সোনার গয়না কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সোনার গয়না তৈরি কেবল বিলাসিতাই নয়, এটি এক ধরনের সেভিংসও বলা চলে। কারণ সোনার দাম বছর বছর বেড়েই চলেছে।
তাইতো বিয়ে কিংবা যেকোনো উপলক্ষে মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী সোনার গয়না কেনার চেষ্টা করেন। নারীর অলংকার হিসেবে সোনার গয়নার সৌন্দর্য অতুলনীয়।
তবে সোনার গয়না কিনে আনলেই হবে না, কেনার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এতে পছন্দের গয়নাটি কিনে আপনাকে ঠকতে হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সোনার গয়না কেনার সময় কোন বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল করবেন-
সোনার গয়না কিনতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে সেটি কতটুকু খাঁটি সে সম্পর্কে। যে গয়নাটি পছন্দ করেছেন তা খাঁটি কি না তা জানার জন্য প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে সেটির হলমার্কিং। গয়নাটিতে কোন অনুপাতে সোনা ব্যবহার করা হয়েছে তা জানার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলমার্ক।
কীভাবে হলমার্ক খতিয়ে দেখবেন?
যেকোনো গয়নায় সাধারণত সংস্থার স্ট্যাম্পে খোদাই করা একটি নির্দিষ্ট নম্বর থাকে। এখানে হলমার্কের বছর এবং গয়না কোম্পানিকে চিহ্নিত করার জন্য একটি চিহ্নও থাকে।
নিজের সোনার গয়না পরীক্ষার সময় ‘K’ অক্ষরটি খুঁজে বের করতে হবে। এটি ক্যারাট অথবা বিশুদ্ধতার শতাংশের ইঙ্গিত দেয়। সোনার গয়নার হলমার্কিং ছ’টি বিভাগে অনুমোদিত। সেগুলো হলো 14, 18, 20, 22, 23 এবং 24 ক্যারেট।
সোনার গয়নার ক্ষেত্রে হলমার্কে 22K916, 18K750, 14K585, ইত্যাদি হিসাবে দেখতে পাবেন। যদি সোনার গয়নায় 22K916 স্ট্যাম্প লাগানো থাকে,সেক্ষেত্রে জানবেন এতে 91.6 শতাংশ সোনা রয়েছে। বাকি 8.4 শতাংশে অন্যান্য ধাতু রয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক সময় দস্তাসহ বিভিন্ন ধাতু থাকে।
সোনার দাম জেনে নেওয়া
সোনার দাম কখনো বাড়ে আবার কখনো কিছুটা কমে। তাই সোনার গয়না কেনার সময় এর বাজার দর সম্পর্কেও আপনার জানা থাকা চাই। নয়তো কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঠকে আসতে হতে পারে।
আবার বিভিন্ন শহরের খুচরা বাজারে সোনার গয়নার দামে সামান্য পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। মনে রাখবেন, সোনার গয়নার দাম ধাতুর মূল দরের তুলনায় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কারণ গয়নার ক্ষেত্রে পারিশ্রমিক অতিরিক্ত হিসাবে যুক্ত হয়। এটি প্রতিটি গয়নার দোকানের ওপর নির্ভর করে। সেজন্য পছন্দের গয়না সেরা দামে পেতে আপনি বিভিন্ন দোকানের মেকিং খরচ হিসেব করে দেখতে পারেন।