যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গাজা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পুরোপুরি টেলিযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান জাওয়াল এবং প্যাল্টেল জানিয়েছে, সব শক্তির উৎস ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজায় মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে তারা।
প্রতিষ্ঠান দুটি বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্টে জানায়, ‘নেটওয়ার্ক অব্যাহত রাখার সমস্ত শক্তির উৎস নিঃশেষ হয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, একদিন আগে তারা সতর্ক করে বলেছিল প্রধান ডেটা সেন্টার ও নেটওয়ার্ক টাওয়ার পরিচালনা করার জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানির অভাবে সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট (বন্ধ) হয়ে যাবে গাজা উপত্যকা।
প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, জ্বালানির অভাবে চার্জ না দিতে পারায় গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকেই নেটওয়ার্ক পরিচালনার মূল চালিকা ব্যাটারিগুলো বিকল হয়ে আছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানাচ্ছে, ইতোমধ্যে গাজার প্রায় পঁচিশ লাখ মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অ্যামনেস্টি টেকের পরিচালক রাশা আব্দুল-রহিম বলেছেন, মানুষের জীবন রক্ষার জন্য খাদ্য, চিকিৎসার মত তথ্যও অতি জরুরী।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর সিনিয়র প্রযুক্তি গবেষক ডেবোরা ব্র্যাডন বলেছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে মানবাধিকার কর্মীরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনা। আর এই ব্ল্যাকআউটের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি গণহত্যার মত মানবাধিকার লঙ্ঘন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, উত্তরের পাশাপাশি দক্ষিণেও মানবিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে খাবার, জল, জ্বালানী বা বিদ্যুৎ সহ অতিপ্রয়োজনীয় কিছুই এখন নেই গাজায়।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলই বাহিনী গাজায় ব্যাপক হামলার পাশাপাশি, ওই অঞ্চলের জ্বালানী ও পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ইসরায়েলের অবরোধ আরোপের পর গাজায় বুধবার (১৫ নভেম্বর) প্রথম জ্বালানির ট্রাক ঢুকেছে। ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর
প্যালেস্টাইন রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে যে তারা ২৩ হাজার লিটার জ্বালানি পেয়েছে। তবে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মিশর থেকে আশা ত্রান বা জ্বালানি কিচহুই ফিলিস্তিনে ঢুকতে দিচ্ছে না।