আসর নামাজ না পড়লে যে ক্ষতি
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : হজরত বুরাইদাহ ইবনে আল হাসীব রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দিল তার আমল নষ্ট হল।’ (বুখারি, হাদিস, ৫৫৩)
অথার্ৎ, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আসরের নামাজ ছেড়ে দেয় তার শাস্তির ওপর এ হাদীসটি প্রমাণ। আসরকে বিশেষভাবে উল্লেখ করার কারণ হলো, সারা দিনের কাজ, ব্যস্ততার পর মানুষের মাঝে ক্লান্তি চলে আসে।
তাই আসর পড়ার প্রতি অনেকের অসলতা দেখা যায়। আবার অনেকে দেরিতে আদায় করে থাকেন। আর অলসতার কারণে এই নামাজ ছুটে যাওয়া অন্য নামাজ ছুটে যাওয়ার তুলনায় বেশি নিন্দনীয়।
কারণ, আসর হলো সালাতুল উসতা (মধ্যবর্তী নামাজ) যা সময়মতো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সালাতসমূহ, বিশেষ করে সালাতে উসতার (আসরের সালাতের) হিফাযত করো।; (সূরা বাকারাহ, আয়াত, ২৩৮)
আসরের নামাজ ছেড়ে দেয়ার শাস্তি হলো, আমল নষ্ট হয় এবং সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়। কেউ কেউ বলেন, এর মাধ্যমে উদ্দেশ্য হলো, যে ব্যক্তি একে হালাল মনে করে অথবা এটির ফরজ হওয়াকে অস্বীকার করে ছেড়ে দেয়। তখন আমল নষ্ট হওয়ার মাধ্যমে উদ্দেশ্য হলো কুফর।
কিছু আলেম এই হাদীসের মাধ্যমে দলিল পেশ করেছেন যে, যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ত্যাগ করল সে কুফরি করল। কারণ, কুফর ছাড়া অন্য কিছু আমল নষ্ট করে না।
আবার কেউ কেউ বলেন, এটি হুমকি বা সতর্কতা ও গুরুত্ব বোঝানোর জন্য বলা হয়েছ। অর্থাৎ যে তা ছেড়ে দিল কেমন যেন তার আমল নষ্ট হয়ে গেলো। এটা আসরের নামাজের বিশেষ ফযীলত।