উচ্চশিক্ষাস্তরের পাঠ্যপুস্তক বাংলা ভাষায় প্রকাশের আহ্বান ইউজিসির
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দেশের উচ্চশিক্ষাস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও গবেষণাগ্রন্থ বাংলা ভাষায় প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
এছাড়া বাংলা ভাষায় মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক ও গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষাস্তরে ৬টি মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ উপলক্ষ্যে পাণ্ডুলিপি প্রণেতা ও ইউজিসির মধ্যে পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। কমিশনের পক্ষে সচিব ড. ফেরদৌস জামান সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, উচ্চশিক্ষা স্তরে পাঠ্যপুস্তক নিজ ভাষায় প্রকাশ করা উচিত। উচ্চশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষা বাংলার কোনো বিকল্প নেই।
এজন্য আমাদের বাংলা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক ও গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশে অধিক মনোযোগ দিতে হবে। জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলো মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা প্রদান করে থাকে।
যোগাযোগে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করলেও উচ্চশিক্ষা প্রদান ও প্রকাশনায় তারা নিজ ভাষা ব্যবহার করে থাকে। জ্ঞান অর্জনে তিনি মাতৃভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় সমৃদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মানসম্মত গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশে ইউজিসি আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। গবেষক ও লেখকদের সৃজনশীল কাজ ও মেধার যথাযথ মূল্যায়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ইউজিসি বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, কমিশন আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগ্রন্থ ও পুস্তক প্রকাশে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। পাঠ্যপুস্তক ও গবেষণা গ্রন্থের লেখকেরা শিক্ষার মানোন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক শাহীন সিরাজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ৫টি গ্রন্থের লেখক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিতব্য গ্রন্থগুলো হলো- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. জিএম মনিরুজ্জামানের ‘ত্রিপুরা জনজাতির রূপকথা, লোককাহিনি ও কিংবদন্তিতে জীবন ও সমাজ’, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের ‘বাঙালির উৎসব ও সম্প্রীতি’, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দেবাশীষ বেপারীর ‘সমকালীন বাংলা গানের ধারায় কাজী নজরুল ইসলামের আধুনিক গান’, একই বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিক সরকারের ‘কাজী নজুরুল ইসলামের ভাঙা গান’, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক এসএম আকবর ইমামের ‘বাস্তুবিদ্যা’ এবং চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেনের ‘দীনবন্ধু মিত্র ও মীর মশাররফ হোসেনের নাটক: উত্তর-ঔপনিবেশিক পাঠ’।