গোদাগাড়ীতে যুবককে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৩; সময়: ৯:২৭ pm |
গোদাগাড়ীতে যুবককে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদকদ্রব্য পুলিশকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য মাইকেল মিন্টু (৩২) নামের এক যুবককে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) উপজেলার লালবাগ গ্রামে একটি চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুুতি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগী মিন্টু । তিনি নাটোর সদর থানা এলাকার আমহাটি শিবপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

জানা গেছে, মিন্টু বিয়ে করেন গোদাগাড়ী আলাতলি চরে। সেই সুবাবে তার যাওয়া আশা গোদাগাড়ীতে। বেশ কিছু দিন আগে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ সিন্ধুকের ভেতর থেকে হেরোইন, স্বর্ণ, ফেনসিডিল ও ২৪ লাখ টাকা উদ্ধারসহ মাদক সম্রাট পিয়ারুলের ব্যবসায়ী পার্টনার জিয়াকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহ করে যে, কাজটি পুলিশকে দিয়ে মিন্টু করিয়েছে।

ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আলাতুলী গ্রামের বাবু মাইকেল মিন্টুকে ডেকে নিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলার লালবাগ গ্রামে নিয়ে যায়। দুপুর ২টার দিকে নিয়ে গিয়ে লালবাগ গ্রামে একটি চেম্বারে আটকে রেখে মিন্টুকে মারপিট করে ওই এলাকার মাদক সম্রাট কোদালকাঠি জেলেপাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে পিয়ারুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপজেলার কোদালকাঠি গ্রামের শান্তিপাড়ার শাহজাহান আলীর ছেলে সেন্টু মেম্বার ও বাবুসহ অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জন মিন্টুকে মারপিট করে এবং বলে তুই আমাদের লোকের হেরোইন ধরিয়ে দিয়েছিস তোকে আজকে মেরে ফেলবো বলে নির্যাতন করে।

এসময় মিন্টুকে ফাঁসাতে তার ফোন থেকে পিয়ারুলকে জোর করে ফোন করিয়ে বলায় যে, আমি পিবিআই এর লোক আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন তাহলে বেঁচে যাবেন। এসব কথা রেকোডিং করে রাখে পিয়ারুলের সহযোগিরা।

এসময় মিন্টুকে হুমকি দেই যে এ রেকোডিং প্রশাসনকে দিয়ে এবং র‌্যাবকে দিয়ে তোকে হেরোইন দিয়ে মামলা দেয়া হবে। এছাড়াও এ ঘটনা যদি কাউকে বলিশ তাহলে পিবিআই পরিচয়ের যে টাকা চাঁদা চাইছিস পিয়ারুলের কাছে সেই আডিও ফাঁস করে সংবাদ করা হবে। পরে মিন্টুকে তার বাড়িতে ফোন করিয়ে তার বাবার কাছে থেকে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে মিন্টুর খালাতো ভাই বিদ্যুত নিয়ে গিয়ে রাত ৮ টার দিকে মাদক সম্রাট পিয়ারুল কে দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আনে মিন্টুকে। ৫ লাখ টাকা নগদ মিন্টুর খালাতো ভাই বিদ্যুত পিয়ারুল কে দেই এবং ২৫ হাজার টাকা মিন্টু নাম্বার থেকে নগদে এজেন্ট নাম্বারে নেই। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুুতি চলছে।

ভুক্তভোগী মিন্টু বলেন, পরিকল্পিত ভাবে তারা আমাকে আটকে রেখে নির্যাতন করে ৫ লাখ টাকা নিয়েছে চাঁদা। আবার আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা সংবাদ করিয়েছে আমার বিরুদ্ধে মাদক সম্রাট পিয়ারুল, সেন্টু মেম্বার ও তার সহযোগীরা। কোন প্রশাসনের নামে আমি কোন টাকা নেই নি। কোন দিন পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি, বিজিবির নাম করে টাকা নিয়েছি তার কোন প্রমান নেই। একটি চক্র আমাকে ফাঁসাতে এসব মিথ্যা তথ্য সাংবাদিকদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে হয়রানি করছে।

তিনি আরো জানান, কিছু দিন আগে আমার স্ত্রীর বড় ভাই মো জামাল আলীকে ৫০০ গ্রাম হেরোইন ম্যডি প্রশাসনকে দিয়ে ফাঁসিয়েছে চাঁপায়নবাবগঞ্জ চর কোদালকাঠি গ্রামের মাদক সম্রাট পিয়ারুল ও সেন্টু মেম্বারসহ মাদক সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা। ওই এলাকার মাদকের গটফাদার পিয়ারুল, সেন্টু মেম্বার। তারা ওই এলাকায় হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা ডিলার হিসাবে পরিচিত। র্শীষ মাদক সম্রাট পিয়ারুল ও সেন্টু মেম্বারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় বিশাল মাদক সিন্ডিকেট গড়েছে। নিয়ন্ত্রন করে থাকে পিয়ারুল ও সেন্টু মেম্বার। আমি মাদক সিন্ডিকেটের হাতে থেকে বাঁচতে চাই। দ্রুত ওই মাদকের গটফাদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ঘটনা তদন্ত করে দ্রুত মাদক সম্রাট পিয়ারুল ও সেন্টু মেম্বারের সিন্ডিকেটের সদস্যদের গ্রেপ্তার করার জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা চাই মিন্টু।

এ বিষয় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রফিকুল আলম বলেন, এ বিষয় থানায় অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে