ম্যাথিউসের ‘টাইমড আউট’ ঘিরে যা কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে কোনো আউট যখন প্রথমবার হয়, সেটি নিয়ে তুমুল আলোচনা এমনিতেই হওয়ার কথা।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ‘টাইমড আউট’ নিয়ে আরও বেশি তোলপাড় এটিকে ঘিরে ঘটনাপ্রবাহের কারণে। হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছিড়ে যাওয়া, ম্যাথিউসের বিস্ময়, মাঠের বাইরে গিয়ে হেলমেট ছুঁড়ে ফেলা, ম্যাচের মাঝবিরতিতে আম্পায়ার এড্রিয়ান হোল্পস্টকের দেওয়া ব্যাখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি, ম্যাচ শেষে সাকিবের প্রতিক্রিয়া ও ম্যাথিউসের বিস্ফোরক সব মন্তব্য- সব মিলিয়ে ঘটনার ঘনঘটা চলছেই।
এই ঘটনার রেশ চলবে হয়তো আগামী অনেক দিনও। ম্যাথিউস তো জানিয়েই দিয়েছেন, তাদের দল থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হবে। এই প্রবাহের সঙ্গে তাল মেলাতে পুরো ঘটনা আদ্যন্ত দেখে নেওয়া যেতে পারে আরেকবার।
নিয়ম
কোনো ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার বা অবসর নেওয়ার পর থেকে ২ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী ব্যাটসম্যানকে ক্রিজে গিয়ে বল খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আগে সময়টা ছিল তিন মিনিট। গত সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ওয়ানডের জন্য তা কমিয়ে ২ মিনিটে নামিয়ে আনে আইসিসি। টি-টোয়েন্টির জন্য সময়টি দেড় মিনিট।
মূল ঘটনা
সেটি শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ২৫তম ওভার। সাকিব আল হাসানের ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হয়ে যান সাদিরা সামারাউইক্রামা। ক্রিজে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। সতীর্থ চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ব্যাটিংয়ের জন্য স্ট্রাইক প্রান্তে যান তিনি। তখন পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিল সব কিছু।
ব্যাটিংয়ের জন্য গার্ডও নেন তিনি। এরপর স্টান্স নেওয়ার আগ মুহূর্তে হেলমেট আঁটসাঁট করার চেষ্টায় ফিতায় টান দেন তিনি। তখন ফিতার এক প্রান্ত ছিঁড়ে চলে আসে।
হেলমেট খুলে সরে গিয়ে ডাগ আউটের দিকে ইশারা করেন নতুন হেলমেট আনার জন্য। একাদশের বাইরে থাকা চামিকা কারুনারাত্নে নতুন হেলমেট নিয়ে ঢোকেন মাঠে।
এই প্রক্রিয়ায় পেরিয়ে যায় ২ মিনিটের বেশি। আম্পায়ারের কাছে টাইমড আউটের আবেদন করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাকিবকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি সত্যিই এই আবেদন করছেন কি না।
সাকিবের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে ম্যাথিউসকে আউটের সিদ্ধান্ত জানান আম্পায়াররা। লঙ্কান অলরাউন্ডার তখন হেলমেটের ছেঁড়া ফিতা দেখিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
কিন্তু কোনো কথা বলতে চাননি সাকিব। তিনি ইশারায় দেখিয়ে দেন আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। সাকিব আবেদন করার পর আম্পায়ারদের আউট না দিয়ে উপায় ছিল না।
বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ ম্যাথিউস মাঠ ছেড়ে যান। বাইরে গিয়ে সেই হেলমেট তিনি ছুড়ে ফেলেন মাটিতে।
আম্পায়ারের ব্যাখ্যা
ম্যাচের মাঝবিরতিতে ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপের মুখোমুখি হয়ে আউটের ব্যাখ্যা দেন এই ম্যাচের চতুর্থ আম্পায়ার এড্রিয়ান হোল্ডস্টক। তিনি জানান, ২ মিনিট সময়ের হিসাব রাখার দায়িত্ব টিভি আম্পায়ারের এবং তিনিই মাঠের আম্পায়ারদের তা জানিয়ে থাকেন।
হোল্ডস্টকের বক্তব্যের একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার ছিল, তৃতীয় আম্পায়ারের হিসেবে ম্যাথিউসের হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে যাওয়ার আগেই ২ মিনিট সময় পেরিয়ে গিয়েছিল।
হোল্ডস্টক জানান, স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আউটের আবেদন করেন।
‘ইকুয়েপমেন্ট ম্যালফাঙ্কশন’ নিয়ে ইয়ান বিশপের প্রশ্নের জবাবে চতুর্থ আম্পায়ার জানান, এরকম কিছু আলোচনা হয়নি। বরং তিনি বলেন, ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব সব সরঞ্জাম ঠিকঠাক রেখে মাঠে যাওয়ার।
ম্যাথিউসের ‘টাইমড আউট’ ঘিরে যা কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর
টিভি রিপ্লেতে যা দেখা গেল
স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে যাওয়ার আগেই ২ মিনিট পেরিয়ে গেছে বলে আম্পায়ার দাবি করলেও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় ভিন্ন কিছুই। স্লো মোশনে প্রতিটি সেকেন্ড ধরে ধরে তারা ঘটনাটি উপস্থাপন করে।
তাতে দেখা যায়, সামারাউইক্রমা আউট হয়ে যাওয়ার পর ১ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের মাথায়ই ক্রিকেজ গিয়ে গার্ড নেন ম্যাথিউস। ১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের সময় স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
অর্থাৎ, টিভি রিপ্লে ঠিক হলে ম্যাথিউস সময়মতোই ক্রিজে যান। সেক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ার সময় হিসেব করতেই ভুল করেছেন।
স্ট্র্যাপ যদি না ছিঁড়ত
নিশ্চিতভাবেই তাহলে এত ঘটনা ঘটতোই না! আম্পায়ার এড্রিয়ান হোল্ডস্টক যদিও বলেছেন, স্ট্র্যাপের ঘটনার আগেই ২ মিনিট পেরিয়ে গেছে, পাশাপাশি তিনি এটিও যোগ করেছেন যে, স্ট্র্যাপ ছেঁড়ার পরই আউটের আবেদন করেছেন সাকিব।
যেটির পরিষ্কার মানে, স্ট্র্যাপ ছেঁড়ার ঘটনা না ঘটলে বাংলাদেশ আবেদনই করত না, সময় ২ মিনিটের কম লাগুক বা পেরিয়ে যাক। সেক্ষেত্রে ম্যাথিউস আউট হতেন না বা এত বিতর্ক হতো না।
এটা কি ইকুয়েপমেন্ট ম্যালফাঙ্কশন?
আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যায় না। তবে ঘটনাপ্রবাহ বিবেচনায়, অবশ্যই এরকম কিছু বলা যায়। ম্যাথিউস ভাঙা হেলমেট বা ছেঁড়া স্ট্র্যাপ নিয়ে মাঠে যাননি। মাঠে গিয়ে গার্ড নেওয়ার পর স্ট্র্যাপ টানতে গিয়ে তা ছিঁড়ে যায়।
মাঠে অনেক সময়ই ক্রিকেটারদের এরকম নানা কিছু হয়ে থাকে। কখনও কখনও ‘অ্যাবডোমেন গার্ড’ ছাড়াও ব্যাটসম্যান মাঠে ঢুকে যান ভুল করে।
এই বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান ব্যাটিংয়ে নামেন এই গার্ড ছাড়াই। পরে তিনি গার্ড আনিয়ে নেন সতীর্থকে দিয়ে।
এই পরিক্রমায় সময় নিশ্চিতভাবেই পেরিয়ে যায় ২ মিনিটের বেশি। তখন হাসাহাসি হয়েছিল মাঠে, বাংলাদেশ আউটের আবেদন করেনি।
ম্যাথিউস সংবাদ সম্মেলন বারবার দাবি করেছেন এটা ইকুয়েপমেন্ট ম্যালফাঙ্কশন।
সাকিব ভুল করেছেন নাকি ঠিক
এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির ওপর। সরাসরি বলার উপায় নেই। এভাবে বলা যেতে পারে, নিয়মের মধ্যে থেকে সাকিব কোনো ভুল করেননি।
ম্যাচের পর সাকিব জানান, দলের একজন ক্রিকেটার তাকে বলেন যে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে এবং এখন তিনি আবেদন করলে ম্যাথিউস আউট হবেন। সাকিব সেটা শুনেই আবেদন করেন।
মাঠে ওই সময় সাকিবের কাছাকাছি ছিলেন কেবল নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকেই দেখা গেছে সাকিবের সঙ্গে কথা বলতে। সাকিব এরপর আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশ অধিনায়ককে পরামর্শ দেওয়া ওই ক্রিকেটার শান্ত বলেই অনেকটা নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায়।
ম্যাথিউসের সময় আদতেই ২ মিনিট পেরিয়ে গেছে কি না, এটি পরিমাপ করার কোনো উপায় সাকিব-শান্তর ছিল না। বাংলাদেশ অধিনায়ক আম্পায়ারদের কাছে আবেদন করেছেন এবং তার সিদ্ধান্তের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন। এখানে তিনি একদম নিয়ম মেনেছেন এবং কোনো দায় তার নেই।
সাকিবের কি আবেদন প্রত্যাহার করা উচিত ছিল
এটাও যার যার দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। সাকিব ম্যাচ শেষে বলেছেন, আম্পায়ার তাকে একবার জিজ্ঞেস করেছেন যে আবেদনটা সত্যিই সিরিয়াস কি না।
কারণ, এসব ক্ষেত্রে ক্রিকেটাররা অনেক সময় মজা করে টাইমড আউট চান কিংবা স্টাস্পের বেলস ফেলে দেন। সাকিব জানিয়ে দেন, তার আবেদন ‘জেনুইন।’
এরপর আবার তার কাছে আম্পায়াররা জানতে চান যে, আবেদন তুলে নেবেন কি না। সাকিব জানান, নিয়ম অনুযায়ী আউট হলে তিনি আবেদন তুলে নেবেন না।
সাকিব আবেদন প্রত্যাহার করে নিলে অনেকে তার প্রশংসা হয়তো করতেন। আবারও কিছু সমালোচনা তখনও হতো। এখনও যেমন তিনি বাহবা পাচ্ছেন, সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে।
তবে নিজের ভাবনায় তিনি পরিষ্কার। ম্যাচ শেষে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, “এটা যদি নিয়মে থাকে… আমি জানি না এটা ঠিক নাকি ভুল। আমার মনে হয়েছে, যুদ্ধে আছি এবং আমার দলের জয় নিশ্চিত করার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হতো আমাকে।
সেটার জন্য যা করা দরকার, করতে হবে আমাকে। ঠিক নাকি ভুল, এ বিতর্ক থাকবে। তবে যদি এটা নিয়মে থাকে, তাহলে সেই সুযোগ নেওয়ায় আপত্তির কিছু দেখি না।”
তার শেষ লাইনটাকেই মূল লাইন ধরে নেওয়া যেতে পারে, নিয়ম মানার জন্য নিশ্চয়ই দায় দেওয়া যায় না!
ম্যাথিউসের করার কী ছিল
টিভি রিপ্লে অনুযায়ী তিনি ১ মিনিট ৫২ সেকেন্ডে গার্ড নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তিনি ঠিকই ছিলেন। তাকে দায় দেওয়া যায় না। তবে নিরাপদ থাকার জন্য তিনি যেটা করতে পারতেন, নতুন হেলমেট নেওয়ার সময় আম্পায়ারকে বলে নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি সরাসরি ড্রেসিং রুমের দিকে ইশারা দিয়ে নতুন হেলমেট এনে ব্যাটিং শুরু করতে যান।
ততক্ষণে ৫ মিনিটের মতো সময় লেগে যায় সব মিলিয়ে। আম্পায়ারকে বলে নিলেই কোনো সমস্যাই হতো না। তিনি হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন, এসব নিয়ে কেউ আবেদন করে না বা করবে না। আগে কেউ কখনও করেনি এমন আবেদন। তার পরও তিনি সতর্ক থাকতে পারতেন।
দায় তাহলে কার
সাকিব নিয়মের মধ্যে থেকে ঠিক করেছেন। ম্যাথিউস মৌলিক জায়গায় ঠিকই ছিলেন, ১ মিনিট ৫২ সেকেন্ডে গার্ড নিয়েছেন। টিভির রিপ্লে বা অন্যান সবকিছু যা বলছে, তাতে মূল দায় তৃতীয় আম্পায়ার নিতিন মেননের, সময়ের হিসাব রাখার দায়িত্ব যার।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাথিউস সরাসরি দায় দিয়েছেন আম্পায়ারকেই। স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে যাওয়ার আগেই ২ মিনিট পেরিয়ে গেছে, আম্পায়ারের এই দাবি নিয়ে ম্যাথিউস বলেছেন, “এখন যদি একই প্রশ্ন করেন, তার উত্তর ভিন্ন হবে।
কারণ, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। ভিডিও প্রমাণ। যেটা বললাম, আমি স্রেফ বলার খাতিরে কিছু বলছি না। আমার কাছে ভিডিও প্রমাণ আছে এবং কেউ যদি সেটাকে চ্যালেঞ্জ করতে চান, আমি আহবান জানাব করতে।”
ম্যাথিউস ও তার দলের দায়
ম্যাচ শেষে শ্রীলঙ্কার কোচিং স্টাফের সদসরা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলালেও সেই রীতি অনুসরণ করেননি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। সাকিব ও বাংলাদেশ দল এগিয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমে চলে যান। এটি ক্রিকেটের স্পিরিট বা চেতনার পরিপন্থী নিশ্চিতভাবেই।
এটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাথিউস বলেছেন, “সম্মান তাদেরকেই করতে হয়, যারা আমাদেরকে সম্মান করে।” তার এই বক্তব্যও অনাকাঙ্ক্ষিত।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে ম্যাথিউস যেভাবে সাকিব ও বাংলাদেশ দলকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন, এটিও বিস্ময়কর এবং বিরল। প্রতিপক্ষের অনেক কিছু নিয়েই সমালোচনা করেন ক্রিকেটাররা।
কিন্তু এভাবে সরাসরি বারবার আক্রমণ নজিরবিহীন এবং ক্রিকেটীয় ভব্যতার সঙ্গে কতটা মানানসই, সেই প্রশ্ন তোলা যায়।
ম্যাচের সময়ও ম্যাথিউসরা ও লঙ্কানরা প্রচুর স্লেজিং করেছেন, উদযাপনে খোঁচা দিয়েছেন। মাঠের সেসবকে ক্রিকেটের অংশ হিসেবেই চালিয়ে নেওয়া যায়। তবে মাঠের বাইরের আচরণ নিঃসন্দেহে ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
এরপর কী
ম্যাথিউস জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কা দল থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হবে।
ম্যাথিউসের হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছেঁড়ার আগেই ২ মিনিট পেরিয়ে গেছে- আম্পায়ারের এই বক্তব্য ও টিভি ভিডিওর দৃশ্য সরাসরি সাংঘর্ষিক। এক্ষেত্রে আইসিসির পক্ষ থেকে ব্যাখ্যার দাবি থাকে। তাদের কাছ থেকে সেই ব্যাখ্যা আসতে পারে।
বাংলাদেশ দলের আপাতত কিছু করার নেই। তারা নিয়মই অনুসরণ করেছেন। আবেদন প্রত্যাহার না করার জন্য ক্রিকেট বিশ্বে সাকিবের অনেক সমালোচনা হবে বটে। তবে এসবকে পাশে সরিয়ে তারা আপাতত মনোযোগ দিতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচের দিকে।