তানোরে ছোট ভাইকে বেঁধে রেখে আদিবাসী শিশু ধর্ষণ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩; সময়: ১২:০৬ অপরাহ্ণ |
তানোরে ছোট ভাইকে বেঁধে রেখে আদিবাসী শিশু ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : রাজশাহীর তানোরের ১০ বছরের ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাসে ও ঘাস কাটতে মাঠে গিয়েছিলেন ৫ম শ্রেনীর এক আদিবাসী ছাত্রী। এসময় ভাইকে বেঁধে রেখে বোনকে ধর্ষণ করেছেন দুই যুবক বলে অভিযোগে করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার কলমা ইউপির সালবাড়ি সল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে শনিবার রাতে দুইজনকে আসামি করে তানোর থানায় একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ভিকটিম আদিবাসি ছাত্রীকে উদ্ধার করে রবিবার সকালে রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলমা ইউপির সালবাড়ি সল্লাপাড়া আদিবাসী পাড়ার জনেক ব্যাক্তি ৫ম শ্রেনীর পড়ুয়া মেয়ে এবং ১০ বছরের ছেলে শনিবার স্কুল ছুটি থাকায় দুই ভাই বোন বাড়ি ছেড়ে আধা কিলোমিটার দূরে মাঠে খাড়ির ধারে ক্যাসে ঘাস কাটতে যায়। দ্ইু ভাই বোনই চক রহমত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন।

এমন সময় এক গ্রামে মনিরুল ইসলামের ছেলে জনি (৩২) এবং আবুল কালামের ছেলে আলি (৩৬) ফাকা মাঠে দুপুরে ছোট দুই ভাই বোন পেয়ে আলি তার ছোট ভাইকে গাছের সঙ্গে বেধে ধরে রাখে আর জনি ৫ম শ্রেনীর ছাত্রীকে জোর করে মুখে গামছা দিয়ে আটকিয়ে ধর্ষন করে ফেলে রেখে চলে যাই। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষনের শিকার আদিবাসি ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।

তানোর থানা অফিসার্স ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম জানান, ধর্ষনের শিকার আদিবাসি ছাত্রী উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতেই একটি ধর্ষনের মামলা হয়েছে। আসামি দুইজনকে আটকের চেষ্টাই পুলিশ কাজ করছে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে