চাল-তেল-চিনি-খেজুরের শুল্ক কমাল সরকার
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আসন্ন রমজানে তেল, চাল, চিনি ও খেজুর মানুষের নাগালে রাখতে শুল্ক হার কমিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শুল্কহার কমানো হয়েছে।
ভোজ্য তেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। চালে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ নির্ধারণ, খেজুরে ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ আর চিনিতে কাষ্টমস ডিউটি ও অন্যান্য মোট তিন হাজার টাকা করা হয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে অপরিশোধিত চিনিতে শুল্ক দিতে হয় টনপ্রতি দেড় হাজার টাকা। সেটা ৫০০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে চিনির দাম কমতে পারে। পরিশোধিত চিনির শুল্ক রয়েছে টনপ্রতি ৩ হাজার টাকা। সেটি ১ হাজার টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চালের বর্তমান শুল্ক ৬২ শতাংশ। এটি কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
ফলে আমদানি করা চালের দাম কমতে পারে। খেজুরে শুল্ক রয়েছে ৬২ শতাংশ। রমজান উপলক্ষে তা ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে কমতে পারে খেজুরের দাম। ভোজ্যতেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। সেটি ৫ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
আসছে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দিন আগেই চাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের শুল্ক-কর কমানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে পদক্ষেপ নিতে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠি পাওয়ার পর শুল্ক বিভাগ এসব পণ্যে কতটুকু শুল্ক কমলে কত রাজস্ব ক্ষতি হবে ইত্যাদি হিসাব করেছে। শেষ পর্যন্ত সংস্থাটি তা চূড়ান্ত করে অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠায়।
শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শুল্ক কমানোর প্রস্তাবের সারমর্ম কয়েক দিন ধরে অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। সেটি সম্পন্ন হয়েছে। এখন এর প্রজ্ঞাপন জারি করতে যেটুকু সময় লাগে, তার অপেক্ষা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রোজায় সাধারণ মানুষের পণ্য কিনতে যাতে ভোগান্তি না হয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী চাল, তেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়।