নগরীতে প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে ছেলের বউ ও তার পিতার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবারে ছেলের বউ ও তার পিতা- মেয়ের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও জামাইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী ফটো জার্ণালিস্ট এসোসিয়েশনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছেলের বউ ও তার পিতার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানান তারা।
মেয়ের পিতা নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, চলতি বছরে ১৪ নভেম্বর আমার মেয়ের শ্বশুর রাজশাহী হড়গ্রামের মো. আইনুল হক সংবাদ সম্মেলন করেন। সম্মেলনে যেসব কথা বলেছেন- তা সবই মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আসলে নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টায় শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাচ্ছেন।
গত ২০২২ সালের ২৩ এপ্রিল তার অন্ত:সত্বা মেয়েকে মারপিট করে। নিজেদের বাঁচানোর জন্য দীর্ঘ নয় মাস পরে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী কাশিয়াডাঙ্গা থানায় আমাদের নামে জিডি করেন। মো. আইনুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা নাকি তাদের ওপরই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। আমাদের দেশে মেয়ের ডিভোর্সের আগে তার শ্বশুর বাড়িতে সন্ত্রাসী আক্রমণ করে-বিষয়টি শুধুই মিথ্যা নয় বরং একেবারে হাস্যকর। স্ত্রী তার স্বামীর কাছে শিশু জন্ম দেয়া ও যাবতীয় খরচের জন্য টাকা চাইতেই পারে। দেখতে টাকা দিয়েছে কিনা। ফরেন রেমিট্যান্সতো দুরের কথা প্রসূতি মাতার জন্য তার স্বামী ও শ্বশুর পরিবার নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়। মেয়ের ও আগত শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিতে চিকিৎসা ব্যয়ও তিনিই করেছেন। নাতীকে একটি সোনার চেইনও উপহার দিয়েছেন তিনি।
মেয়ের বিয়েতে পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার, জামাইকে একটি হীরার আংটি ও একটি সোনার চেন এবং ঘর সাজানোর জন্য প্রায় চার লক্ষ টাকার ফার্নিচার দিয়ে থাকি। অথচ এ অলংকারাদী বিবাহের পর হতে মেয়ের শ্বাশুড়ী হেফাজতে রাখতো। আমার মেয়েকে শখ করে বেড়ানোর সময়েও গহনা পরিধান করে বাবার বাড়ীতে আসতে দেয়নি তারা। এমনকি যেদিন থেকে গহনা মেয়ে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছে তারপর থেকে মেয়ের উপর অন্যায় অত্যাচার আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবার বিদেশ থেকে মোবাইলে ” জামাই ” পাঁচ লক্ষ টাকার দাবী করেন, তা না দিলে গহনা বিক্রির প্রস্তাব দেয়। বাচ্চা হলে বাচ্চাকে ( ২২ ক্যারেট ) আট আনার একটি স্বর্ণের চেইন, বাচ্চা হওয়ার যাবতীয় খরচ মেয়ের বাবাকে বহন করতে হবে। শ্বাশুড়ি বলেন এটার কোন ছাড় নেই। তিনি জানান আমরা সন্ত্রসী বা দুষ্কৃতিকারি না। বরং মেয়ের শ্বশুর আইনুল হকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা এবং সে দীর্ঘদিন যাবত চাকরীচ্যূত ছিলেন। বিধায় আইনুল হক সংবাদ সম্মেলনে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ প্রকাশ করেছে। তিনি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন।