মামলা দিয়ে রাজনৈতিক তরঙ্গ ও আন্দোলন থামানো যাবে না : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের জন্য একটি ধারালো তরবারি। মামলা দিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক তরঙ্গ ও আন্দোলন থামানো যাবে না। ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজশাহীতে লিফলেট বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা ও মহানগর বিএনপি নগরীর সাহেববাজার এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণের আয়োজন করে। এর আগে নগরীর ভুবনমোহন পার্ক ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক সংক্ষিপ্ত সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় রুহুল কবীর রিজভী বলেন, মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে কাঁপছে, ঔষধ নেই, চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম, অপ্রতুল ঔষধ। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোন সরঞ্জাম নেই। দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তারা উল্লাস করছে, পিকনিকে যাচ্ছে। তাদের কোন জবাবদিহি করতে হয়না, তাদের কাছে জনগণের জীবনের কোন মূল্য নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোন দয়ামায়া নাই।
তিনি আরো বলেন, স্বয়ং স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটি কর্পোরেশন কিছুই করেনি। দুই সিটির মেয়র আর স্বাস্থ্য মন্ত্রী একই গোয়ালের ছাগল। তারাই একে অপরকে বলছে। এদের কোন দয়ামায়া নেই মানুষের প্রতি। এরা নিষ্ঠুরতা, দু:শাসনের মাধ্যমে তারা স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চাই। এজন্য মানুষের বাঁচা মরার বিষয়ে তাদের মনোযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, সংসদে পাস করা হয়েছে সাইবার কিকিউরিটি এ্যাক্ট। এটা যেমন সাংবাদিকরা নির্মম শিকার হতে পারেন। সাধারণ মানুষও শিকার হবে। সাইবার সিকিউরিটি আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বিকল্প করা হয়েছে। এই আইনকে আরো নিষ্ঠুর, আরো ভয়ংকর আরো ধারালো করা হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্টের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কার্বণ কপি করেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের চাইতেও আরো ভয়াবহ করেছেন।
এখানে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা আরো বেশী ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সাধারণ মানুষতো পড়েছেই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর থাকলো না। তাদের যে লুটপাট, বিদেশে টাকা পাচার, তাদের যে ব্যাংক লুট এই ধরনের পরবর্তি কোন চুরি যাতে কেউ কোন গণমাধ্যমে বা কোথায় প্রচার না করতে পারে তাই সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্ট তারা পাস করেছে।
রিজভি আরো বলেন, সরকারের জনগনের প্রতি কোন দায়দায়িত্ব নেই। ফ্যাস্টিট সরকার থাকলে জনগণ সেখানে কিছুই পাবে না। উনার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, আদালত থাকলেই সবকিছু। আজকে আদালত, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সবকিছুই শেখ হাসিনার স্বৈরতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কাজ করছে।
তিনি সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্টসহ প্রত্যাহারের দাবিসহ সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের পতনের জন্য একযোগে আন্দোলন করার আহ্বান জানান। পরে তিনি ডেঙ্গু চিকিৎসা ও প্রতিরোধে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ও মোড়ে মোড়ে লিফলেট বিতরণ করেন।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক, এ.এইচ.এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ সাইফুল ইসলাম মার্শালসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ ।