মোহনপুরে দোকানে মাদক সেবন ও সুদ কারবারের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা কেশরহাট পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বরিঠা মহল্লার মৃত ইব্রাহিমের ছেলে মনিরুজ্জামান বাবুর চা ও মুদির দোকানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে মাদক সেবন ও সুদের কারবার করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ২৭ জন জনসাধারণের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, বরিঠা গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে মনিরুজ্জামান বাবু তার নিজ দোকানে সন্ধ্যার পরে ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে জোয়ার আসর বসান এবং সে নিজে মাদক সেবন করে গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করে। আরো বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঞ্চলের নেশাখোরেরা মাদক সেবন করার জন্য তার বাড়িতে এবং দোকানে আসে। সে সুদের কারবারের সাথে জড়িত ফলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমন কি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। এলাকার যুবক ছেলেরা মাদক সেবন করে তার দোকানে এসে বিভিন্ন রকম অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। গ্রামের লোকজন অনেকবার তাকে সতর্ক করে যেন তার দোকানে আর মাদক সেবন বা অসামাজিক কাজ না হয়। কিন্তু তারপরেও সে মাদক সেবন করে উল্টো বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে এবং সে বলে উপরে তার নাকি অনেক বড় বড় লোক আছে। গ্রামের এমন কেউ নাই যে, তার এমন অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধ করতে পারে বা কিছু করতে পারে। এ অবস্থায় একপ্রকার বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে তারা জানান।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান বাবু বলেন, আমার একটি মুদি ও চায়ের দোকান আছে। আমি মাদক বা সুদ কারবারের সাথে কোনভাবেই জড়িত না। তবে আমার স্ত্রীর বড় বোনের একটি এনজিও আছে এবং সে এনজিওতে আমার স্ত্রী চাকরি করেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদের গ্রামের মুনা সহ বেশ কয়েকজন অতি উৎসাহিত হয়ে এই অভিযোগটি করেছে, যাহা সম্পন্ন মিথ্যা।
এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।