ভাষা শহীদদের প্রতি রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির শ্রদ্ধাঞ্জলি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি: ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি (রুরু)। বুধবার (২১শে ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টায় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের সদস্যরা।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহিদ মিনার চত্বরে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন তারা। এরপর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান মিলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সভাপতি লাবু হক ও সহ-সভাপতি ফাহিম আহমেদ।
রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লাবু হক বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে মূলত ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়। সেটি বেগবান হয় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে সালাম, বরকত, রফিক জব্বারের আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে ভাষার জন্য আরও অনেকে শহিদ হন। এই ভাষা আন্দোলন চলে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত। আর এই আন্দোলনের পথ ধরেই আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামের পথে ধাবিত হই। পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষার জন্য শুধুমাত্র বাঙালিরাই রক্ত দিয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের রক্তের মর্যাদা কি দিতে পারছি!
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে বাংলা ভাষা বিকৃতির ঘটনা অহরহ ঘটছে। আর আমাদের মতো কিছু সাংবাদিক, কিছু চলচ্চিত্রকার, অভিনয় শিল্পী তথা শিক্ষিত সমাজ এটা করছে। আজকের দিনে আমার আহ্বান থাকবে, আসুন আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে ভাষার বিকৃতি রোধ করি। আমাদের অবিভাবকদের প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা যেন সন্তানদের সবার প্রথম মায়ের মুখের ভাষা তথা বাংলা ভাষা শিক্ষা দেয়। এসময় তিনি রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কর্মরতসহ সকল সংবাদকর্মীদের প্রতি ভাষার বিকৃতি রোধে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান।
সহসভাপতি শেখ ফাহিম আহমেদ বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ রোপিত হয়। ভাষার জন্য জীবন দেয়া পৃথিবীতে বিরল এক ঘটনা। সেটা শুধুমাত্র বাঙালিরাই করেছে। কিন্তু আজ আমরা বাংলা ইংরেজির সংমিশ্রণ ঘটাচ্ছি। ভাষার বিকৃতি করছি। ভাষা শহিদরা আজকের এই দিন যদি দেখতেন আমরা বাংলা ভাষাকে সেভাবে লালন করছিনা। তাহলে হয়তো তারা অত্যন্ত মর্মাহত হতেন। এসময় তিনি সকলকে শুদ্ধ বাংলা ভাষা চর্চার আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রায়হান ইসলাম, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক স্বজন রায়, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক অমর্ত্য রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব বিল্লাহ, অভ্যর্থনা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আছিয়া খাতুন, দপ্তর সম্পাদক আলজাবের আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আলিম খান ফারহান, ফাহাদসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।