সিঁদুর খেলার মধ্যদিয়ে মন্ডপে মন্ডপে বিদায়ের সুর
নিজস্ব প্রতিবেদক : শারদীয় দুর্গাপূজায় আজ বিজয়া দশমী। পাঁচ দিনব্যাপী শারদ উৎসবের শেষ দিন। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসব।
বিসর্জনের দিনে রাজশাহীর ভদ্রার আবাসিক পূজা পরিষদে সকাল থেকে শুরু হয় ভক্তদের আরাধনা। দেবী দুর্গার পায়ে ছোয়ানো সিঁদুরে স্বামীর মঙ্লল কামনায় সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে সধবা মেয়েরা।
নগরীর বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন বয়সী নারীদের গান-বাজনার তালে তfলে সিঁদুর খেলার আনন্দ।
বিজয়া দশমীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে অন্যরকম আবেগ ও মন খারাপ করা এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। কারণ, দশমী মানেই দুর্গা মায়ের ফিরে যাওয়া। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর।
ভদ্রার আবাসিক পূজা পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডা: বিকে দাম বলেন, আজ বিজয়া দশমী। দশমীতে দূর্গা মায়ের ফিরে যাওয়া সময়। বছর ফিরে আবার আসবে এমন দিন। আমরা এবারের পূজোয় প্রার্থনা করেছি দেশ ও জাতির কল্যাণে। যাতে করে দেশের মানুষ সুখে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
এর আগে সোমবার মণ্ডপে মণ্ডপে মহানবমীতে দেবীর বন্দনায় ভক্তকুলে ছিল ভিন্ন এক আবহ। ঢাকঢোল, কাঁসর-ঘণ্টাসহ বিভিন্ন বাদ্য, ধূপ আরতি ও দেবীর পূজা-অর্চনায় ছিল প্রাণখোলা উচ্ছ্বাস। সেই সঙ্গে ছিল এক মানবিক ও সুন্দর পৃথিবীর প্রার্থনা। এদিন সকাল থেকে রাজশাহীর সকল মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা।
পুরাণ মতে, এ তিথিতে দেবী দুর্গার আশীর্বাদ নিয়ে লঙ্কার রাজা রাবণকে বধ করেছিলেন দশরথ পুত্র শ্রীরামচন্দ্র। এছাড়া ১০৮টি নীলপদ্ম দিয়ে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন রামচন্দ্র। তাই এ মহানবমীতে ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজিত হয়েছেন দেবী দুর্গা।
মহানবমীর দিনে দেবী দুর্গাকে প্রাণভরে দেখে নেওয়ার সময়। দুর্গাপূজার অন্তিম দিন বলা যায় মহানবমীর দিনটিকে। পরের দিন কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের পর্ব। মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে গত শনিবার শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, এবার দেবীদুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে (হাতি) চড়ে মর্ত্যলোকে এসেছেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড়বৃষ্টি হবে এবং শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে, স্বর্গে বিদায় নেবেন নৌকায় চড়ে। ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে।