বাগমারায় গৃহবধু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৩; সময়: ৬:২৭ অপরাহ্ণ |
বাগমারায় গৃহবধু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাগমারা : অবশেষে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের নির্যাতিত গৃহবধু রানী বিবি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগের ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও আইনগত কোন সুব্যবস্থা করতে পারেনি বাগমারা থানার পুলিশ। জরুরী আইনগত সহযোগীতা পাওয়ার জন্যই তিনি পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

থানার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর গৃহবধু রানী বিবি শ্বশুর, শ্বাশুড়ীসহ পরিবারের লোকজনের অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন । রানী বিবির ১৫ বছর পূর্বে একই গ্রামের সাজেদুর রহমানের সাথে বিয়ে হয়। প্রায় ৫ বছর পূর্বে সাজেদুর রহমান স্ত্রী রানী বিবিকে রেখে বিদেশ চলে যান। প্রবাসী সাজেদুর রহমান বিদেশ থেকে প্রতি মাসে সামান্য কিছু অর্থ তার স্ত্রী রানী বিবির কাছে পাঠান। রানী বিবি জানান, তার স্বামী বিদেশ থেকে তার বাব, মাকে টাকা দেয় কিনা সেটা আমি জানিনা। তারা প্রতি মাসে টাকার জন্য আমার উপর চাপ সৃষ্টি করে। ওই টাকাকে কেন্দ্র করে শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও স্বামীর ভাইয়েরা সব সময় আমার সাথে খারাপ আচরন করেন। কোন কোন সময় তারা আমাকে মারধর করে থাকেন।

গত ১৫ নভেম্বর টাকা দেয়াকে কেন্দ্র করে পরিবারের সবাই মিলে আমাকে শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করেন। তাদের নির্যাতনে আহত হলে স্থানীয়রা গৃহবধু রানী বিবিকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান। তিনি সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তার উপর র্নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। তিনি তাদের অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে যান। দুই এক দিন পর তিনি আবারো স্বামী বাড়ি ফিরে আসনে। বাড়িতে আসার পর আবারো শ্বশুর শ্বাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন আবারো অত্যাচার নির্যাতন বাড়িয়ে দেন। গৃহবধু রানী বিবির অভিযোগ স্বামী বিদেশ থাকায় পরিবারের লোকজন তার উপর অত্যাচার ও নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছেন। তিনি এই অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত সুষ্ঠ বিচারে দাবী জানিয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বাহিরে আছি, থানায় ফিরেই খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে