, সে যেন একটি গরু কোরবানি করল।

আর যে এরপর ঢুকল, সে যেন ছাগল কোরবানি করল, এরপর যে ঢুকল সে যেন মুরগি কোরবানি করল, আর যে এরপর ঢুকল সে ডিম সদকা করল। অতঃপর ইমাম খুতবার জন্য এলে ফেরেশতারা আলোচনা শোনা শুরু করে।’ (সহিহ বুখারি: ৮৪১)

জুমার দিন একটি সময় আছে, যখন মানুষ আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেন, ‘জুমার দিন কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে ভালো কিছুর দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দেন। তোমরা সময়টি আছরের পর অনুসন্ধান করো।’ (আবু দাউদ: ১০৪৮)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমার দিনের গুরুত্ব অনুধাবনের তাওফিক দান করুন। জুমার দিনের সুন্নত ও আদবগুলো যথাযথ পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে