মিয়ানমারকে কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪; সময়: ৩:৫৩ অপরাহ্ণ |
মিয়ানমারকে কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে দুইজনের মৃত্যু এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

আর আসন্ন ভারত সফরে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সীমান্তরক্ষীদের নৌরুটে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে দুইজনের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার কিছু আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসেন অং কিউ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মাইনুল কবিরের সাথে তিনি বৈঠক করেন।

সেখানে হস্তান্তর করা হয় প্রতিবাদপত্র। আধাঘণ্টা বৈঠকের পর বেরিয়ে যান রাষ্ট্রদূত।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল এবং কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে আমাদের দেশের অভ্যন্তরে তাদের দেশের মানুষের প্রবেশ এবং সেখান থেকে গোলাবারুদ এসে পড়ার কারণে আমাদের মানুষ আহত নিহত হওয়া- এই পুরো জিনিসটা নিয়েই তাদের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরেই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে।

বিদ্রোহীরা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ফাঁড়ি দখল করে নিলে এখন পর্যন্ত ২২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে প্রায়ই সীমান্তের ওপার থেকে গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশ, এ ঘটনায় সোমবার দুইজন নিহত হয়েছেন।

এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের ৩০টির মতো মর্টার শেল আমাদের দেশের অভ্যন্তরে এসে পড়েছে এবং দুই জন নিহত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া যাওয়ার জন্য যখন আমরা কাজ করছি, সেই প্রেক্ষাপটে এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অগ্রহণযোগ্য। এটি আমরা জানিয়েছি।

‘মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের নিয়ে যাবে এই মর্মে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। এখন পর্যন্ত তাদের কাছে নৌপথে নিয়ে যাওয়াটা বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে,’ বলেন তিনি।

এদিকে আসন্ন ভারত সফরের সময় মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু মিয়ানমার ভারতীয়দের প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আমাদেরও প্রতিবেশী রাষ্ট্র; সুতরাং এ বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবেই আলোচিত হবে।

আর মিয়ানমার ইস্যুতে বিএনপির বক্তব্য পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।

সীমান্ত অরক্ষিত থাকা এবং সরকারের নতজানু নীতির কারণে মিয়ানমার সীমান্তে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে-বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের নীতির কারণে ওখানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরকান আর্মির সংঘর্ষ হচ্ছে? আসলে রিজভীর বক্তব্য পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে