নওগাঁর নিয়ামতপুরে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নিজস্ব প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) : নওগাঁর নিয়ামতপুরে পড়া মিষ্টি খিলিয়ে ফিল্মি স্টাইলে নাজমুল হোদা(২৬) নামে এক যুবকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাহবুর আলম (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। গত ৪ ডিসেম্বর নাজমুল হোদা নিখোঁজ হলে তার বাবা গত ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নিয়ামতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আটককৃত ব্যক্তি হলেন নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ এর ছেলে মাহবুর রহমান। সে বর্তমান উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাচড়া (দিঘীপাড়া) গ্রামে বসবাস করতেছে। থানায় এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় গত ৪ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে ভ্যান গাড়ি নিয়ে বের হয়ে রাতে বাড়িতে ফিরে আসে নাই নাজমুল হোদা। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করার এক পর্যায়ে জানতে পারে সে ভিকটিমের সাথে সন্ধ্যায় ঘুরতেছিল। আসামীকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নিলে আসামী হত্যার ঘটনা বর্ণনা করে।
উপজেলার সাংশৈল ও পাচরা সীমানা সংলগ্ন ঝলঝলিয়া পুকুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে (স্পঞ্জের মিষ্টির ভিতর গ্যাস পাউডার দিয়ে) পড়া মিষ্টি বলে নাজমুল হোদাকে খাওয়ানো হয়। মিষ্টি খাওয়ার কয়েক মিনিট পরই সে মারা যায়। সেখানে একটি কচুরি পানা ভর্তি খাড়িতে তার লাশ রেখে মোবাইল ফোন ও ভ্যান নিয়ে টিএলবি – শিবপুর আঞ্চলিক রাস্তার পাশে পরিত্যাক্ত স্থানে রেখে পায়ে হেঁটে বাড়িতে যান মাহবুর আলম। নিহতের বাবা জান মোহাম্মদ কাজী বলেন, আমার ছেলেকে নরপশু যে ভাবে মেরে ফেলেছে। আমি তার ফাঁসি চায়।
অপরদিকে ৮ ডিসেম্বর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রূপনারায়নপুর গ্রামের শ্মশানের পাশের্^ খাল থেকে আরেকটি লাশ উদ্ধার করে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত লাশ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাতপাড়া গ্রামের হোসেনের ছেলে তুহিন।
পুলিশ জানায় গত ৫ ডিসেম্বর থেকে তুহিনকে খুজে না পাওয়ায় তার বাবা ৭ ডিসেম্বর থানায় এসে একটি সাধারণ ডায়েরী করে। ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে রূপনারায়নপুর শ্মশানের পাশের্^ খালে এলাকার কিছু কৃষক লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশের ধারণা তুহিন ২/৩ দিন আগে মারা গেছে।
এ ব্যাপারে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি মাইদুল ইসলাম বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার মুল কারণ জানার জন্য তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে।