পোল্যান্ডে জড়ো হচ্ছে হাজার হাজার ন্যাটো সেনা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ইউক্রেনে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সেনা পাঠানো নিয়ে রীতিমতো বিশ্বে একটি পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চলছে বাগ্যুদ্ধ।
এমন অবস্থায় পুতিনের হুমকিকে উপেক্ষা করে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করছে ন্যাটো। তবে সেটা সরাসরি ইউক্রেনে না হলেও পাঠানো হচ্ছে প্রতিবেশী পোল্যান্ডে।
শত শত ট্যাংক আর যুদ্ধযান নিয়ে পোল্যান্ডের পথে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটটির ২০ হাজারের বেশি সেনা। যুদ্ধের এমন কোনো সরঞ্জাম নেই যা তাদের এই বহরে দেখা যায়নি।
অত্যাধুনিক ট্যাংক থেকে শুরু করে জলযান, ক্ষেপণাস্ত্র সবই আছে এই বহরে। যার একটি ফিল্মি দৃশ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায় কতটা সুসজ্জিত হয়ে তারা মাঠে নেমেছে।
অবশ্য ন্যাটো বলছে, রাশিয়াকে কোনো হুমকি বা ভয় দেখাতে নয়, নিয়মিত মহড়ার অংশ হিসেবে ৯ দেশের ২০ হাজার সেনা পোল্যান্ডে হাজির হচ্ছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, ইউক্রেনে ন্যাটো সেনা মোতায়েন নিয়ে যখন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলছে তখন কেন এই মহড়ার আয়োজন।
রাশিয়ার নাকের ডগায় এমন মহড়া নিয়ে এখনো অবশ্য মুখ খোলেননি পুতিন। তবে সমরবিদরা বলছেন, পুতিন কথার চেয়ে কাজে বিশ্বাসী। এক ন্যাটোতে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনের যে হাল বানিয়েছে তাতে ছেড়ে কথা বলবেন না এটা অনুমান করাই যায়।
সম্প্রতি ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন ইস্যুতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল মাখোঁর মন্তব্য ঘিরে চটে যান পুতিন। ইতিমধ্যে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার শীতল সম্পর্ক আরও ভারী হয়ে ওঠে। ইউক্রেনে ন্যাটো সেনা পাঠালে পারমাণবিক যুদ্ধ বাধতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বসেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পুতিনের এমন ঘোষণার ঠিক একদিন পরই, মস্কো থেকে চালানো হয় ইয়ার্স পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, পরীক্ষার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের কামচাটকা উপদ্বীপের লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাতে হানে।