রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের খুঁটিনাটি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : আগামীকাল ৫মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক ও ম্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথমদিনে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে এবারের ভর্তিযুদ্ধ। ভর্তি পরীক্ষা গত বছরের ন্যায় এবারও তিনটি ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
‘এ’ ইউনিটে রয়েছে দেশসেরা আইন বিভাগসহ আরও বেশকিছু স্বনামধন্য বিভাগ। তাছাড়াও এই ইউনিটে রয়েছে অন্যান্য ইউনিটের তুলনায় সবচেয়ে বেশি আসন।
যেখানে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে মানবিক, বাণিজ্য, বিজ্ঞান সবমিলিয়ে তিন বিভাগেরই শিক্ষার্থীরা।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ‘এ’ ইউনিটের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-
বিভাগ ও ইনস্টিটিউট
‘এ’ ইউনিটের অধীনে রয়েছে ৪টি অনুষদে ২৭টি বিভাগ এবং একটি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।
কলা অনুষদ : এই অনুষদের অধীনে রয়েছে ১২টি বিভাগ। বিভাগগুলো হলো- দর্শন, ইতিহাস, ইংরেজি, বাংলা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, আরবী, ইসলামিক স্টাডিজ, নাট্যকলা, সংগীত, ফারসি ও ভাষা সাহিত্য, সংস্কৃত, উর্দু।
আইন অনুষদ : এই অনুষদে আছে আইন বিভাগ এবং আইন ও ভূমি প্রশাসন মিলিয়ে ২টি বিভাগ ।
সামজিক বিজ্ঞান অনুষদ : এই অনুষদের অধীনে রয়েছে ১০টি বিভাগ। বিভাগগুলো হলো- অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট, লোক প্রশাসন, নৃবিজ্ঞান, ফোকলোর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ।
চারুকলা অনুষদ : এ অনুষদে রয়েছে ৩টি বিভাগ। এগুলো হলো- চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র; মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য; গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগ।
এই ইউনিটে রয়েছে একটি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।
নির্বাচন প্রক্রিয়া
চূড়ান্ত আবেদন শেষে ‘এ’ ইউনিটে ৭২ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এই ইউনিটে পরীক্ষার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ মানবিক শাখা হতে বাকি ৩৫ শতাংশ বিজ্ঞান ও বানিজ্য শাখা হতে নির্ধারণ করা হয়েছে। চারটি শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি শিফটে পরীক্ষায় বসবে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা পদ্ধতি
গতবারের ন্যায় এবারও বহুনির্বাচনী প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ভর্তি পরীক্ষা। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় মোট ৮০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে, সময় এক ঘণ্টা। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১.২৫।
আর একটি ভুল উত্তরের ০.২৫ করে নম্বর কাটা হবে। অর্থাৎ, চারটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ১ নম্বর। পরীক্ষায় নূন্যতম পাস নম্বর থাকছে ৪০।
তবে সঙ্গীত; নাট্যকলা; চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র; মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য এবং গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগসমূহের ব্যবহারিক পরীক্ষার পূর্ণমান হবে ১০০ এবং পাস নম্বর ৪০। ইংরেজি বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্র বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
মান বণ্টন
‘এ’ ইউনিটের বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্রে ক, খ, গ তিনটি অংশ থাকবে। এর মধ্যে ‘ক’ বাংলা- ৩৫ নম্বর, ‘খ’ ইংরেজি- ৩৫ নম্বর এবং ‘গ’ সাধারণ জ্ঞান- ৩০ নম্বর। মোট ১০০ নম্বর।
পরীক্ষার হলে নিষেধাজ্ঞা
পরীক্ষাকক্ষে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস (মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, হেডফোন, মেমোরিযুক্ত ঘড়ি ইত্যাদি) সঙ্গে রাখা যাবে না।
পরীক্ষার সময়
আগামী ৬ মার্চ ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চারটি শিফটে (গ্রুপ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটের (গ্রুপ-১) পরীক্ষা সকাল ৯টা থেকে ১০টা, দ্বিতীয় শিফট (গ্রুপ-২) বেলা ১১টা থেকে ১২টা, তৃতীয় শিফট (গ্রুপ-৩) দুপুর ১টা থেকে ২টা এবং চতুর্থ শিফট (গ্রুপ-৪) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
মেধাতালিকা তৈরি হবে যেভাবে
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর কোনো মার্ক নেই। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় যারা বেশি মার্ক পাবে তারাই মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকবে। চার শিফটের (গ্রুপ) আলাদা আলাদা মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে।
আসন সংখ্যা
‘এ’ ইউনিটে (বিশেষ কোটা বাদে) আসন রয়েছে ১ হাজার ৮২২টি। এই ইউনিটে আসন সংখ্যা অন্য দুইটি ইউনিটের তুলনায় অনেক বেশি।
এছাড়াও বিশেষ কোটায় আসন রয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৬১টি, শারিরীক প্রতিবন্ধী ১২২টি। মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা, নাতি/নাতনীর জন্য প্রতি বিভাগের আসন সংখ্যার ৫%, রাবিতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পুত্র/কন্যার জন্য প্রতি বিভাগের আসন সংখ্যার ৪% এবং বিকেএসটি কোটায় শারিরীক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের নির্ধারিত আসন সংখ্যার ২০%।