মাসিক ৫ লাখে ১৬ আনসারের নিরাপত্তা সুবিধা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৩; সময়: ৩:০২ অপরাহ্ণ |
মাসিক ৫ লাখে ১৬ আনসারের নিরাপত্তা সুবিধা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা রাস্তায় চলাচলে পুলিশের যে বাড়তি এসকট সুবিধা (বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা) পেতেন, তা গত ১৪ মে প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। এসকট বাড়তি সুবিধা প্রত্যাহারের পর অর্থের বিনিময়ে প্রথম এই সেবা নিয়েছে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস।

বাড়তি একটি সুবিধা প্রত্যাহারের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, নিরাপত্তায় কূটনীতিকরা আনসার সদস্য ভাড়া নিলে জনপ্রতি দিতে হবে ৩০০ ডলার।

গত ২২ অক্টোবর থেকে আনসার বাহিনীর বিশেষায়িত ব্যাটালিয়ন এজিবির ১৬ সদস্যের একটি দল মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষিত একজন আনসার সদস্যকে মাসে ৩০০ মার্কিন ডলার বা ৩৩ হাজার টাকা খরচ গুনতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গণসংযোগ কর্মকর্তা (অতি. দায়িত্ব) উপ-পরিচালক (প্রকল্প- প্রশিক্ষণ) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ২২ অক্টোবর থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় আনসার সদস্যদের নিয়োগ শুরু হয়েছে। আনসার বাহিনীর বিশেষায়িত ব্যাটালিয়ন এজিবির ১৬ সদস্যের একটি দল মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষিত একজন আনসার সদস্যকে মাসে ৩০০ মার্কিন ডলার বা ৩৩ হাজার টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে।

গত ১৫ মে থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের ট্রাফিক মুভমেন্টে (রাস্তায় চলাচল) সহায়তার জন্য বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা (এসকট) প্রত্যাহারের পর গত ১৬ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে আছে। তাই বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার আবশ্যকতা নেই।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন জানায়, বিদেশি দূতাবাস, সংস্থা ও কূটনৈতিক মিশনগুলো নির্ধারিত পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে আনসার বাহিনীর মাধ্যমে অতিরিক্ত নিরাপত্তা (এসকর্ট) নিতে পারবে। কোনো দূতাবাস যদি অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষিত একজন আনসার সদস্যকে নিতে চায়, তাহলে মাসে ৩০০ মার্কিন ডলার বা ৩৩ হাজার টাকা খরচ করতে হবে বলে জানানো হয় তখন। এ-সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করে দূতাবাসগুলোকে জানিয়েছে সরকার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর বিদেশি কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছিল। এর আগে ২০০৪ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যের তখনকার হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে গ্রেনেড হামলা হয়। এরপর থেকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া শুরু হয়। পরে যুক্তরাজ্যসহ অন্য হাইকমিশনারেরাও এই বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা পেতেন।

আনসার বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, নিরাপত্তার জন্য নিয়োগের আগে মার্কিন দূতাবাস এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ১১ অক্টোবর মার্কিন দূতাবাসের পক্ষে আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ডাস্টিন ডং ও আনসারের পরিচালক (অপারেশনস) সৈয়দ ইফতেহার আলী সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নকে (এজিবি)। এই ব্যাটালিয়ন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। কেউ অর্থের বিনিময়ে নিরাপত্তা সেবা নিতে চাইলে তাদের এজিবি থেকেই আনসার সদস্যের দেওয়া হবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে